এক তরুণীকে খুঁজছে পুলিশ স্ত্রীও নজরদারিতে
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আইনজীবী নাজির হায়াত খান হত্যার ঘটনায় নীপা ওরফে মিতা নামের এক তরুণীকে খুঁজছে পুলিশ। একই সঙ্গে খোঁজা হচ্ছে একজন আইনজীবীকেও। এ ঘটনায় নিহত নাজির হায়াতের স্ত্রী সানজিদা খান অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তবে বাদী নিজেও রয়েছেন পুলিশের নজরদারিতে।
মামলার তদন্তকারী সূত্র জানিয়েছে, আইনজীবী হায়াত খান হত্যার ঘটনায় দেখা দিয়েছে নানা রহস্য। এক তরুণীসহ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে। বাদী সানজিদা খানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ অবস্থায় পুলিশ খোদ বাদীকেও সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখছে না।
প্রসঙ্গত, ধানমণ্ডিতে নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন উচ্চ আদালতের আইনজীবী নাজির হায়াত খান। গত সোমবার বিকেলে ধানমণ্ডির ৯/এ নম্বর রোডের ২৩ নম্বর বাড়ি থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নিজ শয়নকক্ষের মেঝে থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।
ধানমণ্ডি থানার ওসি মনিরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, আইনজীবী নাজির খানকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় নীপা নামের এক নারীর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আরো কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে। তবে মামলার বাদীও সন্দেহের বাইরে নন।
হত্যাকাণ্ড সংঘটনের বাড়িটির ম্যানেজার নয়ন পুলিশকে জানান, আইনজীবী নাজিরের কাছে একেক সময় একেক মেয়ে আসত। কেউ এসে খোঁজ করলে অনুমতি নিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক থেকে মিতা ওরফে নীপা নামের এক তরুণী নাজির খানের সঙ্গে দেখা করতে আসে। এ সময় ইন্টারকমে জানতে চাওয়া হলে নাজির হায়াত মেয়েটিকে ওপরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে এরপর কখন মেয়েটি ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গেছে তা তাঁর জানা নেই। এ ছাড়া একজন আইনজীবী প্রায়ই তাঁর বাসায় আসতেন। তাঁর স্ত্রী সানজিদাও তিন-চার দিন এ বাসায় এসেছেন।
মামলার বাদী সানজিদা খান পুলিশকে বলেন, 'আমার স্বামী মাদকাসক্ত ছিল। সম্প্রতি সে আইন ব্যবসা বাদ দিয়ে সব সময় মদ আর পরনারী নিয়ে পড়ে থাকত। আমি বাসায় থাকা অবস্থায় প্রায়ই নাজির বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে এসে আলাদা কক্ষে থাকত। তাকে অনেক বোঝানো হয়েছে। সুপথে ফেরানোর জন্য হজে গিয়ে তার জন্য দোয়া কামনা করেছি। কিন্তু দিনকে দিন নাজির আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে গত ১ জুন আমি তার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাই।'
মামলার বিবরণীতে সানজিদা বলেছেন, নাজিরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি লালমাটিয়ার 'সি' ব্লকের একটি বাসায় ওঠেন। এর আগে তাঁরা একসঙ্গে ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসার ২/ডি নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে রুমানা হায়াত নরওয়ে প্রবাসী। ছেলে জাফির আহমেদ খান থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়। প্রায় দুই মাস আগে নাজির ধানমণ্ডির এই ফ্ল্যাটটি কিনে এখানেই বসবাস করে আসছিলেন।
সানজিদা দাবি করেন, হায়াত খান ২৩ নম্বর বাড়ি কেনার পর তিনি কখনো সেখানে যাননি। তবে নাজির গত মে মাসে ধানমণ্ডির ৬ নম্বর রোডে একটি জমি বিক্রি করার পর তা থেকে কিছু টাকা তাঁকে দিয়েছেন। নাজিরের সঙ্গে ফোনে মাঝেমধ্যেই তাঁর কথা হতো। দেখা হতো ধানমণ্ডি লেকে। সর্বশেষ কথা হয় ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর পৌনে ১টার দিকে। ওই দিন নাজিরের জন্য তিনি কিছু খাবারও পাঠান। ২ ও ৩ অক্টোবর নাজিরের মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও তিনি কোনো সাড়া পাননি। এরপর তাঁর খোঁজ জানতে গাড়িচালক সোহেলকে নাজিরের বাসায় পাঠান। তাঁর বাসায় গিয়ে সোহেল জানতে পারেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর নাজির বাসার নিচে নামেননি। পরে নিচতলা থেকে ইন্টারকমে ফ্ল্যাটে ফোন করেও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওসি মনিরুজ্জামান আরো জানান, নাজির-সানজিদা আলাদা থাকলেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। নিয়মিত যোগাযোগ হতো। তাঁদের একের প্রতি অপরের ভালোবাসাও ছিল। কিছুদিন আগে নাজির প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি করেন। কয়েক দিন আগে এক বান্ধবীকে নিয়ে কঙ্বাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন নাজির। এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, টাকা-পয়সার বিরোধে আইনজীবী নাজিরকে খুন করা হতে পারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। নাজিরের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা খোয়া গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর বাসায় আসা অতিথিদের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। ভবনের রেজিস্টার খাতা জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর সূত্র ধরে তদন্তকাজ চলছে।
