পাটগ্রামে ধরলায় ৩ শ বোমা মেশিনে পাথর উত্তোলনে উৎসব, প্রশাসন নীরব by মিলন পাটোয়ারী
লালমনিরহাট
জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা ও সিঙ্গিমারী নদীতে অবৈধ ‘বোমা’ মেশিনে পাথর
উত্তোলনের চলছে মহোৎসব। বোমা মেশিন উচ্ছেদের অভিযান ধীরগতিতে চলার কারণে
বোমা মেশিনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। নদী-নালা ও আবাদি জমিসহ
সর্বত্র নির্বিঘ্নে চলছে শতশত পাথর তোলার বোমা মেশিন। প্রশাসন রয়েছে
নীরব। পাথর ও বালি উত্তোলনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারাও
চালাচ্ছে পাল্লা দিয়ে।
সরেজমিন পাটিগ্রাম উপজেলার ধরলা নদীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে অবৈধ পাথর ও বালি উত্তোলনের মহোৎসব। সরকারি দলের নেতারা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দেদারছে উত্তোলন করছে পাথর। অভিযোগ উঠেছে, প্রাসশনের নামিদামি কর্মচারীদের অবৈধ টাকা দিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর। পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেংকান্দা ধনীরটারী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বিধবা আলেমা খাতুন ও তার ছেলে কৃষক আইয়ুব আলী জানান নদী সংলগ্ন দুই দন জমিতে ভুট্টা ও ইরি চাষ করার কথা ছিল কিন্তু হোসেন আলী ও তার ছেলেরা পাথর তোলার মেশিন বসিয়ে পানি সেচের নালা বন্ধ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে ইরি বিজ তলা পাথর তোলার ফলে নদীর পাড় ভাংগনে তলিয়ে গেছে। বিধবা আলেমা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন আমরা গরিব মানুষ প্রভাবশালী মেশিন মালিকদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস নাই। আমাদের জমি তারা নষ্ট করছে আবাদ নষ্ট করছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বলার পরও কোন সু-বিচার পাইনি। গত বছর যে জমিতে ইরি ও ভুট্টা চাষ করে আমাদের সংসার চলেছে সেই জমি এ বছর পাথর তোলায় বালুর পাহাড় জমে আছে। ক্ষতি পূরণের কথা বললে তারা নানা রকম হুমকি দিয়েছে। এখন আমরা কি খাব কোথায় যাব? পাটগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব প্রধান বেলাল জানান, আমার ইউনিয়নের বেংকান্দা মৌজার ৪, ৫ ও ৭ নং ওয়ার্ডে পাথর উত্তোলনের ফলে নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং অনেক আবাদি জমি নষ্ট হওয়ার একাধিক অভিযোগও পাওয়া গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে অবৈধভাবে ‘বোমা’ মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলনকারীদের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। অভিযানে কোন মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা বা জরিমানা করা হয়নি। শুধুমাত্র কিছু পাইপ ও পাথর তোলার সরঞ্জাম ভেঙে ফেলা হয়েছে।
তবে মালিকবিহীন চারটি মেশিন আটক করলেও তা ওই পাথর তোলা খাদে ফেলে দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এর মূল হোতা হলেন বাকি মেম্বার, বাকি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করলে বন্ধ হবে পাথর বালি উত্তোলন। এ ছাড়া রয়েছে সরেয়ার বাজারের তোবারক হোসেন, ধবলগুড়ির জজ মিয়া, মাস্টারবাড়ী এলাকার আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, বুড়িমারী বন্দরের রেজাউল ইসলাম, আলম মিয়া এদেরও র্যাব নিয়ে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে বন্ধ হবে অবৈধ ভাবে পাথর বালি উত্তোলন। এদিকে আগেই অভিযানে কথা ফাঁস হওয়ায় বোমা মেশিন মালিকরা সটকে পড়ে। তবে স্থানীয়দের অনেকে এ অভিযানকে বলেছেন ‘লোক দেখানো’। সিংগীমারী ও ধরলা নদী এলাকায় অভিযান চালায় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হকের