বাড়িতেই চুলের যত্ন by খাদিজা ফাল্গুনী
আজকাল স্যালনে গিয়ে চুলের যত্ন নেন অনেকে। প্রোটিন ট্রিটমেন্ট, হেয়ার স্পা ইত্যাদি নানা ধরনের যত্নের ব্যবস্থা আছে স্যালনে। তবে বাড়িতে বসেও চুলের এমন যত্ন নেওয়া সম্ভব। কীভাবে, তা জানিয়েছেন হারমনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
‘সাধারণত যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের চুলও তৈলাক্ত হয়। আর যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়। কেবল ঋতুভেদে নয়, চুলের প্রাকৃতিক যত্ন চাই প্রতিক্ষণ।’ বললেন রাহিমা সুলতানা। তাঁর দেওয়া চুলের প্রাকৃতিক যত্নের কিছু পরামর্শে চোখ বুলিয়ে নিন ঝটপট।
বুঝে নিন চুলের ধরন
চুলের যত্নের প্রথম ধাপ চুলের ধরন বোঝা। যাদের চুল তৈলাক্ত, তাদের চুলে প্রচুর খুশকি হয়। আর যাদের চুল শুষ্ক, তাদের চুল খুব দ্রুত রুক্ষ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, অনেকের প্রতিটি চুলই বেশ মোটা। তবে আসল হলো রুট বা চুলের গোড়ার ধরন বোঝা। চুলের গোড়া মজবুত না হলে চুলের সৌন্দর্যের প্রায় পুরোটাই মাটি। তাই চুলের যত্নের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ার যত্ন নেওয়া। বললেন রাহিমা সুলতানা।
কিছু হারবাল প্যাক
চুলের যত্নে নামীদামি প্রসাধন নয়, প্রয়োজন মনোযোগ। আর প্রাকৃতিক প্যাক তৈরিতে হাতের কাছে পাওয়া উপাদানগুলোই যথেষ্ট। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে পড়ে নিন প্যাকের বিবরণ—
চুল সুন্দর রাখতে প্রথমেই যত্ন নিন স্কাল্প বা মাথার ত্বকের। সপ্তাহে তিন দিন ছয় টেবিল-চামচ নারকেল তেল দিয়ে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।
মাথায় খুশকির উপদ্রব? নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন লেবুর রস। এক ঘণ্টা মাথায় রেখে তারপর শ্যাম্পুু করুন।
একটি কাচের শিশিতে এক টেবিল-চামচ মধু ও চার টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রেখে দিন। ব্যবহারের আগে আরেকবার ঝাঁকিয়ে নিন। চুলে পাঁচ-দশ মিনিট ম্যাসাজ করে আঁচড়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ পরে র্যাপ করে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করুন। দেখুন না, প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের জাদু!
ক্যাস্টর অয়েল নিন চার টেবিল চামচ। মাথার তালুতে আলতো হাতে মেখে রেখে দিন ২০ মিনিট। পাতলা চুল ঘন হবে, চুল পড়াও কমবে।
একটি ডিম, এক টেবিল-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ঘষে ঘষে মাখান চুলে। শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টার মতো। তারপর শ্যাম্পু করুন। এই প্যাক চুলে কন্ডিশনারের কাজ যেমন করবে, চুলকেও মজবুত করবে।
শ্যাম্পু করার পর ডিম একটি, এক কাপ টক দই, দুই টেবিল-চামচ ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী, বহেড়া) গুঁড়ার মিশ্রণ চুলে মেখে রেখে দিন মিনিট ত্রিশেক। এটি রং করা বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা চুলের প্রোটিন প্যাক হিসেবে কাজ করবে।
আমলকী পেস্ট দুই টেবিল-চামচ, ডিম একটি এবং টক দই আধা কাপ মেখে প্যাক তৈরি করতে পারেন। কন্ডিশনার ও প্রোটিন প্যাক দুটোরই উপকার পাবেন।
অনেকের মাথায় কিছু অংশের চুল পাতলা হয়ে মাথার ত্বক দেখা যায়। তাঁরা আমলকী বেটে পেস্ট করে তার রস লাগাবেন প্রতিদিন। দুই সপ্তাহ লাগানোর পর ফল পাবেন।
দুই টেবিল-চামচ আমলকীর সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ তিলের তেল ও আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। এই প্যাক ব্যবহারে শুষ্ক চুলে আসবে ঝলমলে সতেজতা।
প্রতিদিন অন্তত একটি আমলকী খাওয়ার চেষ্টা করুন। চুল পড়া কমবে।
চুলে উকুন থাকা একটি সাধারণ সমস্যা। ঘর্মাক্ত ও ভেজা চুলে উকুন দ্রুত বংশ বিস্তার করে। সে ক্ষেত্রে উকুন ধ্বংস করার ওষুধ ব্যবহার করুন। নারকেল তেলের সঙ্গে প্রতিদিন লেবুর রস মেশালেও উকুন মরে যাবে।
