নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ১৮ ক্লাবের মেলা by ফয়সাল হাসান
ঘড়ির কাঁটা তখন ১১ ছাড়িয়েছে। বেলা নয়, রাত ১১টা। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) মূল ফটক দিয়ে ক্লান্ত ভঙ্গিতে দল বেঁধে বের হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ভিড়ের মধ্য থেকেই কথা হয় রানা, মেহেদী, অভিজিত, সানি, শাকিল, অতশদের সঙ্গে। তাঁদের সবার চোখমুখে ক্লান্তি যেমন ছিল, তার চেয়ে বেশিই ছিল আনন্দের ছাপ। তাঁরা সকাল ১০টায় এসে পৌঁছেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর এখন রাত ১১টায় বের হচ্ছেন। হবেনই বা না কেন, আজ যে সারা বছরের মধ্যে অন্য রকম একটা দিন ছিল এনএসইউ শিক্ষার্থীদের জন্য। শিক্ষার্থীদের ১৮টি ক্লাব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব ক্লাবের নিজস্ব বিভিন্ন ইভেন্ট থাকে বছরজুড়ে, কিন্তু এমনভাবে এক ছাতার নিচে সব ক্লাবকে পাওয়া যায় শুধু এই একটা ইভেন্টেই। সব ক্লাব যখন এক জায়গায় তাই ইভেন্টার নামও বেশ জুতসই। ‘ক্লাব কার্নিভাল’।
‘শুধু পড়াশোনাই সব নয়। পড়াশোনা পরিপূর্ণতা পায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজের মাধ্যমে। এ জন্য ক্লাবগুলোর দরকার রয়েছে।’ পড়াশোনার ফাঁকে যে একটু অবসর আর সেই সঙ্গে বিনোদনের কত প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তা-ই যেন বললেন উপাচার্য হাফিজ জি এ সিদ্দিকি। বেলা ১১টায় উপাচার্য হাফিজ জি এ সিদ্দিকির উদ্বোধন ঘোষণার মধ্য দিয়েই শুরু হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
প্রতিবছরের মতো এবারের ক্লাব কার্নিভালও ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। ১৮ ক্লাবের ১৮ স্টলের সাজসজ্জাও ছিল হরেক রকম। প্রতিটি ক্লাবের নামের সঙ্গে নিজ নিজ স্টলের সাজসজ্জার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। চারপাশে সবুজের ছোঁয়া বলে দিচ্ছিল আর্থ ক্লাবের স্টল কোনটা, আবার করপোরেট অফিসের আদলে ছিমছাম স্টলটি যে ছিল ইয়াং এন্টারপ্রেনার সোসাইটি ইয়েস-এর, তাও বোঝা যাচ্ছিল বেশ। ইয়েস-এর স্টলে করপোরেট কর্মকর্তার কাট আউটে নিজের মাথা বসিয়ে ছবি তুলছেন অনেকেই। এখানেই ছবি তুলছিলেন বিবিএর শারমীন আর রাব্বী। দুই বন্ধু হাসতে হাসতে জানালেন, ‘একদিন বড় করপোরেট ব্যক্তিত্ব হতে চাই, তাই একটু প্রাকটিস করে নিচ্ছি।’ আবার স্পোর্টস ক্লাবের স্টলে পুরস্কারের ট্রফি হাতে নিয়ে পোজ দিয়েছেন অনেকেই। ময়ূরের সাজে সাজানো সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্টলেও ছিল দেখার মতো ভিড়। কীভাবে এর সদস্য হওয়া যাবে তা জানতে ভিড় করেছিলেন প্রথম সেমিস্টারের শুভ, নীলা, আনিলার মতো আরও অনেকেই। ফটোগ্রাফি ক্লাবের স্টলে এর সদস্যদের তোলা সেরা কিছু ছবি নিয়ে প্রদর্শনী চলছিল। সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের স্টলের ‘নাটকীয়’ পরিবেশটাও বেশ উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না কম্পিউটার ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব, পাবলিক হেলথ ক্লাব বা ওয়্যারলেস ফোরামের স্টলটিও।
আবার ছিল রক্তদান কর্মসূচিও। সব ক্লাবের স্টলেই শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হাসিমুখে। নিজ নিজ ক্লাবের কার্যক্রম বুঝিয়ে বলেছেন অতিথিদের।
শুধু কি স্টল আর প্রদর্শনী? তা হবে কেন! প্রতিটি ক্লাবের জন্য বরাদ্দ ছিল নির্দিষ্ট সময়। আর্থ ক্লাবের পরিবেশবান্ধব পোশাকের ফ্যাশন শো, ইয়েস-এর করপোরেট ফ্যাশন শো, সাংস্কৃতিক সংগঠনের মজার নাটক, সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের পরিবেশনা যেন ছিল চোখ ধাঁধানো। আগুন নিয়ে কসরতটা দেখে বারবার শিহরিত হয়েছে সবাই। অনুষ্ঠানের শেষের দিকের মায়াবী পরিবেশের লেজার শো যেন এখনো চোখে লেগে আছে সবার। আর সব ক্লাবের সব উপস্থাপনার শেষে এলআরবির পরিবেশনা যেন ভোলার নয়।
