ওয়াল স্ট্রিট-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে
যুক্তরাষ্ট্রের দলনিরপেক্ষ ক্ষুব্ধ জনতার নতুন ধারার আন্দোলন ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল করো’ (অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট) পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। নেপথ্যে কোনো রাজনৈতিক দল নেই, বিশেষ কোনো নেতা-নেত্রীর নির্দেশনাও নেই এই আন্দোলনে। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই আন্দোলন।
গত শনিবার সাত শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের পর আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। ছাড়া পাওয়ার পর গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীরা আবার যোগ দিয়েছে আন্দোলনে।
ভিন্ন এক দৃশ্য এখন ম্যানহাটনের জুকটি পার্কে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আন্দোলনকারীরা তাঁবু খাটিয়েছে সেখানে। ল্যাপটপ, আইপ্যাড নিয়ে সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। পালা করে কখনো দল বেঁধে, কখনো একাকী সড়কপথে ঘুরে আসছে আন্দোলনকারীরা। হাতে লেখা পোস্টার। এসব পোস্টারে নির্দিষ্ট কোনো দাবি-দাওয়া নেই। সামাজিক বৈষম্যের অবসান থেকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দাবি-দাওয়া নিয়ে যে যার মতো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বয়সে তরুণ এসব আন্দোলনকারী সংঘবদ্ধ হতে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। ফেসবুক-টুইটার এবং ব্লগে প্রতি মুহূর্তের সর্বশেষ খবর দেওয়া হচ্ছে। জুকটি পার্কেই খোলা হয়েছে একটি মিডিয়া কেন্দ্র। আন্দোলনে জড়ো হওয়া লোকজনের জন্য ভাসমান চিকিৎসাকেন্দ্রও চালু হয়েছে। কবিতা, সংগীত, ড্রামের তালে তালে নৃত্য—সব মিলে ওয়াল স্ট্রিট-সংলগ্ন এলাকা এখন উৎসবমুখর।
গত রোববার ছুটির দিনটিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে দেখা গেছে বিভিন্ন পেশাজীবীদের। নিউজার্সি থেকে যোগ দেওয়া একদল শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। তাঁদের একজন কেভিন ম্যাকডোনেল জানালেন, প্রথাগত রাজনৈতিক প্রতিবাদ বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। সম্প্রতি চাকরি হারানো প্রযুক্তিবিদ স্টিভ লিমানিয়ন বলেন, ‘এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। আমরা বৈষম্যের অবসান চাই।’
নিউইয়র্কের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় নগরেও স্বতঃস্ফূর্ত জনতার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গত রোববার শিকাগো নগরে ‘শিকাগো দখল করো’ স্লোগান দিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা করে আন্দোলনকারীরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভকারীরা ওয়েবসাইটে লিখেছে ‘বিপ্লব শুরু হয়েছে।’ বোস্টনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ৩০টির বেশি সামাজিক সংগঠন যুক্ত হয়েছে। সংগঠনের কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে বোস্টনের বিক্ষোভ সমাবেশে। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বলা হয়েছে, ‘লোভীদের লালসা বন্ধ করো, সুষম অর্থনীতি চালু করো, ন্যায়ভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করো।’
গত শনিবার সাত শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের পর আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। ছাড়া পাওয়ার পর গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীরা আবার যোগ দিয়েছে আন্দোলনে।
ভিন্ন এক দৃশ্য এখন ম্যানহাটনের জুকটি পার্কে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আন্দোলনকারীরা তাঁবু খাটিয়েছে সেখানে। ল্যাপটপ, আইপ্যাড নিয়ে সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। পালা করে কখনো দল বেঁধে, কখনো একাকী সড়কপথে ঘুরে আসছে আন্দোলনকারীরা। হাতে লেখা পোস্টার। এসব পোস্টারে নির্দিষ্ট কোনো দাবি-দাওয়া নেই। সামাজিক বৈষম্যের অবসান থেকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দাবি-দাওয়া নিয়ে যে যার মতো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বয়সে তরুণ এসব আন্দোলনকারী সংঘবদ্ধ হতে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। ফেসবুক-টুইটার এবং ব্লগে প্রতি মুহূর্তের সর্বশেষ খবর দেওয়া হচ্ছে। জুকটি পার্কেই খোলা হয়েছে একটি মিডিয়া কেন্দ্র। আন্দোলনে জড়ো হওয়া লোকজনের জন্য ভাসমান চিকিৎসাকেন্দ্রও চালু হয়েছে। কবিতা, সংগীত, ড্রামের তালে তালে নৃত্য—সব মিলে ওয়াল স্ট্রিট-সংলগ্ন এলাকা এখন উৎসবমুখর।
গত রোববার ছুটির দিনটিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে দেখা গেছে বিভিন্ন পেশাজীবীদের। নিউজার্সি থেকে যোগ দেওয়া একদল শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। তাঁদের একজন কেভিন ম্যাকডোনেল জানালেন, প্রথাগত রাজনৈতিক প্রতিবাদ বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। সম্প্রতি চাকরি হারানো প্রযুক্তিবিদ স্টিভ লিমানিয়ন বলেন, ‘এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। আমরা বৈষম্যের অবসান চাই।’
নিউইয়র্কের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় নগরেও স্বতঃস্ফূর্ত জনতার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গত রোববার শিকাগো নগরে ‘শিকাগো দখল করো’ স্লোগান দিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা করে আন্দোলনকারীরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভকারীরা ওয়েবসাইটে লিখেছে ‘বিপ্লব শুরু হয়েছে।’ বোস্টনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ৩০টির বেশি সামাজিক সংগঠন যুক্ত হয়েছে। সংগঠনের কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে বোস্টনের বিক্ষোভ সমাবেশে। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বলা হয়েছে, ‘লোভীদের লালসা বন্ধ করো, সুষম অর্থনীতি চালু করো, ন্যায়ভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করো।’
No comments