এদিকে নাজিরের স্ত্রী সানজিদার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলব না। যা বলার পুলিশকে বলেছি। আপনারা পুলিশের কাছ থেকে জেনে নিন।'
প্রসঙ্গত, ধানমণ্ডিতে নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন উচ্চ আদালতের আইনজীবী নাজির হায়াত খান। গত সোমবার বিকেলে ধানমণ্ডির ৯/এ নম্বর রোডের ২৩ নম্বর বাড়ি থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নিজ শয়নকক্ষের মেঝে থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।
ধানমণ্ডি থানার ওসি মনিরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, আইনজীবী নাজির খানকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় নীপা নামের এক নারীর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আরো কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে। তবে মামলার বাদীও সন্দেহের বাইরে নন।
হত্যাকাণ্ড সংঘটনের বাড়িটির ম্যানেজার নয়ন পুলিশকে জানান, আইনজীবী নাজিরের কাছে একেক সময় একেক মেয়ে আসত। কেউ এসে খোঁজ করলে অনুমতি নিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক থেকে মিতা ওরফে নীপা নামের এক তরুণী নাজির খানের সঙ্গে দেখা করতে আসে। এ সময় ইন্টারকমে জানতে চাওয়া হলে নাজির হায়াত মেয়েটিকে ওপরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে এরপর কখন মেয়েটি ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গেছে তা তাঁর জানা নেই। এ ছাড়া একজন আইনজীবী প্রায়ই তাঁর বাসায় আসতেন। তাঁর স্ত্রী সানজিদাও তিন-চার দিন এ বাসায় এসেছেন।
মামলার বাদী সানজিদা খান পুলিশকে বলেন, 'আমার স্বামী মাদকাসক্ত ছিল। সম্প্রতি সে আইন ব্যবসা বাদ দিয়ে সব সময় মদ আর পরনারী নিয়ে পড়ে থাকত। আমি বাসায় থাকা অবস্থায় প্রায়ই নাজির বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে এসে আলাদা কক্ষে থাকত। তাকে অনেক বোঝানো হয়েছে। সুপথে ফেরানোর জন্য হজে গিয়ে তার জন্য দোয়া কামনা করেছি। কিন্তু দিনকে দিন নাজির আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে গত ১ জুন আমি তার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাই।'
মামলার বিবরণীতে সানজিদা বলেছেন, নাজিরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি লালমাটিয়ার 'সি' ব্লকের একটি বাসায় ওঠেন। এর আগে তাঁরা একসঙ্গে ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসার ২/ডি নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে রুমানা হায়াত নরওয়ে প্রবাসী। ছেলে জাফির আহমেদ খান থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়। প্রায় দুই মাস আগে নাজির ধানমণ্ডির এই ফ্ল্যাটটি কিনে এখানেই বসবাস করে আসছিলেন।
সানজিদা দাবি করেন, হায়াত খান ২৩ নম্বর বাড়ি কেনার পর তিনি কখনো সেখানে যাননি। তবে নাজির গত মে মাসে ধানমণ্ডির ৬ নম্বর রোডে একটি জমি বিক্রি করার পর তা থেকে কিছু টাকা তাঁকে দিয়েছেন। নাজিরের সঙ্গে ফোনে মাঝেমধ্যেই তাঁর কথা হতো। দেখা হতো ধানমণ্ডি লেকে। সর্বশেষ কথা হয় ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর পৌনে ১টার দিকে। ওই দিন নাজিরের জন্য তিনি কিছু খাবারও পাঠান। ২ ও ৩ অক্টোবর নাজিরের মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও তিনি কোনো সাড়া পাননি। এরপর তাঁর খোঁজ জানতে গাড়িচালক সোহেলকে নাজিরের বাসায় পাঠান। তাঁর বাসায় গিয়ে সোহেল জানতে পারেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর নাজির বাসার নিচে নামেননি। পরে নিচতলা থেকে ইন্টারকমে ফ্ল্যাটে ফোন করেও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওসি মনিরুজ্জামান আরো জানান, নাজির-সানজিদা আলাদা থাকলেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। নিয়মিত যোগাযোগ হতো। তাঁদের একের প্রতি অপরের ভালোবাসাও ছিল। কিছুদিন আগে নাজির প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি করেন। কয়েক দিন আগে এক বান্ধবীকে নিয়ে কঙ্বাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন নাজির। এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, টাকা-পয়সার বিরোধে আইনজীবী নাজিরকে খুন করা হতে পারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। নাজিরের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা খোয়া গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর বাসায় আসা অতিথিদের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। ভবনের রেজিস্টার খাতা জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর সূত্র ধরে তদন্তকাজ চলছে।
এদিকে নাজিরের স্ত্রী সানজিদার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলব না। যা বলার পুলিশকে বলেছি। আপনারা পুলিশের কাছ থেকে জেনে নিন।'
No comments