মায়ার মন্ত্রিত্বে আইনগত বাধা নেই: দুদক কমিশনার
দুর্নীতির
মামলা চলার সময় দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর
মন্ত্রিত্বেও আইনগত ‘বাধা’ দেখছেন না দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার
(তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন। তবে এটা কমিশনের বক্তব্য নয়, তাঁর ব্যক্তিগত মত
বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) এর নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে সাহাবুদ্দিন এমন মন্তব্য করেন। দুদকের এ কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, সে ক্ষেত্রে বিচার শেষ হওয়ার আগে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না।’
গত ২২ জুন মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান মায়ার মন্ত্রী ও সাংসদ পদে থাকা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, এ অবস্থায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকা সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, তিনি নৈতিকতার স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং আপিলে এখনো তিনি নির্দোষ সাব্যস্ত হননি। এ বিষয়টি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ, এ নিয়ে জাতীয় সংসদে একটি বিতর্ক হওয়া উচিত।’
দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যটি তাঁর ব্যক্তিগত। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে একমত নই।’
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। যতক্ষণ না বিষয়টি আদালতের রায়ে চূড়ান্ত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকতে আইনগত বাধা নেই। যদিও এটা কমিশনের বক্তব্য নয়। আমি আবারও বলছি এটা আমার বক্তব্য।’
কমিশনের মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাবেক এই জেলা জজ বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে মামলাটি পরিচালনা না করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়ে ছিল। সে ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদি আদালত কমিশনের সিদ্ধান্ত যথাযথ না মনে করে তবে তা-ই হবে।’
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। একই সঙ্গে মায়াকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রায়ে আদালত অবৈধভাবে অর্জিত মায়ার ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন।
ওই রায় ঘোষণার সময় মায়া পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুর্নীতির মামলা থেকে তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ তাদের আদেশে বলেছেন, বিচারিক বিবেচনা (জুডিশিয়াল মাইন্ড) প্রয়োগ না করে মায়াকে দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য হাইকোর্টকে নতুন করে সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ১৪ জুন এ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ যে আদেশ দেন, তাতে এ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এ বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আজ রোববার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) এর নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে সাহাবুদ্দিন এমন মন্তব্য করেন। দুদকের এ কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, সে ক্ষেত্রে বিচার শেষ হওয়ার আগে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না।’
গত ২২ জুন মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান মায়ার মন্ত্রী ও সাংসদ পদে থাকা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, এ অবস্থায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকা সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, তিনি নৈতিকতার স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং আপিলে এখনো তিনি নির্দোষ সাব্যস্ত হননি। এ বিষয়টি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ, এ নিয়ে জাতীয় সংসদে একটি বিতর্ক হওয়া উচিত।’
দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যটি তাঁর ব্যক্তিগত। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে একমত নই।’
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। যতক্ষণ না বিষয়টি আদালতের রায়ে চূড়ান্ত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকতে আইনগত বাধা নেই। যদিও এটা কমিশনের বক্তব্য নয়। আমি আবারও বলছি এটা আমার বক্তব্য।’
কমিশনের মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাবেক এই জেলা জজ বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে মামলাটি পরিচালনা না করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়ে ছিল। সে ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদি আদালত কমিশনের সিদ্ধান্ত যথাযথ না মনে করে তবে তা-ই হবে।’
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। একই সঙ্গে মায়াকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রায়ে আদালত অবৈধভাবে অর্জিত মায়ার ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন।
ওই রায় ঘোষণার সময় মায়া পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুর্নীতির মামলা থেকে তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ তাদের আদেশে বলেছেন, বিচারিক বিবেচনা (জুডিশিয়াল মাইন্ড) প্রয়োগ না করে মায়াকে দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য হাইকোর্টকে নতুন করে সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ১৪ জুন এ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ যে আদেশ দেন, তাতে এ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এ বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
No comments