শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত-বর্তমান ইসি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ : হানিফ
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণর্ নিরপেক্ষ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, 'বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনই সুষুম ও সুন্দর হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকারের আমলের গণতন্ত্র অনেক বেশি শক্তিশালী। যে স্বপ্ন নিয়ে নূর হোসেন আত্মদান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে তা আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।'গতকাল বৃহস্পতিবার শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নূর হোসেন স্কয়ারে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হানিফ এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ নূর হোসেন স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, 'বিরোধী দল গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য দেশে বিভিন্ন ইস্যুতে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। নূর হোসেন যে আদর্শ নিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আদর্শকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্যই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন।' গতকাল যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ নূর হোসেন দিবস। স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ নূর হোসেন আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার জিরো পয়েন্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। এর পর থেকে এই দিনটি পালিত হচ্ছে নূর হোসেন দিবস হিসেবে। জিরো পয়েন্টের নামকরণও করা হয়েছে নূর হোসেন চত্বর। নিজের বুকে-পিঠে 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক' স্লোগান লিখে সে দিন মিছিলে শামিল হয়েছিলেন নূর হোসেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুল মতিন খসরু, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া শহীদ নূর হোসেনের পরিবারের পক্ষে তাঁর মা মরিয়ম বিবি, বোন রেহানা এবং ভাই আলী হোসেন সেখানে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে বিএনপি, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, আশরাফুন্নেছা মোশাররফ এমপির নেতৃত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ, রায় রমেশ চন্দ্রের নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিক লীগ, মির্জা আজমের নেতৃত্বে যুবলীগ, কৃষক লীগ, পংকজ দেবনাথের নেতৃত্বে সেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মৈত্রী, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন জুরাইনে নূর হোসেনের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নূর হোসেনের মা মরিয়ম বিবি বলেন, 'জনগণ হত্যার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ায় তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। দেশের উন্নয়নে সব দল এক হয়ে কাজ করলে নূর হোসেনের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার জিরো পয়েন্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। এর পর থেকে এই দিনটি পালিত হচ্ছে নূর হোসেন দিবস হিসেবে। জিরো পয়েন্টের নামকরণও করা হয়েছে নূর হোসেন চত্বর। নিজের বুকে-পিঠে 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক' স্লোগান লিখে সে দিন মিছিলে শামিল হয়েছিলেন নূর হোসেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুল মতিন খসরু, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া শহীদ নূর হোসেনের পরিবারের পক্ষে তাঁর মা মরিয়ম বিবি, বোন রেহানা এবং ভাই আলী হোসেন সেখানে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে বিএনপি, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, আশরাফুন্নেছা মোশাররফ এমপির নেতৃত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ, রায় রমেশ চন্দ্রের নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিক লীগ, মির্জা আজমের নেতৃত্বে যুবলীগ, কৃষক লীগ, পংকজ দেবনাথের নেতৃত্বে সেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মৈত্রী, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন জুরাইনে নূর হোসেনের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নূর হোসেনের মা মরিয়ম বিবি বলেন, 'জনগণ হত্যার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ায় তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। দেশের উন্নয়নে সব দল এক হয়ে কাজ করলে নূর হোসেনের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
No comments