আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার রাস্তা নির্মাণকাজের ৩০ লাখ টাকার টেন্ডার ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার দরপত্র জমাদানের আগেই গত সোমবার রাতে পৌর মেয়রের সঙ্গে আঁতাত করে তাঁরা ওই টেন্ডার ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকায় শহর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাফলগাছী এলাকায় একটি রাস্তা পাকাকরণের জন্য ১৭ লাখ ৩২ হাজার ২২৯ টাকা এবং ধরমপুর শিলালপাড়া এলাকায় অন্য একটি রাস্তা পাকাকরণ কাজের জন্য ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৪ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে গত ৪ সেপ্টেম্বর একটি টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ওই টেন্ডারের জন্য শিডিউল বিক্রির সময় নির্ধারণ করা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। দরপত্র জমাদানের শেষ সময় ৪ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত। আহ্বানকৃত এই টেন্ডারে অংশ নেওয়ার জন্য দুই গ্রুপে মোট ৫২টি শিডিউল বিক্রি হয়। কিন্তু গতকাল টেন্ডার বাঙ্ খোলার পর দেখা যায় দুই গ্রুপে মাত্র ছয়টি শিডিউল জমা পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্গাপুর পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর কালের কণ্ঠকে জানান, আওয়ামী লীগের কয়েকজন ঠিকাদার গত সোমবার রাতেই পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই টেন্ডারটি ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন; যার কারণে ৫২ জন ঠিকাদার শিডিউল সংগ্রহ করলেও দুই গ্রুপের জন্য তিনটি করে মাত্র ছয়টি শিডিউল জমা পড়েছে।
ভাগ-বাটোয়ারার কথা অস্বীকার করে পৌর মেয়র ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, 'বাইরে কী হয়েছে তা বলতে পারব না। টেন্ডার জমাদানের শেষ সময় পর্যন্ত দুই গ্রুপে মাত্র ছয়টি শিডিউল জমা হয়েছে এটাই জানি। টেন্ডার নিয়ে পৌরসভায় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।'
ভাগ-বাটোয়ারার কথা অস্বীকার করে পৌর মেয়র ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, 'বাইরে কী হয়েছে তা বলতে পারব না। টেন্ডার জমাদানের শেষ সময় পর্যন্ত দুই গ্রুপে মাত্র ছয়টি শিডিউল জমা হয়েছে এটাই জানি। টেন্ডার নিয়ে পৌরসভায় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।'
No comments