আশার কথা শোনাতে পারছেন না দুই মেয়র
জলাবদ্ধতায়
ত্যক্ত-বিরক্ত নগরবাসীর শিগগিরই মুক্তির কোনো আশা নেই। ঢাকা উত্তর ও
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র এ ব্যাপারে আশার কথা শোনাতে পারছেন না।
এদিকে নগরবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দফায় জলাবদ্ধতার দায় দুই মেয়র এড়াতে পারলেও আগামী বছর বর্ষার আগেই তাঁদের ‘দৃশ্যমান’ কিছু করে দেখাতে হবে। শহরে বিভিন্ন পরিষেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার জন্য সিটি করপোরেশনের দায়ও নেহাত কম নয়।
প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘জলাবদ্ধতা কবে যাবে, এর উত্তর আমার জানা নেই। এটা কমবেই, তা জানি।’ তিনি জলাবদ্ধতার জন্য কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ১৫ মের পরে রাস্তা না কাটার নির্দেশনা ওয়াসা মানছে না। টাকা ছাড়ের হেরফেরের কারণে এমনটি হচ্ছে। তিনি কিছু উদ্যোগের কথাও বলেছেন। খালের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় একটি নামকরা আবাসন প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ করেছেন এবং মিরপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬২টি বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন জলাবদ্ধতার জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণকে দায়ী করেছেন। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নগরের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় পয়োব্যবস্থা রাখা হয়নি। তার ওপর বক্স কালভার্ট করে খাল ভরাট করা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বন্যাপ্রবাহ এলাকা, যেখান থেকে পানি নেমে যাবে, সেখানে বালু ফেলে ভরাট করে আবাসন প্রকল্প ও বাড়ি উঠেছে।
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে কাজ শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন মেয়রদের এখনো দায়-দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার সময় হয়নি। ২০১৫-২০৩৫ সাল মেয়াদে রাজউকের স্ট্রাকচার প্ল্যান আছে। সেখানে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা প্রসঙ্গে কিছু সুপারিশ আছে। মেয়ররা এগুলো পড়ে দেখে সব প্রতিষ্ঠান ও নগর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে মিরপুর সড়কে এখন আর সেভাবে পানি জমে থাকছে না। ওয়াসা যেন তার কাজটা ঠিকমতো করতে পারে, সে জন্য সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা দরকার। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই একটা একটা করে কাজ শেষ করতে হবে। খালগুলো পুনরুদ্ধার করা দরকার, জলাধার থাকা বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, নিচু জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করেছে বেশ কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু জলাধার রাখেনি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নিকুঞ্জ থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ৩০০ ফুট চওড়া রাস্তার দুই পাশে ১০০ ফুট করে ২০০ ফুট খাল রাখার। এ নিয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা আগ্রহী নয় বলে তিনি জানান।
এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবীব বলেছেন, নগরে ভূ-উপরিস্থিত পয়োপ্রণালি পুরোটা ও ভূ-গর্ভস্থ প্রণালির ৩০ ভাগ সিটি করপোরেশনের। তাই সিটি করপোরেশন দায় এড়াতে পারে না। তাঁর মতে, সিটি করপোরেশনের কঠিন বর্জ্য খাল, বিল, ঝিলগুলোকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। সিটি করপোরেশনের উচিত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা। একই সঙ্গে কর্তৃত্ব নিয়ে পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এদিকে নগরবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দফায় জলাবদ্ধতার দায় দুই মেয়র এড়াতে পারলেও আগামী বছর বর্ষার আগেই তাঁদের ‘দৃশ্যমান’ কিছু করে দেখাতে হবে। শহরে বিভিন্ন পরিষেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার জন্য সিটি করপোরেশনের দায়ও নেহাত কম নয়।
প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘জলাবদ্ধতা কবে যাবে, এর উত্তর আমার জানা নেই। এটা কমবেই, তা জানি।’ তিনি জলাবদ্ধতার জন্য কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ১৫ মের পরে রাস্তা না কাটার নির্দেশনা ওয়াসা মানছে না। টাকা ছাড়ের হেরফেরের কারণে এমনটি হচ্ছে। তিনি কিছু উদ্যোগের কথাও বলেছেন। খালের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় একটি নামকরা আবাসন প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ করেছেন এবং মিরপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬২টি বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন জলাবদ্ধতার জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণকে দায়ী করেছেন। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নগরের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় পয়োব্যবস্থা রাখা হয়নি। তার ওপর বক্স কালভার্ট করে খাল ভরাট করা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বন্যাপ্রবাহ এলাকা, যেখান থেকে পানি নেমে যাবে, সেখানে বালু ফেলে ভরাট করে আবাসন প্রকল্প ও বাড়ি উঠেছে।
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে কাজ শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন মেয়রদের এখনো দায়-দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার সময় হয়নি। ২০১৫-২০৩৫ সাল মেয়াদে রাজউকের স্ট্রাকচার প্ল্যান আছে। সেখানে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা প্রসঙ্গে কিছু সুপারিশ আছে। মেয়ররা এগুলো পড়ে দেখে সব প্রতিষ্ঠান ও নগর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে মিরপুর সড়কে এখন আর সেভাবে পানি জমে থাকছে না। ওয়াসা যেন তার কাজটা ঠিকমতো করতে পারে, সে জন্য সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা দরকার। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই একটা একটা করে কাজ শেষ করতে হবে। খালগুলো পুনরুদ্ধার করা দরকার, জলাধার থাকা বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, নিচু জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করেছে বেশ কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু জলাধার রাখেনি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নিকুঞ্জ থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ৩০০ ফুট চওড়া রাস্তার দুই পাশে ১০০ ফুট করে ২০০ ফুট খাল রাখার। এ নিয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা আগ্রহী নয় বলে তিনি জানান।
এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবীব বলেছেন, নগরে ভূ-উপরিস্থিত পয়োপ্রণালি পুরোটা ও ভূ-গর্ভস্থ প্রণালির ৩০ ভাগ সিটি করপোরেশনের। তাই সিটি করপোরেশন দায় এড়াতে পারে না। তাঁর মতে, সিটি করপোরেশনের কঠিন বর্জ্য খাল, বিল, ঝিলগুলোকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। সিটি করপোরেশনের উচিত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা। একই সঙ্গে কর্তৃত্ব নিয়ে পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
No comments