ফ্যানের বাতাসে চুল শুকানো ভালো। হেয়ার ড্রায়ারের ঠান্ডা বাতাসেও শুকাতে পারেন।
এ ছাড়া মনে রাখুন, চিরুনি ও ব্রাশ সব সময় আলাদা ও পরিষ্কার রাখা চাই। চুলে অনেক বেশি রাসায়নিক, রং, ড্রায়ার বা আয়রন ব্যবহার না করাই ভালো।
বুঝে নিন চুলের ধরন
চুলের যত্নের প্রথম ধাপ চুলের ধরন বোঝা। যাদের চুল তৈলাক্ত, তাদের চুলে প্রচুর খুশকি হয়। আর যাদের চুল শুষ্ক, তাদের চুল খুব দ্রুত রুক্ষ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, অনেকের প্রতিটি চুলই বেশ মোটা। তবে আসল হলো রুট বা চুলের গোড়ার ধরন বোঝা। চুলের গোড়া মজবুত না হলে চুলের সৌন্দর্যের প্রায় পুরোটাই মাটি। তাই চুলের যত্নের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ার যত্ন নেওয়া। বললেন রাহিমা সুলতানা।
কিছু হারবাল প্যাক
চুলের যত্নে নামীদামি প্রসাধন নয়, প্রয়োজন মনোযোগ। আর প্রাকৃতিক প্যাক তৈরিতে হাতের কাছে পাওয়া উপাদানগুলোই যথেষ্ট। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে পড়ে নিন প্যাকের বিবরণ—
চুল সুন্দর রাখতে প্রথমেই যত্ন নিন স্কাল্প বা মাথার ত্বকের। সপ্তাহে তিন দিন ছয় টেবিল-চামচ নারকেল তেল দিয়ে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।
মাথায় খুশকির উপদ্রব? নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন লেবুর রস। এক ঘণ্টা মাথায় রেখে তারপর শ্যাম্পুু করুন।
একটি কাচের শিশিতে এক টেবিল-চামচ মধু ও চার টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রেখে দিন। ব্যবহারের আগে আরেকবার ঝাঁকিয়ে নিন। চুলে পাঁচ-দশ মিনিট ম্যাসাজ করে আঁচড়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ পরে র্যাপ করে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করুন। দেখুন না, প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের জাদু!
ক্যাস্টর অয়েল নিন চার টেবিল চামচ। মাথার তালুতে আলতো হাতে মেখে রেখে দিন ২০ মিনিট। পাতলা চুল ঘন হবে, চুল পড়াও কমবে।
একটি ডিম, এক টেবিল-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ঘষে ঘষে মাখান চুলে। শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টার মতো। তারপর শ্যাম্পু করুন। এই প্যাক চুলে কন্ডিশনারের কাজ যেমন করবে, চুলকেও মজবুত করবে।
শ্যাম্পু করার পর ডিম একটি, এক কাপ টক দই, দুই টেবিল-চামচ ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী, বহেড়া) গুঁড়ার মিশ্রণ চুলে মেখে রেখে দিন মিনিট ত্রিশেক। এটি রং করা বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা চুলের প্রোটিন প্যাক হিসেবে কাজ করবে।
আমলকী পেস্ট দুই টেবিল-চামচ, ডিম একটি এবং টক দই আধা কাপ মেখে প্যাক তৈরি করতে পারেন। কন্ডিশনার ও প্রোটিন প্যাক দুটোরই উপকার পাবেন।
অনেকের মাথায় কিছু অংশের চুল পাতলা হয়ে মাথার ত্বক দেখা যায়। তাঁরা আমলকী বেটে পেস্ট করে তার রস লাগাবেন প্রতিদিন। দুই সপ্তাহ লাগানোর পর ফল পাবেন।
দুই টেবিল-চামচ আমলকীর সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ তিলের তেল ও আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। এই প্যাক ব্যবহারে শুষ্ক চুলে আসবে ঝলমলে সতেজতা।
প্রতিদিন অন্তত একটি আমলকী খাওয়ার চেষ্টা করুন। চুল পড়া কমবে।
চুলে উকুন থাকা একটি সাধারণ সমস্যা। ঘর্মাক্ত ও ভেজা চুলে উকুন দ্রুত বংশ বিস্তার করে। সে ক্ষেত্রে উকুন ধ্বংস করার ওষুধ ব্যবহার করুন। নারকেল তেলের সঙ্গে প্রতিদিন লেবুর রস মেশালেও উকুন মরে যাবে।
ফ্যানের বাতাসে চুল শুকানো ভালো। হেয়ার ড্রায়ারের ঠান্ডা বাতাসেও শুকাতে পারেন।
এ ছাড়া মনে রাখুন, চিরুনি ও ব্রাশ সব সময় আলাদা ও পরিষ্কার রাখা চাই। চুলে অনেক বেশি রাসায়নিক, রং, ড্রায়ার বা আয়রন ব্যবহার না করাই ভালো।
No comments