বুলেট কেড়ে নিলো সোনিয়ার সংসার
মাত্র
৭ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ওবায়দুল ও সোনিয়ার। এখনও বিয়ে উৎসবের আমেজ কাটেনি
বাড়িতে। পরিবারের ছোট হওয়ায় নতুন বউয়ের যত্নআত্তি নিয়ে কমতি ছিল না কারও।
একসঙ্গে থাকবেন বলে সম্প্রতি স্ত্রী সোনিয়াকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়
এনেছিলেন। বাসা নিয়েছিলেন কলাবাগান থানাধীন ভূতেরগলির ৫৭ নম্বর নর্থ
সার্কুলার রোডে। কিন্তু একসঙ্গে থাকা হলো না তাদের। পাতা হলো না সুখের
সংসার। দুর্বৃত্তদের একটি বুলেট কেড়ে নিয়েছে ওবায়দুলের প্রাণ। গত শুক্রবার
রাতে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হন ওবায়দুল হাসান। তিনি
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম বিএসসির ভাগনে ও সানোয়ারা গ্রুপের
ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ (কোয়ালিটি আইসক্রিম) ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপক
হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওবায়দুলের মৃত্যুর পর নববধূ সোনিয়ার জীবনের সবকিছুই
যেন ওলটপালট হয়ে গেছে। এত অল্প সময়ে স্বামীকে হারিয়ে নির্বাক তাসনিম খাদিজা
সোনিয়া। ঢাকায় একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি শেষ করেছেন মাত্র।
স্বামীর ইচ্ছে ছিল এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার
দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে বসুন্ধরা সিটি থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন
ওবায়দুল হাসান। রিকশাটি ১০৩ নম্বর সার্কুলার রোডের সেলিম মিয়ার বাসার সামনে
আসলে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিন দুর্বৃত্ত এসে তার গতিরোধ করে। এরপর
তারা ওবায়দুলের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। সব
কিছু লুটে নেয়ার পরও তারা ওয়ায়দুল হকের মাথা বরাবর গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে রিকশাচালক তাকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত
ঘোষণা করেন। রিকশা চালকের বরাত দিয়ে কলাবাগান থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান,
ছিনতাইকারীদের বিনা বাধায় নিহত ওবায়দুল সব মালামাল দিয়ে দেন। কিন্তু কোন
বাধা না দেয়ার পরও তারা যাওয়ার সময় নিহতের মাথা বরাবর গুলি করে। ঘটনাটি
শুধু ছিনতাই নাকি অন্য কোন কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের
চাচাতো ভাই ইয়াসির শেখ আদনান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা
দায়ের করেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিহতের বড় ভাই শেখ আহমেদ জানান, নয় ভাইবোনের মধ্যে ওবায়দুল ছিল সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসে চট্টগ্রামের মেয়ে সোনিয়াকে বিয়ে করেন ওবায়দুল। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী ও মাকে নিয়ে কলাবাগান থানাধীন ৫৭ নম্বর নর্থ সার্কুলার রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি কোন রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাকুলিয়ায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সর্বশেষ কথা হয়েছিল সোনিয়া-ওবায়দুলের। স্বামীর ফেরার অপেক্ষায় বাসায় বসে ছিলেন সোনিয়া। রাতে হঠাৎ করেই ফোন বন্ধ পাওয়ায় এই নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ে পরিবারের সদস্যদের। খোঁজ নিতে ওবায়দুলের ছোট বোনের স্বামী প্রথমে কলাবাগান থানায় যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন বসুন্ধরা মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান সেখানে ফ্লোরে পড়ে আছে ওবায়দুল এর লাশ। এরপর পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসলে সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বামীর লাশের পাশে কাঁদতে দেখা যায় সোনিয়াকেও। বিশ্বাসই করতে পারছেন না ভালবাসার মানুষটি বেঁচে নেই। তার সঙ্গে কখনও নিজের ভাল লাগাটা শেয়ার করা হবে না। তবে যে মানুষটিকে হারিয়ে একেবারেই খুব বেশি একাকী হয়ে গেছেন সেই প্রিয়তমা স্ত্রী তাসনিম খাদিজা সোনিয়ার কাছে এখন বিয়ের ছবিগুলোই কেবলই শেষ সম্বল। স্বামীর মৃত্যুতে একটু পরপরই মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। অঝোরে কাঁদছিলেন বাড়ির বারান্দায়। কথা বলতে গিয়ে ভেসে উঠছিল জমে থাকা স্মৃতিগুলো। ‘আমি আর সে দারুণ মানিয়ে গিয়েছিলাম। দুজনের একটা পরিকল্পনা ছিল। কখনও মনে হয়নি সে আমার স্বামী। সবসময় বন্ধু হয়েই থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওবায়দুল। বলেছিল সারা জীবন পাশে থাকবে। কিন্তু কেন সে চলে গেল জানিনা।’ বলছিলেন সোনিয়া। তার সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখন বাড়িভর্তি মানুষ তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টায়। সোনিয়ার একটা কথাই তখন কানে আসছিল সবার। ‘তুমি ফিরে এসো। আমার স্বামীকে কেন চলে যেতে হলো। কি নিয়ে বাঁচবো আমি। কাকে ধরে বাঁচবো।’
