গর্ভ প্রতিস্থাপনে সাফল্য
যেসব নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে, কিন্তু অনেক চেষ্টা-তদবিরের পরও পেটে সন্তান আসছে না, তাঁদের জন্য সুসংবাদ যে তাঁরাও সন্তান জন্ম দিতে পারবেন বলে মনে করছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। কারণ তুরস্কের চিকিৎসকরা এক নারীর গর্ভ বা জরায়ু অন্য নারীর দেহে প্রতিস্থাপনে সফল হয়েছেন। আর এতে এসব নারীর সন্তান ধারণের পথ খুলে গেল। কেননা জরায়ুর সমস্যার কারণেই অনেকে সন্তান জন্ম দিতে পারেন না।
তুরস্কের দক্ষিণ প্রদেশের আনাতালিয়ার আকদেনিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গত ৯ আগস্ট দারিয়া সার্ত (২১) নামের এক নারীর দেহে মৃত এক নারীর জরায়ু প্রতিস্থাপন করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি সুস্থ-স্বাভাবিক রয়েছেন। তাঁর দেহের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত জরায়ুটি সুন্দরভাবেই মিলে গেছে। জন্মের সময় থেকেই সার্তের দেহে কোনো জরায়ু ছিল না। কিন্তু অনেক দিন ধরেই তিনি সন্তান জন্ম দিতে চাচ্ছিলেন। তিনি গত ছয় মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর স্বামী একজন মোটর মেকানিক। এক গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে গড়ে পাঁচ হাজার নারীর মধ্যে একজন জরায়ু ছাড়া জন্ম নেন।
সার্তের দেহে জরায়ু প্রতিস্থাপনই এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রথম সফলভাবে জরায়ু প্রতিস্থাপনের ঘটনা। এর আগে ২০০০ সালে সৌদি আরবে এক নারীর দেহে অন্য এক জীবিত নারীর জরায়ু প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সমস্যা দেখা দিলে ৯৯ দিন পরই তা অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করে ফেলেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের পর হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে দারিয়া সার্ত বলেন, 'বর্তমানে আমার অনুভূতি আনন্দ ও উত্তেজনাপূর্ণ। যদি সৃষ্টিকর্তা চান, তাহলে আমি মা হতে পারব আশা করছি।' তিনি জানান, অপারেশনের পর তিনি দেহে সামান্য ব্যথা অনুভব করেছেন। এ জন্য নিয়মিত সাপ্তাহিক চেকআপ করিয়ে যাচ্ছেন।
সার্ত বলেন, 'অপারেশনের সময় আমি কোনো ধরনের ভয় পাইনি। ব্যথা কিংবা ভোগান্তি হতে পারে এমন বিষয় কখনো চিন্তায় ঠাঁই দিইনি। আমি শুধু ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে আছি।'
সার্তের জরায়ু প্রতিস্থাপনের অপারেশন দলে ছিলেন আকদেনিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের আটজন সার্জারি বিশেষজ্ঞ ও সাতজন মেডিক্যাল স্টাফ। এ দলের মাইক্রোসার্জন ওমেন ওজকান বলেন, 'জরায়ুু প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে, তবে আমরা নিজেদের সফল মনে করব তখনই, যখন সার্ত সন্তানের মা হতে পারবেন। বর্তমানে আমরা খুশি এই ভেবে যে ওই নারীর দেহে প্রতিস্থাপিত জরায়ুর কোষগুলো জীবিত রয়েছে, কোনো ধরনের অপসারণের চিন্তাও করতে হচ্ছে না। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে জরায়ুটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে এবং সন্তান ধারণের উপযোগী হবে_এমনটাই আমাদের ধারণা। এরই মধ্যে সার্তের রজঃস্রাবও শুরু হয়েছে।'
বিশ্বের মাত্র তিনটি হাসপাতাল জরায়ু প্রতিস্থাপনের কাজ করতে সক্ষম। তুরস্ক ছাড়া অন্য দুটো দেশ হলো সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্র। জরায়ু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে অক্ষম লাখ লাখ নারী সন্তান ধারণের উপযোগী হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
সার্তের দেহে জরায়ু প্রতিস্থাপনই এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রথম সফলভাবে জরায়ু প্রতিস্থাপনের ঘটনা। এর আগে ২০০০ সালে সৌদি আরবে এক নারীর দেহে অন্য এক জীবিত নারীর জরায়ু প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সমস্যা দেখা দিলে ৯৯ দিন পরই তা অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করে ফেলেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের পর হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে দারিয়া সার্ত বলেন, 'বর্তমানে আমার অনুভূতি আনন্দ ও উত্তেজনাপূর্ণ। যদি সৃষ্টিকর্তা চান, তাহলে আমি মা হতে পারব আশা করছি।' তিনি জানান, অপারেশনের পর তিনি দেহে সামান্য ব্যথা অনুভব করেছেন। এ জন্য নিয়মিত সাপ্তাহিক চেকআপ করিয়ে যাচ্ছেন।
সার্ত বলেন, 'অপারেশনের সময় আমি কোনো ধরনের ভয় পাইনি। ব্যথা কিংবা ভোগান্তি হতে পারে এমন বিষয় কখনো চিন্তায় ঠাঁই দিইনি। আমি শুধু ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে আছি।'
সার্তের জরায়ু প্রতিস্থাপনের অপারেশন দলে ছিলেন আকদেনিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের আটজন সার্জারি বিশেষজ্ঞ ও সাতজন মেডিক্যাল স্টাফ। এ দলের মাইক্রোসার্জন ওমেন ওজকান বলেন, 'জরায়ুু প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে, তবে আমরা নিজেদের সফল মনে করব তখনই, যখন সার্ত সন্তানের মা হতে পারবেন। বর্তমানে আমরা খুশি এই ভেবে যে ওই নারীর দেহে প্রতিস্থাপিত জরায়ুর কোষগুলো জীবিত রয়েছে, কোনো ধরনের অপসারণের চিন্তাও করতে হচ্ছে না। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে জরায়ুটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে এবং সন্তান ধারণের উপযোগী হবে_এমনটাই আমাদের ধারণা। এরই মধ্যে সার্তের রজঃস্রাবও শুরু হয়েছে।'
বিশ্বের মাত্র তিনটি হাসপাতাল জরায়ু প্রতিস্থাপনের কাজ করতে সক্ষম। তুরস্ক ছাড়া অন্য দুটো দেশ হলো সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্র। জরায়ু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে অক্ষম লাখ লাখ নারী সন্তান ধারণের উপযোগী হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
No comments