ক্লাব কার্নিভালের আয়োজনে ছিলেন ১৮টি ক্লাবের সদস্যরা। তাঁদেরই একজন ফয়সাল জামান বলেন, ‘এ আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে যেকোনো ইভেন্ট আয়োজনে সহায়ক হবে।’ আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আয়োজন থেকে পেয়েছেন অনবরত চলতে থাকা ক্লাস আর পরীক্ষার মধ্যে ক্ষণিকের স্বস্তি।
এনএসইউ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান ক্লাব কার্নিভাল সম্পর্কে বলেন, ‘এই ক্লাব কার্নিভালের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি ক্লাব তাদের সারা বছরের বিভিন্ন অর্জন, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কৃতিত্ব, সামনের দিনগুলোর জন্য ক্লাবের কর্মপরিকল্পনার কথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়।’
প্রতিবছরের মতো এবারের ক্লাব কার্নিভালও ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। ১৮ ক্লাবের ১৮ স্টলের সাজসজ্জাও ছিল হরেক রকম। প্রতিটি ক্লাবের নামের সঙ্গে নিজ নিজ স্টলের সাজসজ্জার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। চারপাশে সবুজের ছোঁয়া বলে দিচ্ছিল আর্থ ক্লাবের স্টল কোনটা, আবার করপোরেট অফিসের আদলে ছিমছাম স্টলটি যে ছিল ইয়াং এন্টারপ্রেনার সোসাইটি ইয়েস-এর, তাও বোঝা যাচ্ছিল বেশ। ইয়েস-এর স্টলে করপোরেট কর্মকর্তার কাট আউটে নিজের মাথা বসিয়ে ছবি তুলছেন অনেকেই। এখানেই ছবি তুলছিলেন বিবিএর শারমীন আর রাব্বী। দুই বন্ধু হাসতে হাসতে জানালেন, ‘একদিন বড় করপোরেট ব্যক্তিত্ব হতে চাই, তাই একটু প্রাকটিস করে নিচ্ছি।’ আবার স্পোর্টস ক্লাবের স্টলে পুরস্কারের ট্রফি হাতে নিয়ে পোজ দিয়েছেন অনেকেই। ময়ূরের সাজে সাজানো সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্টলেও ছিল দেখার মতো ভিড়। কীভাবে এর সদস্য হওয়া যাবে তা জানতে ভিড় করেছিলেন প্রথম সেমিস্টারের শুভ, নীলা, আনিলার মতো আরও অনেকেই। ফটোগ্রাফি ক্লাবের স্টলে এর সদস্যদের তোলা সেরা কিছু ছবি নিয়ে প্রদর্শনী চলছিল। সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের স্টলের ‘নাটকীয়’ পরিবেশটাও বেশ উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না কম্পিউটার ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব, পাবলিক হেলথ ক্লাব বা ওয়্যারলেস ফোরামের স্টলটিও।
আবার ছিল রক্তদান কর্মসূচিও। সব ক্লাবের স্টলেই শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হাসিমুখে। নিজ নিজ ক্লাবের কার্যক্রম বুঝিয়ে বলেছেন অতিথিদের।
শুধু কি স্টল আর প্রদর্শনী? তা হবে কেন! প্রতিটি ক্লাবের জন্য বরাদ্দ ছিল নির্দিষ্ট সময়। আর্থ ক্লাবের পরিবেশবান্ধব পোশাকের ফ্যাশন শো, ইয়েস-এর করপোরেট ফ্যাশন শো, সাংস্কৃতিক সংগঠনের মজার নাটক, সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের পরিবেশনা যেন ছিল চোখ ধাঁধানো। আগুন নিয়ে কসরতটা দেখে বারবার শিহরিত হয়েছে সবাই। অনুষ্ঠানের শেষের দিকের মায়াবী পরিবেশের লেজার শো যেন এখনো চোখে লেগে আছে সবার। আর সব ক্লাবের সব উপস্থাপনার শেষে এলআরবির পরিবেশনা যেন ভোলার নয়।
ক্লাব কার্নিভালের আয়োজনে ছিলেন ১৮টি ক্লাবের সদস্যরা। তাঁদেরই একজন ফয়সাল জামান বলেন, ‘এ আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে যেকোনো ইভেন্ট আয়োজনে সহায়ক হবে।’ আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আয়োজন থেকে পেয়েছেন অনবরত চলতে থাকা ক্লাস আর পরীক্ষার মধ্যে ক্ষণিকের স্বস্তি।
এনএসইউ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান ক্লাব কার্নিভাল সম্পর্কে বলেন, ‘এই ক্লাব কার্নিভালের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি ক্লাব তাদের সারা বছরের বিভিন্ন অর্জন, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কৃতিত্ব, সামনের দিনগুলোর জন্য ক্লাবের কর্মপরিকল্পনার কথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়।’
No comments