নেতৃত্বে পাটগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় সেখানে চালু অবস্থায় চারটি ‘বোমা’ মেশিন ভেঙে ফেলে পাথরের খাদে ফেলে দেয়া হয়। এ খবরে কিছু কিছু মেশিন বন্ধ করে নদী থেকে সড়িয়ে লে এবং তিন-চারদিন পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ রাখে আবার অনেকে তাদের মেশিন পুরোদমে চালাছে। এরই মাঝে অভিযানও বন্ধ থাকে। ফলে মেশিন মালিকরা অভিযানও বন্ধ থাকার সুবাদে এখন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালালেও কোন মেশিন মালিককে এ পর্যন্ত আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তা ছাড়া অভিযান চালানোর পূর্বেই মেশিন মালিকরা দ্রুত মেশিন সরিয়ে ফেলে। অনেক সময় মেশিন পাথরের খাদে প্রশাসন ফেলে দিলেও কয়েক ঘণ্টা পর পানিতে ফেলে দেয়া মেশিন পানি থেকে তুলে আবার পাথর তোলা শুরু হয়। তবে হরতাল-অবরোধ ও সরকারি কোন কার্যক্রম যেমন পাবলিক পরীক্ষা বা অন্য কোন দায়িত্বে পুলিশ প্রশাসন থাকলে উৎসবের আমেজে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা চলে এসব মেশিন। বুড়িমারী জিরোপয়েন্ট, প্রধানপাড়া, ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, কুড়ারপার, ঝাকুয়াটারী, মাশানটারী ও মুন্সিরহাটের পূর্ব জোংড়া ভেরভেরিরহাট এলাকায় চলছে কয়েক শতাধিক মেশিন। কয়েক দিন আগে পাটগ্রাম উপজেলায় চলছিল ২শতাধিক মেশিন। বিভিন্ন অভিযানের পর মেশিন সংখ্যা কমে না গিয়ে বেড়েছে। এখন চলছে ৪ শতাধিক মেশিন। বাংলাবাড়ী গ্রামের শিক্ষক আপন জানালেন এখানে একটি খালে কয়েক দিন আগে একটি মাত্র মেশিন ছিল সেখানে এখন দেখি তিনটি মেশিন একসঙ্গে চলছে। অপর দিকে কাউয়ামারী ও পেদিরবাড়ির বেংকান্দা নামাজীরটারী, মিয়াজীরটারী উকনিরপাড়, মাসানটারী এলাকার কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ী জানালেন যে, পাটগ্রাম থানার নামের এক পুলিশ পাথর তোলার বোমা মেশিন মালিকদের কাছে থেকে প্রতি সপ্তাহের এক হাজার করে টাকা তুলছে। গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার একাধিক ব্যক্তি পুলিশকে মেশিন মালিকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করতে দেখেছে। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান থানার নামের কোন ব্যক্তি টাকা তুলে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর কুতুবুল আলম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ইতিমধ্যে অবৈধ বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মেশিন পাথরের খাদে ফেলে দিয়েছে। তবে এসব অবৈধ মালিকদের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকার কারণে তাদের বিরদ্ধে মামলা কিংবা তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। সরেজমিনে পেদিরবাড়ি এলাকায় মেশিন মালিক রাসেদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ছয় ভাইয়ের ছয়টি মেশিন এখানে চলছে সামনে ফজলু ডাক্তারের ছেলে রফিকুল ইসলামের ৪টি ও আলীয়ার ৫টি মেশিনসহ ওদের ভাই ভাগিনাদের ৩০ থেকে ৪০টা মেশিন মাসানটারীতে চলছে। পাথর ব্যবসায়ী সিরাজুল ও মোশারফ জানান, বোমা মেশিন দিয়ে পাথর তোলার পেছনে একটি সিন্ডিকেট গোটা পাটগ্রাম উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলার পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেশিন চালায়। কখনও কোয়ারি লিজ নেয় আবার কখনও বা রয়েলিটি আদায়ের নামে টাকা উত্তোলন করে। সেই টাকা দিয়ে এসব কর্তাদের তারা নানা কৌশলে ম্যানেজ করছে। ব্যবসায়ীরা আরও জানান মেশিন চালানোর সময় মেশিন প্রতি ১ থেকে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। পাথর বিক্রির পর ট্রাক প্রতি ৪শত টাকা রয়েলিটি দিতে হয়। এ ছাড়া যখন তখন অভিযানের নামে ঝক্কি ঝামেলাতো আছেই। