পাটকল লাভের মুখ দেখছে
পাট আর এখন কৃষকের গলার ফাঁস নয়। পাট ফিরতে শুরু করেছে সোনালি যুগে। কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোর সম্ভাবনা এখন প্রায় নিশ্চিত। অন্তত দেশের পাটকলগুলো দীর্ঘদিন পর লাভের মুখ দেখার পর এমনই মনে হয়। অথচ এই পাট নিয়ে কিছুকাল আমাদের আফসোসই করতে হয়েছে।
বলা হতো, কৃষক শুধু পাটখড়ির জন্যই পাট চাষ করতেন। সংগত কারণেই তা ছিল সীমিত পর্যায়ে। আর পাট বিক্রি করতে গিয়ে অনেক সময় মনের দুঃখে কৃষক পাটে আগুনও দিয়েছেন। সেই সংবাদ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে। কারখানাগুলো সম্পর্কেও একসময় শুধু নেতিবাচক মন্তব্যই করা হতো। করার কারণও রয়েছে। বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ সবই তখন লোকসানের টাকা গুনত। একসঙ্গে লাভের মুখ দেখা হয়নি বহু আগে থেকেই। সর্বশেষ ১৯৮২ সালে একসঙ্গে লাভের মুখ দেখেছিল পাটকলগুলো। তবে আদমজীতে যে পরিমাণ অর্থ সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে, সেই ঘা এখনো শুকায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে_মাত্র কয়েক বছর আগেও যেখানে পাটকলগুলো নিত্য লোকসান গুনে চলেছিল, সেই কারখানাই এখন লাভের মুখ দেখছে। ১০৪ কোটি টাকা যেখানে গত বছরও লোকসান গুনতে হয়েছে, সেই জায়গায় লোকসান কাটিয়ে দিব্যি তিন কোটি ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থবছর শেষ হতে আরো কিছুদিন বাকি। আশা করা যায়, এ সময় আরো মুনাফা বাড়তে পারে। এই মুনাফাকে কেউ কেউ সামান্য বলেও আখ্যায়িত করতে পারেন। কিন্তু গত বছরের তুলনায় সে যে অনেক অগ্রসর হয়েছে, তা হিসাব কষলেই বেরিয়ে আসে। বড় অঙ্কের লোকসান কাটিয়ে মুনাফা অর্জন করাটাই ইতিবাচক সূচনা, এতে সন্দেহ নেই।
একসঙ্গে পাট রপ্তানিক্ষেত্রেও ইতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে যেখানে আয় করেছে এক হাজার ৬৯১ কোটি টাকা, ২০০৯ সালে এসে সেই রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। সংগত কারণেই মনে করা যায়, বাংলাদেশের পাট আবার বিশ্বসভায় সমাদৃত হতে শুরু করেছে।
বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। আর সেই চাহিদা পূরণে বাংলাদেশেরও ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ যদি সেই ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে এগিয়ে যায়, তাহলে হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরে পেতে তার তেমন অসুবিধা হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে_বাংলাদেশ হৃতগৌরব ফিরে পাবে, এমন প্রত্যাশা সবার। তবে এই খাতকে আগামী দিনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য রপ্তানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কৃষককে প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি মিলগুলোতে স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি কমিয়ে আনা খুবই জরুরি।
একসঙ্গে পাট রপ্তানিক্ষেত্রেও ইতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে যেখানে আয় করেছে এক হাজার ৬৯১ কোটি টাকা, ২০০৯ সালে এসে সেই রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। সংগত কারণেই মনে করা যায়, বাংলাদেশের পাট আবার বিশ্বসভায় সমাদৃত হতে শুরু করেছে।
বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। আর সেই চাহিদা পূরণে বাংলাদেশেরও ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ যদি সেই ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে এগিয়ে যায়, তাহলে হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরে পেতে তার তেমন অসুবিধা হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে_বাংলাদেশ হৃতগৌরব ফিরে পাবে, এমন প্রত্যাশা সবার। তবে এই খাতকে আগামী দিনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য রপ্তানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কৃষককে প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি মিলগুলোতে স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি কমিয়ে আনা খুবই জরুরি।
No comments