রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প- স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে
এবার রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার ঘোষণা দিয়েছে তিনটি ফরাসি ব্যাংক। এর আগে নরওয়ের দুটি পেনশন ফান্ডও একই রকম সিদ্ধান্ত নেয়। গোড়া থেকেই বাংলাদেশের পরিবেশবাদী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক অধিকারের কর্মীরা সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর প্রকল্পটি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। ক্রমেই এই দাবি জোরদার আন্তর্জাতিক আপত্তি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে রামপাল প্রকল্পের স্থান পরিবর্তন বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
ফরাসি ওই তিন ব্যাংক রামপাল বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় মূলত গত মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায়। ব্যাংকগুলোর পরিবেশ ও জনস্বার্থ নীতিমালায়ই আটকে যায় রামপালে অর্থায়নের প্রস্তাব। সে সময় ফরাসি গণমাধ্যমে বিষয়টি আলোচিত হয়। সম্প্রতি ব্রিটেনের দ্যগার্ডিয়ান পত্রিকা জানায়, ফ্রান্সের অন্যতম প্রধান তিনটি ব্যাংক ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল, সোসিয়েতে জেনেরাল ও বিএনপি পারিবাস রামপালে জড়াবে না। ছয় মাস আগে ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এনটিপিসি থেকে নরওয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের কারণও ছিল পরিবেশের মানদণ্ডে কোম্পানিটির শোচনীয় অসতর্কতা ও অদক্ষতা। তারাও বলেছিল, সুন্দরবনের ১০ মাইলের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এসে সুন্দরবনের ক্ষতি না হওয়ার আশ্বাস দেন। অথচ বিশ্বের বিরল ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনের ভেতর তেলবাহী–সারবাহী জাহাজডুবিতে বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন ও এর প্রাণসম্পদ ঝুঁকিতে পড়ছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও জানিয়েছে। ভবিষ্যতে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ছড়ানো দূষণ ও কেন্দ্রের জন্য হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহনের ঘটনা ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা সুন্দরবনকে চরম ঝুঁকিতে ফেলবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ বছরের শেষ দিকে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনেও সুন্দরবনের বিষয়টি জোরেশোরে উত্থাপিত হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে এত বিনিয়োগে আপত্তি, পরিবেশবাদীদের হুঁশিয়ারি এবং বিশেষজ্ঞদের আহ্বান, সেখানে সরকার কেন সুন্দরবনের কোলঘেঁষেই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, তা মোটেই বোধগম্য নয়। বিকল্প কোনো স্থানে প্রকল্পটি সরিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
ফরাসি ওই তিন ব্যাংক রামপাল বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় মূলত গত মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায়। ব্যাংকগুলোর পরিবেশ ও জনস্বার্থ নীতিমালায়ই আটকে যায় রামপালে অর্থায়নের প্রস্তাব। সে সময় ফরাসি গণমাধ্যমে বিষয়টি আলোচিত হয়। সম্প্রতি ব্রিটেনের দ্যগার্ডিয়ান পত্রিকা জানায়, ফ্রান্সের অন্যতম প্রধান তিনটি ব্যাংক ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল, সোসিয়েতে জেনেরাল ও বিএনপি পারিবাস রামপালে জড়াবে না। ছয় মাস আগে ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এনটিপিসি থেকে নরওয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের কারণও ছিল পরিবেশের মানদণ্ডে কোম্পানিটির শোচনীয় অসতর্কতা ও অদক্ষতা। তারাও বলেছিল, সুন্দরবনের ১০ মাইলের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এসে সুন্দরবনের ক্ষতি না হওয়ার আশ্বাস দেন। অথচ বিশ্বের বিরল ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনের ভেতর তেলবাহী–সারবাহী জাহাজডুবিতে বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন ও এর প্রাণসম্পদ ঝুঁকিতে পড়ছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও জানিয়েছে। ভবিষ্যতে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ছড়ানো দূষণ ও কেন্দ্রের জন্য হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহনের ঘটনা ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা সুন্দরবনকে চরম ঝুঁকিতে ফেলবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ বছরের শেষ দিকে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনেও সুন্দরবনের বিষয়টি জোরেশোরে উত্থাপিত হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে এত বিনিয়োগে আপত্তি, পরিবেশবাদীদের হুঁশিয়ারি এবং বিশেষজ্ঞদের আহ্বান, সেখানে সরকার কেন সুন্দরবনের কোলঘেঁষেই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, তা মোটেই বোধগম্য নয়। বিকল্প কোনো স্থানে প্রকল্পটি সরিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
No comments