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, অবৈধ পাথর বালী উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের ইতিমধ্যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিন পাটিগ্রাম উপজেলার ধরলা নদীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে অবৈধ পাথর ও বালি উত্তোলনের মহোৎসব। সরকারি দলের নেতারা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দেদারছে উত্তোলন করছে পাথর। অভিযোগ উঠেছে, প্রাসশনের নামিদামি কর্মচারীদের অবৈধ টাকা দিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর। পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেংকান্দা ধনীরটারী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বিধবা আলেমা খাতুন ও তার ছেলে কৃষক আইয়ুব আলী জানান নদী সংলগ্ন দুই দন জমিতে ভুট্টা ও ইরি চাষ করার কথা ছিল কিন্তু হোসেন আলী ও তার ছেলেরা পাথর তোলার মেশিন বসিয়ে পানি সেচের নালা বন্ধ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে ইরি বিজ তলা পাথর তোলার ফলে নদীর পাড় ভাংগনে তলিয়ে গেছে। বিধবা আলেমা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন আমরা গরিব মানুষ প্রভাবশালী মেশিন মালিকদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস নাই। আমাদের জমি তারা নষ্ট করছে আবাদ নষ্ট করছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বলার পরও কোন সু-বিচার পাইনি। গত বছর যে জমিতে ইরি ও ভুট্টা চাষ করে আমাদের সংসার চলেছে সেই জমি এ বছর পাথর তোলায় বালুর পাহাড় জমে আছে। ক্ষতি পূরণের কথা বললে তারা নানা রকম হুমকি দিয়েছে। এখন আমরা কি খাব কোথায় যাব? পাটগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব প্রধান বেলাল জানান, আমার ইউনিয়নের বেংকান্দা মৌজার ৪, ৫ ও ৭ নং ওয়ার্ডে পাথর উত্তোলনের ফলে নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং অনেক আবাদি জমি নষ্ট হওয়ার একাধিক অভিযোগও পাওয়া গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে অবৈধভাবে ‘বোমা’ মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলনকারীদের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। অভিযানে কোন মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা বা জরিমানা করা হয়নি। শুধুমাত্র কিছু পাইপ ও পাথর তোলার সরঞ্জাম ভেঙে ফেলা হয়েছে।
তবে মালিকবিহীন চারটি মেশিন আটক করলেও তা ওই পাথর তোলা খাদে ফেলে দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এর মূল হোতা হলেন বাকি মেম্বার, বাকি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করলে বন্ধ হবে পাথর বালি উত্তোলন। এ ছাড়া রয়েছে সরেয়ার বাজারের তোবারক হোসেন, ধবলগুড়ির জজ মিয়া, মাস্টারবাড়ী এলাকার আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, বুড়িমারী বন্দরের রেজাউল ইসলাম, আলম মিয়া এদেরও র্যাব নিয়ে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে বন্ধ হবে অবৈধ ভাবে পাথর বালি উত্তোলন। এদিকে আগেই অভিযানে কথা ফাঁস হওয়ায় বোমা মেশিন মালিকরা সটকে পড়ে। তবে স্থানীয়দের অনেকে এ অভিযানকে বলেছেন ‘লোক দেখানো’। সিংগীমারী ও ধরলা নদী এলাকায় অভিযান চালায় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হকের নেতৃত্বে পাটগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় সেখানে চালু অবস্থায় চারটি ‘বোমা’ মেশিন ভেঙে ফেলে পাথরের খাদে ফেলে দেয়া হয়। এ খবরে কিছু কিছু মেশিন বন্ধ করে নদী থেকে সড়িয়ে লে এবং তিন-চারদিন পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ রাখে আবার অনেকে তাদের মেশিন পুরোদমে চালাছে। এরই মাঝে অভিযানও বন্ধ থাকে। ফলে মেশিন মালিকরা অভিযানও বন্ধ থাকার সুবাদে এখন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালালেও কোন মেশিন মালিককে এ পর্যন্ত আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তা ছাড়া অভিযান চালানোর পূর্বেই মেশিন মালিকরা দ্রুত মেশিন সরিয়ে ফেলে। অনেক সময় মেশিন পাথরের খাদে প্রশাসন ফেলে দিলেও কয়েক ঘণ্টা পর পানিতে ফেলে দেয়া মেশিন পানি থেকে তুলে আবার পাথর তোলা শুরু হয়। তবে হরতাল-অবরোধ ও সরকারি কোন কার্যক্রম যেমন পাবলিক পরীক্ষা বা অন্য কোন দায়িত্বে পুলিশ প্রশাসন থাকলে উৎসবের আমেজে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা চলে এসব মেশিন। বুড়িমারী জিরোপয়েন্ট, প্রধানপাড়া, ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, কুড়ারপার, ঝাকুয়াটারী, মাশানটারী ও মুন্সিরহাটের পূর্ব জোংড়া ভেরভেরিরহাট এলাকায় চলছে কয়েক শতাধিক মেশিন। কয়েক দিন আগে পাটগ্রাম উপজেলায় চলছিল ২শতাধিক মেশিন। বিভিন্ন অভিযানের পর মেশিন সংখ্যা কমে না গিয়ে বেড়েছে। এখন চলছে ৪ শতাধিক মেশিন। বাংলাবাড়ী গ্রামের শিক্ষক আপন জানালেন এখানে একটি খালে কয়েক দিন আগে একটি মাত্র মেশিন ছিল সেখানে এখন দেখি তিনটি মেশিন একসঙ্গে চলছে। অপর দিকে কাউয়ামারী ও পেদিরবাড়ির বেংকান্দা নামাজীরটারী, মিয়াজীরটারী উকনিরপাড়, মাসানটারী এলাকার কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ী জানালেন যে, পাটগ্রাম থানার নামের এক পুলিশ পাথর তোলার বোমা মেশিন মালিকদের কাছে থেকে প্রতি সপ্তাহের এক হাজার করে টাকা তুলছে। গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার একাধিক ব্যক্তি পুলিশকে মেশিন মালিকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করতে দেখেছে। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান থানার নামের কোন ব্যক্তি টাকা তুলে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর কুতুবুল আলম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ইতিমধ্যে অবৈধ বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মেশিন পাথরের খাদে ফেলে দিয়েছে। তবে এসব অবৈধ মালিকদের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকার কারণে তাদের বিরদ্ধে মামলা কিংবা তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। সরেজমিনে পেদিরবাড়ি এলাকায় মেশিন মালিক রাসেদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ছয় ভাইয়ের ছয়টি মেশিন এখানে চলছে সামনে ফজলু ডাক্তারের ছেলে রফিকুল ইসলামের ৪টি ও আলীয়ার ৫টি মেশিনসহ ওদের ভাই ভাগিনাদের ৩০ থেকে ৪০টা মেশিন মাসানটারীতে চলছে। পাথর ব্যবসায়ী সিরাজুল ও মোশারফ জানান, বোমা মেশিন দিয়ে পাথর তোলার পেছনে একটি সিন্ডিকেট গোটা পাটগ্রাম উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলার পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেশিন চালায়। কখনও কোয়ারি লিজ নেয় আবার কখনও বা রয়েলিটি আদায়ের নামে টাকা উত্তোলন করে। সেই টাকা দিয়ে এসব কর্তাদের তারা নানা কৌশলে ম্যানেজ করছে। ব্যবসায়ীরা আরও জানান মেশিন চালানোর সময় মেশিন প্রতি ১ থেকে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। পাথর বিক্রির পর ট্রাক প্রতি ৪শত টাকা রয়েলিটি দিতে হয়। এ ছাড়া যখন তখন অভিযানের নামে ঝক্কি ঝামেলাতো আছেই। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, অবৈধ পাথর বালী উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের ইতিমধ্যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments