চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মালিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম
নগরীর সদরঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক ও শ্রমিকদের
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত ও অন্তত ১০ জনকে আটক করেছে
পুলিশ। গতকাল দুপুর ২টার দিকে সদরঘাটের ডিসি ট্রাফিকের কার্যালয়ের সামনে
সংঘর্ষ শুরু হয়। নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালুর দাবিতে মিছিল করার সময় এ
ঘটনা ঘটে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) এস এম তানভীর
আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ব্যাটারি রিকশা মালিক সমিতির সঙ্গে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এক বৈঠক শেষে বুধবার থেকে ব্যাটারি ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘোষণা দেয় ট্রাফিক বিভাগ। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল সিএমপি কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ-মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে চট্টগ্রাম রিকশা মালিক সমিতি। এর অংশ হিসেবে গতকাল সকালে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা সিএমপি কার্যালয় অবরোধ করে রাখে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা।
এর আগে, অবিলম্বে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন চালক-মালিকরা। এ ছাড়া আজ নগরীর সদরঘাট ট্রাফিক অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন তারা। গতকাল সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক-মালিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক-মালিক শ্রমিক লীগ।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনকে বারবার আমরা আমাদের লিখিত আবেদন দিয়েছি। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মালিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু প্রশাসনের সুবুদ্ধির উদয় হয়নি। যদি অবিলম্বে ব্যাটারি রিকশা চালু করা না হয় তবে পেট বাঁচাতে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দিবে চালক শ্রমিকরা। ’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি স্বপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব ধর, আজিজুর রহমান ভূঁইয়া, মো. জাফর, মো. নাছির, মো. শাহনেওয়াজ, মো. মাসুদ, মো. আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
গত বছরের ৩রা জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের রায় দেন উচ্চ আদালত। এরপর ৩১শে আগস্ট থেকে বন্দরনগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নগর পুলিশ। ওই সময় অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে রিকশা মালিক-চালকরা। পরবর্তীকালে গত বছরের ৭ই সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলমের বাসভবন ঘেরাও করে মহাসড়কে ব্যারিকেড দেন তারা।
এরপর তারা উচ্চ আদালতে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করলে আদালত ছয় মাসের জন্য রায় স্থগিত করেন। চলতি বছর ১৯শে মার্চ নগর পুলিশের এক সভায় রিকশা থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলতে চালক ও মালিকদের তিনদিন অর্থাৎ রোববার (২২শে মার্চ) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয় এবং সোমবার (২৩শে মার্চ) থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন থেকে ঘোষণা ছাড়াই ব্যাটারি রিকশা চলাচল শুরু হয়। কিন্তু গত ২৩শে জুন নগর পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবারও ব্যাটারি রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ব্যাটারি রিকশা মালিক সমিতির সঙ্গে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এক বৈঠক শেষে বুধবার থেকে ব্যাটারি ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘোষণা দেয় ট্রাফিক বিভাগ। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল সিএমপি কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ-মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে চট্টগ্রাম রিকশা মালিক সমিতি। এর অংশ হিসেবে গতকাল সকালে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা সিএমপি কার্যালয় অবরোধ করে রাখে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা।
এর আগে, অবিলম্বে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন চালক-মালিকরা। এ ছাড়া আজ নগরীর সদরঘাট ট্রাফিক অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন তারা। গতকাল সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক-মালিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক-মালিক শ্রমিক লীগ।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনকে বারবার আমরা আমাদের লিখিত আবেদন দিয়েছি। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মালিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু প্রশাসনের সুবুদ্ধির উদয় হয়নি। যদি অবিলম্বে ব্যাটারি রিকশা চালু করা না হয় তবে পেট বাঁচাতে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দিবে চালক শ্রমিকরা। ’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি স্বপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব ধর, আজিজুর রহমান ভূঁইয়া, মো. জাফর, মো. নাছির, মো. শাহনেওয়াজ, মো. মাসুদ, মো. আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
গত বছরের ৩রা জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের রায় দেন উচ্চ আদালত। এরপর ৩১শে আগস্ট থেকে বন্দরনগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নগর পুলিশ। ওই সময় অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে রিকশা মালিক-চালকরা। পরবর্তীকালে গত বছরের ৭ই সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলমের বাসভবন ঘেরাও করে মহাসড়কে ব্যারিকেড দেন তারা।
এরপর তারা উচ্চ আদালতে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করলে আদালত ছয় মাসের জন্য রায় স্থগিত করেন। চলতি বছর ১৯শে মার্চ নগর পুলিশের এক সভায় রিকশা থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলতে চালক ও মালিকদের তিনদিন অর্থাৎ রোববার (২২শে মার্চ) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয় এবং সোমবার (২৩শে মার্চ) থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন থেকে ঘোষণা ছাড়াই ব্যাটারি রিকশা চলাচল শুরু হয়। কিন্তু গত ২৩শে জুন নগর পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবারও ব্যাটারি রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
No comments