গণক নই, বলতে পারছি না তিস্তা চুক্তি কবে হবে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দু-তিন মাসের মধ্যেই তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করা হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল মঙ্গলবার এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা চুক্তি কবে হবে_এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি গণক নই, বলতে পারছি না তিস্তা চুক্তি কবে হবে।'
তবে তিনি দাবি করেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশের একটি সম্মতির অবস্থান রয়েছে। কী বিষয়ে ওই সম্মতি জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এটা চুক্তির পরই আপনারা জানতে পারবেন।'
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, 'গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঠিক করা ফি পরিশোধ করেই ভারতীয় পণ্য পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রিপুরা যাচ্ছে। পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য নতুন করে ফি আদায় করা হচ্ছে না।'
সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য তিস্তা চুক্তি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট, সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধ, ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে শুরুতেই তিনি জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে তাঁর বিভিন্ন কাজের বর্ণনা এবং জার্মানির হামবুর্গে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গত মাসে অনুষ্ঠিত সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের শুনানিতে বাংলাদেশের অবস্থানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা জানতে চান, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগের রাতে অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তিনি কিসের ভিত্তিতে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন যে, 'তিস্তা চুক্তি হবে।' এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি যেহেতু রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছি, সেহেতু সরকারি তথ্যের বাইরে কিছু বলতে পারি না। ভারত সরকারের সর্বশেষ যে বার্তাটি তখন আমাদের কাছে ছিল তা হলো তিস্তাসহ আরো কয়েকটি চুক্তি হবে। তাই আমি আশা প্রকাশ করেছিলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওই সফরেই যে চুক্তিটি হচ্ছে না, এমন বার্তা পরে আমাদের কাছে এসেছিল।'
মনমোহনের ঢাকা সফরের পর সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকে তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার যে বিভিন্ন সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে কোনটি সঠিক, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি গণক নই, বলতে পারছি না তিস্তা চুক্তি কবে হবে।' সাংবাদিকরা বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তিস্তা চুক্তির খসড়ায় বাংলাদেশ ও ভারত ৪৮:৫২ হারে পানি ভাগাভাগি করতে সম্মত হয়েছিল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ ভাগের বেশি পানি দিতে চান না।' দীপু মনি এ কথার প্রতিক্রিয়ায় মাথা নেড়ে বোঝান, এ তথ্য ঠিক নয়। ভবিষ্যতে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের ন্যায্যতা থাকবে।'
'পানি না দিলে ট্রানজিট নয়'_একজন মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তিস্তা চুক্তি না হওয়ার কারণে ট্রানজিট বিষয়ে সম্মতিপত্র বিনিময় হয়নি, এমন কথা বলা যাবে না, আবার সরকার তা চিন্তা করেই করেছে, সে কথাটিও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।' তিনি বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে যখন কোনো কিছু বিনিময় হয় তখন অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয়, সে দিক দিয়ে হয়তো এ ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। তবে তিস্তা চুক্তির মতো ট্রানজিটের সম্মতিপত্র বিনিময়ের বিষয়টিও চূড়ান্ত রয়েছে এবং ঠিক সময়ে তা করা হবে।'
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহনে ভারত ফি দিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের সম্মতিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রযোজ্য সব ফি পরিশোধ করেই ভারতীয় পণ্য আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য আশুগঞ্জে যে তিনটি জাহাজ এসেছে, সেগুলোর দুটি বাংলাদেশি। কলকাতা বন্দর থেকে আরো একটি বাংলাদেশি জাহাজকে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বেশির ভাগ জাহাজ বাংলাদেশি, সেটাই বড় কথা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, 'গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঠিক করা ফি পরিশোধ করেই ভারতীয় পণ্য পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রিপুরা যাচ্ছে। পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য নতুন করে ফি আদায় করা হচ্ছে না।'
সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য তিস্তা চুক্তি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট, সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধ, ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে শুরুতেই তিনি জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে তাঁর বিভিন্ন কাজের বর্ণনা এবং জার্মানির হামবুর্গে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গত মাসে অনুষ্ঠিত সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের শুনানিতে বাংলাদেশের অবস্থানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা জানতে চান, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগের রাতে অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তিনি কিসের ভিত্তিতে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন যে, 'তিস্তা চুক্তি হবে।' এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি যেহেতু রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছি, সেহেতু সরকারি তথ্যের বাইরে কিছু বলতে পারি না। ভারত সরকারের সর্বশেষ যে বার্তাটি তখন আমাদের কাছে ছিল তা হলো তিস্তাসহ আরো কয়েকটি চুক্তি হবে। তাই আমি আশা প্রকাশ করেছিলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওই সফরেই যে চুক্তিটি হচ্ছে না, এমন বার্তা পরে আমাদের কাছে এসেছিল।'
মনমোহনের ঢাকা সফরের পর সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকে তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার যে বিভিন্ন সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে কোনটি সঠিক, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি গণক নই, বলতে পারছি না তিস্তা চুক্তি কবে হবে।' সাংবাদিকরা বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তিস্তা চুক্তির খসড়ায় বাংলাদেশ ও ভারত ৪৮:৫২ হারে পানি ভাগাভাগি করতে সম্মত হয়েছিল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ ভাগের বেশি পানি দিতে চান না।' দীপু মনি এ কথার প্রতিক্রিয়ায় মাথা নেড়ে বোঝান, এ তথ্য ঠিক নয়। ভবিষ্যতে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের ন্যায্যতা থাকবে।'
'পানি না দিলে ট্রানজিট নয়'_একজন মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তিস্তা চুক্তি না হওয়ার কারণে ট্রানজিট বিষয়ে সম্মতিপত্র বিনিময় হয়নি, এমন কথা বলা যাবে না, আবার সরকার তা চিন্তা করেই করেছে, সে কথাটিও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।' তিনি বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে যখন কোনো কিছু বিনিময় হয় তখন অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয়, সে দিক দিয়ে হয়তো এ ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। তবে তিস্তা চুক্তির মতো ট্রানজিটের সম্মতিপত্র বিনিময়ের বিষয়টিও চূড়ান্ত রয়েছে এবং ঠিক সময়ে তা করা হবে।'
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহনে ভারত ফি দিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের সম্মতিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রযোজ্য সব ফি পরিশোধ করেই ভারতীয় পণ্য আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য আশুগঞ্জে যে তিনটি জাহাজ এসেছে, সেগুলোর দুটি বাংলাদেশি। কলকাতা বন্দর থেকে আরো একটি বাংলাদেশি জাহাজকে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বেশির ভাগ জাহাজ বাংলাদেশি, সেটাই বড় কথা।
No comments