সংঘাতের জন্য সরকারই দায়ী থাকবে : ড. মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'সরকার একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছি। রোডমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে সরকারকে। এ দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে দেশ যদি সংঘাতের দিকে যায়, এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।'
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 'সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী ও নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে নাগরিক অধিকার সোসাইটি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ড. কাজী আবদুস সামাদ, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এইচ এম আল আমিন, এম এ হালিম প্রমুখ। ড. মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নয়, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে-হবে-হবে। অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিরোধী দল নির্বাচনে যাবে না। ফলে আওয়ামী লীগ জোর করে একতরফা নির্বাচন করে নিতে পারে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, যখন আলোচনার মাধ্যমে কোনো ফয়সালা না হয়, তখন রাজপথে ফয়সালা হয়। রাজপথে ফয়সালা হতে হলে সংঘাত হতে পারে। জনগণ এটা চায় না। জনগণ যখন তাদের পছন্দমতো সরকার গঠনের জন্য ভোট দিতে পারে না, তখন একটা অভ্যুত্থান হয়। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল না করে কোনো নির্বাচন হবে না। সরকার যদি গায়ের জোরে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। গণবিক্ষোভের সামনে এরশাদের মতো একটি সরকারের পতন এবং তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।
ড. মোশাররফ বলেন, সরকার বলেছে হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। অথচ হাইকোর্টের রায় এখনো লেখাই হয়নি। সেখানে একটি শর্ট রায় দেওয়া হয়েছে। ওই রায়েই লেখা আছে, আগামী ১০ ও ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, যখন আলোচনার মাধ্যমে কোনো ফয়সালা না হয়, তখন রাজপথে ফয়সালা হয়। রাজপথে ফয়সালা হতে হলে সংঘাত হতে পারে। জনগণ এটা চায় না। জনগণ যখন তাদের পছন্দমতো সরকার গঠনের জন্য ভোট দিতে পারে না, তখন একটা অভ্যুত্থান হয়। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল না করে কোনো নির্বাচন হবে না। সরকার যদি গায়ের জোরে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। গণবিক্ষোভের সামনে এরশাদের মতো একটি সরকারের পতন এবং তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।
ড. মোশাররফ বলেন, সরকার বলেছে হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। অথচ হাইকোর্টের রায় এখনো লেখাই হয়নি। সেখানে একটি শর্ট রায় দেওয়া হয়েছে। ওই রায়েই লেখা আছে, আগামী ১০ ও ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে।
No comments