সাঈদীর বিচার শুরু হওয়ায় পিরোজপুরে বাদীপক্ষের স্বস্তি
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার শুরু হওয়ায় পিরোজপুরে মামলার বাদী ও অভিযোগকারীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে দু-একজন কথা বললেও মহাজোট সরকারের এই সময়েও অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের অনেকে ভয়ে মুখ খুলতে চান না।
পিরোজপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রথম মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাইজউদ্দিন পশারীর ছেলে মানিক পশারী গতকাল মঙ্গলবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সাঈদীর জ্বালিয়ে দেওয়া পোড়াবাড়িতে বসে তাঁর বিচারের আশায় বেঁচে আছি। তাঁর বিচার শুরু হয়েছে জেনে খুশি হয়েছি।' তিনি একাত্তরের সেদিনটির লোমহর্ষক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, সাঈদী ছাড়াও আরো পাঁচজন মিলে তাঁর টিনের ঘরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই আগুন জ্বলছিল না। তখন ঘরের সামনে থাকা কবুতরসহ কবুতরের খোপে আগুন ধরিয়ে দিলে তা থেকে আগুন লেগে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর আগে তাঁরা ঘরের মালামালও লুট করে। তিনি আরো জানান, পার্শ্ববর্তী বাদুরার ইব্রাহীম হাওলাদারকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেন সাঈদী। এখন সাঈদীর দোসররা তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। অন্যথায় তাঁরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ জন্য সদর থানায় গত শনি ও রবিবার দুটি জিডি করা হয়েছে।
এদিকে সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্বিতীয় মামলার বাদী জিয়ানগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মাহাবুবুল আলম হাওলাদার জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সাঈদীর নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান মুন্সি, মোস্তফা আহসান সাঈদী ও মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন মিলে প্রায় ২৫-৩০ জন হিন্দুর স্বর্ণালংকারসহ ৭৮ লাখ টাকা লুট করেন। রাজাকাররা এ সময় সাঈদীর নির্দেশে বিনাবালীকে নারিকেলগাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে।
অন্য সব অভিযোগকারী ও সাক্ষী এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।
এদিকে সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্বিতীয় মামলার বাদী জিয়ানগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মাহাবুবুল আলম হাওলাদার জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সাঈদীর নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান মুন্সি, মোস্তফা আহসান সাঈদী ও মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন মিলে প্রায় ২৫-৩০ জন হিন্দুর স্বর্ণালংকারসহ ৭৮ লাখ টাকা লুট করেন। রাজাকাররা এ সময় সাঈদীর নির্দেশে বিনাবালীকে নারিকেলগাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে।
অন্য সব অভিযোগকারী ও সাক্ষী এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।
No comments