প্রথম আলোর গোলটেবিল বৈঠক- টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ রক্ষা করতে হবে
প্রথম আলো আয়োজিত ‘রক্ষা করি পরিবেশ—গড়ি সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা l ছবি: প্রথম আলো |
পরিবেশকে
রক্ষা করে দেশের উন্নয়ন না করলে তা টেকসই হবে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য
দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘রক্ষা করি পরিবেশ—গড়ি সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। বৈঠকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, দেশে পরিবেশের সমস্যাগুলো কী তা আমরা খুব ভালোমতো জানি। এ বিষয়ে অনেক নীতি, আইন, কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা আছে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না। যারা বন-জলাভূমি ও পরিবেশ ধ্বংস করছে তাদের হাত এত শক্তিশালী যে সরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজ একযোগে দাঁড়ালেও তাদের সঙ্গে পেরে উঠবে না। তাই পরিবেশ রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
পরিবেশ রক্ষায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশের নানা পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ ইবনে সাত্তার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি পরিবেশ-বিষয়ক নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। পরিবেশকে রক্ষা করে অর্থনীতি ও জীবনমানের কীভাবে উন্নয়ন করা যাবে, সেই লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, কোনো প্রকল্প পরিবেশসম্মত কি না, তা যাচাই না করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ঋণ দেয় না।
প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশের অবস্থার তুলনা করে বলেন, বনজ সম্পদ চুরি ও বন্য প্রাণী হত্যা রোধে বন বিভাগকে কাজ করতে হচ্ছে। আবার বনের প্রতিবেশ ব্যবস্থাকেও রক্ষা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক সময় পরিবেশের কথা চিন্তা না করে বনভূমি ও জলাভূমি ইজারা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান বিশ্বজুড়ে পরিবেশ-বিষয়ক চিন্তাধারায় টেকসই উন্নয়নের ধারণা শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকেও টেকসই ও সামাজিকভাবে ন্যায়সংগত হতে হবে। এ জন্য পরিবেশকে ধ্বংস করে যাতে উন্নয়ন না করা হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি জলবায়ু সুশাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম নুরুল আমীন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ সভায় টেকসই উন্নয়ন-বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুমোদন হবে। এরপর থেকে বিশ্বের প্রতিটি দেশ উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে, তাতে পরিবেশকে আমলে নিতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকে মনে করে দেশে বন থাকলেই বা কী আর না থাকলেই বা কী। বন্য প্রাণী ও জলাভূমি না থাকলে আমাদের কী সমস্যা? কিন্তু তারা এটা জানে না মানুষ পৃথিবীর প্রতিবেশ ব্যবস্থার একটি অংশ মাত্র। এর মধ্যে উদ্ভিদ আছে, অন্য প্রাণীরা আছে। এদের যদি আমরা ধ্বংস করে ফেলি, তাহলে একদিন মানুষ নিজেও ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের শিক্ষার্থীদের যানজট নিরসনের জন্য কাজে লাগাই, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রকে বন ধ্বংসের চিত্র তুলে ধরার জন্য বলি, বন বিভাগ ও রাজউক যদি ঢাকার বনায়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করে তাহলে বাড়তি খরচ ছাড়াই দেশের পরিবেশ রক্ষা করা যাবে।’
পৃথিবীর বেশির ভাগ সমস্যা মানুষ নিজে সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ-বিষয়ক পরামর্শক ইসতিয়াক সোবহান। তিনি বলেন, এখন মানুষ নিজেই এসব সমস্যার কারণে বিপন্ন হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ যে পরিমাণে ভোগ করে তা যদি বিশ্বের সব মানুষ করা শুরু করে তাহলে পাঁচটি পৃথিবীর সমান সম্পদ লাগবে। পরিবেশ রক্ষায় মানুষের ভোগ কমাতে হবে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), বাংলাদেশের পরিবেশ বিভাগের প্রধান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। আবার দারিদ্র্য বিমোচনও করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকেও বিবেচনা করতে হবে। বিদ্যুৎ চালিত ছয়টি গৃহস্থ যন্ত্রের ওপরে গবেষণা করে দেখা গেছে, এই যন্ত্রগুলোতে যদি আমরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করি, তাহলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ব্যবহার কমবে।’
বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক সামিনা মজুমদার ঢাকা শহরের নগরায়ণের ধরন তুলে ধরে বলেন, ঢাকা ক্রমশ উত্তরে বর্ধিত হচ্ছে। কিন্তু নতুন এই এলাকাগুলোতে খোলা জায়গা, মাঠ ও গাছপালা নেই। নতুন ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের একাংশ ফাঁকা রাখা হলেও তা ইট-বালু ও সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সেখান দিয়ে বর্ষায় বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে যেতে পারছে না। জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আবার গ্রীষ্মকালে ওই পাকা জায়গায় সূর্যের রশ্মি পড়ে ভবনের উত্তাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন-বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে, তখন সরকার নিজেই তার জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। ২০১২ সালের পর উন্নয়ন-সহযোগীরা আমাদের জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন করছে না। অন্যদিকে সুন্দরবনের কাছে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সম্পদের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘রক্ষা করি পরিবেশ—গড়ি সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। বৈঠকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, দেশে পরিবেশের সমস্যাগুলো কী তা আমরা খুব ভালোমতো জানি। এ বিষয়ে অনেক নীতি, আইন, কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা আছে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না। যারা বন-জলাভূমি ও পরিবেশ ধ্বংস করছে তাদের হাত এত শক্তিশালী যে সরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজ একযোগে দাঁড়ালেও তাদের সঙ্গে পেরে উঠবে না। তাই পরিবেশ রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
পরিবেশ রক্ষায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশের নানা পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ ইবনে সাত্তার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি পরিবেশ-বিষয়ক নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। পরিবেশকে রক্ষা করে অর্থনীতি ও জীবনমানের কীভাবে উন্নয়ন করা যাবে, সেই লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, কোনো প্রকল্প পরিবেশসম্মত কি না, তা যাচাই না করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ঋণ দেয় না।
প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশের অবস্থার তুলনা করে বলেন, বনজ সম্পদ চুরি ও বন্য প্রাণী হত্যা রোধে বন বিভাগকে কাজ করতে হচ্ছে। আবার বনের প্রতিবেশ ব্যবস্থাকেও রক্ষা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক সময় পরিবেশের কথা চিন্তা না করে বনভূমি ও জলাভূমি ইজারা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান বিশ্বজুড়ে পরিবেশ-বিষয়ক চিন্তাধারায় টেকসই উন্নয়নের ধারণা শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকেও টেকসই ও সামাজিকভাবে ন্যায়সংগত হতে হবে। এ জন্য পরিবেশকে ধ্বংস করে যাতে উন্নয়ন না করা হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি জলবায়ু সুশাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম নুরুল আমীন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ সভায় টেকসই উন্নয়ন-বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুমোদন হবে। এরপর থেকে বিশ্বের প্রতিটি দেশ উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে, তাতে পরিবেশকে আমলে নিতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকে মনে করে দেশে বন থাকলেই বা কী আর না থাকলেই বা কী। বন্য প্রাণী ও জলাভূমি না থাকলে আমাদের কী সমস্যা? কিন্তু তারা এটা জানে না মানুষ পৃথিবীর প্রতিবেশ ব্যবস্থার একটি অংশ মাত্র। এর মধ্যে উদ্ভিদ আছে, অন্য প্রাণীরা আছে। এদের যদি আমরা ধ্বংস করে ফেলি, তাহলে একদিন মানুষ নিজেও ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের শিক্ষার্থীদের যানজট নিরসনের জন্য কাজে লাগাই, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রকে বন ধ্বংসের চিত্র তুলে ধরার জন্য বলি, বন বিভাগ ও রাজউক যদি ঢাকার বনায়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করে তাহলে বাড়তি খরচ ছাড়াই দেশের পরিবেশ রক্ষা করা যাবে।’
পৃথিবীর বেশির ভাগ সমস্যা মানুষ নিজে সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ-বিষয়ক পরামর্শক ইসতিয়াক সোবহান। তিনি বলেন, এখন মানুষ নিজেই এসব সমস্যার কারণে বিপন্ন হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ যে পরিমাণে ভোগ করে তা যদি বিশ্বের সব মানুষ করা শুরু করে তাহলে পাঁচটি পৃথিবীর সমান সম্পদ লাগবে। পরিবেশ রক্ষায় মানুষের ভোগ কমাতে হবে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), বাংলাদেশের পরিবেশ বিভাগের প্রধান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। আবার দারিদ্র্য বিমোচনও করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকেও বিবেচনা করতে হবে। বিদ্যুৎ চালিত ছয়টি গৃহস্থ যন্ত্রের ওপরে গবেষণা করে দেখা গেছে, এই যন্ত্রগুলোতে যদি আমরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করি, তাহলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ব্যবহার কমবে।’
বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক সামিনা মজুমদার ঢাকা শহরের নগরায়ণের ধরন তুলে ধরে বলেন, ঢাকা ক্রমশ উত্তরে বর্ধিত হচ্ছে। কিন্তু নতুন এই এলাকাগুলোতে খোলা জায়গা, মাঠ ও গাছপালা নেই। নতুন ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের একাংশ ফাঁকা রাখা হলেও তা ইট-বালু ও সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সেখান দিয়ে বর্ষায় বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে যেতে পারছে না। জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আবার গ্রীষ্মকালে ওই পাকা জায়গায় সূর্যের রশ্মি পড়ে ভবনের উত্তাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন-বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে, তখন সরকার নিজেই তার জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। ২০১২ সালের পর উন্নয়ন-সহযোগীরা আমাদের জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন করছে না। অন্যদিকে সুন্দরবনের কাছে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সম্পদের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
No comments