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আসামিদের চিহ্নিত করা কঠিন হবে না পুলিশের। কারণ তাদের সিসি ক্যামেরাতে দেখা গেছে। পরিবারের কারও সঙ্গে কোন শত্রুতা নেই দাবি করে ভাই শেখ আহমেদ বলেন, সে কোন রাজনীতি করতো না। ঢাকার বসুন্ধরা মার্কেটে সানোয়ারা করপোরেশনের আইসক্রিম শপের ম্যানেজার ছিল। রোজ রাতে বাড়ি ফিরতো। ছিনতাইকারীরা টাকা ছিনিয়ে নিতে তাকে টার্গেট করেছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওবায়দুলের কপালের মাঝ বরাবর গুলি বিদ্ধ হয়েছিল। গুলিটি কপাল দিয়ে ঢুকে কানের পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে নিহতের সহকর্মী অরূপ রতন রায় ঢামেক থেকে লাশ গ্রহণ করেন।
নিহতের বড় ভাই শেখ আহমেদ জানান, নয় ভাইবোনের মধ্যে ওবায়দুল ছিল সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসে চট্টগ্রামের মেয়ে সোনিয়াকে বিয়ে করেন ওবায়দুল। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী ও মাকে নিয়ে কলাবাগান থানাধীন ৫৭ নম্বর নর্থ সার্কুলার রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি কোন রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাকুলিয়ায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সর্বশেষ কথা হয়েছিল সোনিয়া-ওবায়দুলের। স্বামীর ফেরার অপেক্ষায় বাসায় বসে ছিলেন সোনিয়া। রাতে হঠাৎ করেই ফোন বন্ধ পাওয়ায় এই নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ে পরিবারের সদস্যদের। খোঁজ নিতে ওবায়দুলের ছোট বোনের স্বামী প্রথমে কলাবাগান থানায় যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন বসুন্ধরা মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান সেখানে ফ্লোরে পড়ে আছে ওবায়দুল এর লাশ। এরপর পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসলে সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বামীর লাশের পাশে কাঁদতে দেখা যায় সোনিয়াকেও। বিশ্বাসই করতে পারছেন না ভালবাসার মানুষটি বেঁচে নেই। তার সঙ্গে কখনও নিজের ভাল লাগাটা শেয়ার করা হবে না। তবে যে মানুষটিকে হারিয়ে একেবারেই খুব বেশি একাকী হয়ে গেছেন সেই প্রিয়তমা স্ত্রী তাসনিম খাদিজা সোনিয়ার কাছে এখন বিয়ের ছবিগুলোই কেবলই শেষ সম্বল। স্বামীর মৃত্যুতে একটু পরপরই মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। অঝোরে কাঁদছিলেন বাড়ির বারান্দায়। কথা বলতে গিয়ে ভেসে উঠছিল জমে থাকা স্মৃতিগুলো। ‘আমি আর সে দারুণ মানিয়ে গিয়েছিলাম। দুজনের একটা পরিকল্পনা ছিল। কখনও মনে হয়নি সে আমার স্বামী। সবসময় বন্ধু হয়েই থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওবায়দুল। বলেছিল সারা জীবন পাশে থাকবে। কিন্তু কেন সে চলে গেল জানিনা।’ বলছিলেন সোনিয়া। তার সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখন বাড়িভর্তি মানুষ তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টায়। সোনিয়ার একটা কথাই তখন কানে আসছিল সবার। ‘তুমি ফিরে এসো। আমার স্বামীকে কেন চলে যেতে হলো। কি নিয়ে বাঁচবো আমি। কাকে ধরে বাঁচবো।’
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আসামিদের চিহ্নিত করা কঠিন হবে না পুলিশের। কারণ তাদের সিসি ক্যামেরাতে দেখা গেছে। পরিবারের কারও সঙ্গে কোন শত্রুতা নেই দাবি করে ভাই শেখ আহমেদ বলেন, সে কোন রাজনীতি করতো না। ঢাকার বসুন্ধরা মার্কেটে সানোয়ারা করপোরেশনের আইসক্রিম শপের ম্যানেজার ছিল। রোজ রাতে বাড়ি ফিরতো। ছিনতাইকারীরা টাকা ছিনিয়ে নিতে তাকে টার্গেট করেছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওবায়দুলের কপালের মাঝ বরাবর গুলি বিদ্ধ হয়েছিল। গুলিটি কপাল দিয়ে ঢুকে কানের পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে নিহতের সহকর্মী অরূপ রতন রায় ঢামেক থেকে লাশ গ্রহণ করেন।
No comments