বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
হাইকোর্টের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (মানিক) লন্ডনে টিভি টক শোতে অংশ নিয়েছেন। বিচারাধীন মামলা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের কাছে নালিশ জানাবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। প্রধান বিচারপতি কোনো ব্যবস্থা না নিলে সমিতি আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলেও তিনি জানান।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী লন্ডনে একটি টিভি টক শোতে অংশ নিয়েছেন বলে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 'লন্ডনে টক শোতে ব্যস্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী' শীর্ষক সচিত্র ওই প্রতিবেদন দেখে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শামসুল হক চৌধুরী হলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বক্তব্য দেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি শাখার সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা বলেন, একজন বিচারপতির টক শোতে বক্তব্য দেওয়া দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। বিচারপতির টক শোতে বক্তব্য দেওয়া নজিরবিহীন। কোনো বিচারপতি যদি রাজনীতি করতে চান, তাঁর উচিত হবে বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি করা। রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, টক শোতে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বেশ কিছু বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আইনজীবী এম ইউ আহমেদ মৃত্যুর আগে থেকেই অনেক রোগে ভুগছিলেন।' এটা মাননীয় বিচারপতি কিভাবে জানলেন? তিনি কি ডাক্তার? এম ইউ আহমেদ কি কখনো তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এম ইউ আহমেদের অনেক রোগ ছিল_এ রায় তিনি কিভাবে দিলেন?
তাঁরা বলেন, একজন বিচারপতির টক শোতে বক্তব্য দেওয়া দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। বিচারপতির টক শোতে বক্তব্য দেওয়া নজিরবিহীন। কোনো বিচারপতি যদি রাজনীতি করতে চান, তাঁর উচিত হবে বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি করা। রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, টক শোতে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বেশ কিছু বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আইনজীবী এম ইউ আহমেদ মৃত্যুর আগে থেকেই অনেক রোগে ভুগছিলেন।' এটা মাননীয় বিচারপতি কিভাবে জানলেন? তিনি কি ডাক্তার? এম ইউ আহমেদ কি কখনো তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এম ইউ আহমেদের অনেক রোগ ছিল_এ রায় তিনি কিভাবে দিলেন?
No comments