পুষ্প সাহা পুকুর ভরাট by মুসা আহমেদ
লালবাগের পুষ্প সাহা পুকুরটি অবৈধভাবে ভরাট হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ লালবাগ থানার প্রধান কার্যালয় l ছবি: প্রথম আলো |
লালবাগের
জগন্নাথ সাহা সড়কের ঐতিহ্যবাহী পুষ্প সাহা পুকুর ভরাট করে এর জায়গা দখল
করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ঘর নির্মাণের পাশাপাশি এখন সেখানে সরকারি
দলের একটি অঙ্গসংগঠনের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
প্রাচীন এই পুকুর ভরাট করে দুই বছর আগে পূর্ব-উত্তর অংশে কয়েকটি ঘর নির্মাণ করা হয়। মাস খানেক আগে পুকুরটির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ দখল করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছে লালবাগ থানা শ্রমিক লীগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুরটি খনন ও দখলমুক্ত করতে একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ সম্পর্কে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সবকিছু যাচাই-বাছাই করে পুকুরটি পুনঃখননের পর মাছ চাষ করার শর্তে শিগগিরই ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১২ সালের এপ্রিলে অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসিলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই তফসিলে পুকুরটির মালিক হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০০৫ সালের পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা ৫০ কাঠার পুকুরটির চারপাশ থেকে ইটপাথর ও আবর্জনা ফেলে ভরাট শুরু করে। পরে ২০১৩ সালে পুকুরের প্রায় ৪ শতাংশ জায়গা নিয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন ইকরামুল্লা সরোয়ার্দী। তবে ঘরগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে ইকরামুল্লা বলেন, ঘর দুটি তাঁর নয়। এগুলো ‘ছোটকা’ নামের এক ব্যক্তির।
এ ছাড়া কয়েক মাস আগে পুকুরের প্রায় ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছে লালবাগ থানা শ্রমিক লীগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সম্প্রতি নির্মিত একটি টিনের ঘরের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা ‘জাতীয় শ্রমিক লীগ লালবাগ থানার প্রধান কার্যালয়’। কার্যালয়ের চারদিকে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে কার্যালয়টিতে কাউকে দেখা যায়নি।
পুকুরটির উত্তর-পূর্ব পাশে রয়েছে টিনের ঘর। ঘরটির বিভিন্ন কক্ষে রয়েছে ছোট ছোট হাঁড়ি-পাতিল তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকেরা। এখন একটি ছোট ডোবা ছাড়া প্রাচীন এই পুকুরের কোনো আলামত নেই।
এলাকায় ছোটকা নামে পরিচিত গোলাম আলী বলেছেন, ওই ঘরগুলো তাঁর নয়, ইকরামুল্লার। ছোটকার দাবি, তিনি এই জায়গার মালিক। জমির মালিকানা নিয়ে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।
লালবাগ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জানি, পুকুরের জায়গাটি সরকারের। তাই সরকারি দল হিসেবে ক্লাব করছি। সরকার চাইলে তা ভেঙে দেব।’
পুষ্প সাহা পুকুরটি দখলমুক্ত করতে ২০১৪ সালের প্রথম দিকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), গ্রিনমাইন্ড সোসাইটি ও পুষ্প সাহা পুকুর রক্ষা কমিটি।
পুকুর রক্ষা কমিটির সভাপতি সায়েমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুকুরটি দখলমুক্ত করতে একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে লিখিত আবেদন করেছি, কিন্তু সাড়া পাইনি। পুকুরটি দখলমুক্ত করতে পুরান ঢাকার সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
প্রাচীন এই পুকুর ভরাট করে দুই বছর আগে পূর্ব-উত্তর অংশে কয়েকটি ঘর নির্মাণ করা হয়। মাস খানেক আগে পুকুরটির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ দখল করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছে লালবাগ থানা শ্রমিক লীগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুরটি খনন ও দখলমুক্ত করতে একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ সম্পর্কে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সবকিছু যাচাই-বাছাই করে পুকুরটি পুনঃখননের পর মাছ চাষ করার শর্তে শিগগিরই ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১২ সালের এপ্রিলে অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসিলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই তফসিলে পুকুরটির মালিক হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০০৫ সালের পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা ৫০ কাঠার পুকুরটির চারপাশ থেকে ইটপাথর ও আবর্জনা ফেলে ভরাট শুরু করে। পরে ২০১৩ সালে পুকুরের প্রায় ৪ শতাংশ জায়গা নিয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন ইকরামুল্লা সরোয়ার্দী। তবে ঘরগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে ইকরামুল্লা বলেন, ঘর দুটি তাঁর নয়। এগুলো ‘ছোটকা’ নামের এক ব্যক্তির।
এ ছাড়া কয়েক মাস আগে পুকুরের প্রায় ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছে লালবাগ থানা শ্রমিক লীগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সম্প্রতি নির্মিত একটি টিনের ঘরের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা ‘জাতীয় শ্রমিক লীগ লালবাগ থানার প্রধান কার্যালয়’। কার্যালয়ের চারদিকে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে কার্যালয়টিতে কাউকে দেখা যায়নি।
পুকুরটির উত্তর-পূর্ব পাশে রয়েছে টিনের ঘর। ঘরটির বিভিন্ন কক্ষে রয়েছে ছোট ছোট হাঁড়ি-পাতিল তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকেরা। এখন একটি ছোট ডোবা ছাড়া প্রাচীন এই পুকুরের কোনো আলামত নেই।
এলাকায় ছোটকা নামে পরিচিত গোলাম আলী বলেছেন, ওই ঘরগুলো তাঁর নয়, ইকরামুল্লার। ছোটকার দাবি, তিনি এই জায়গার মালিক। জমির মালিকানা নিয়ে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।
লালবাগ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জানি, পুকুরের জায়গাটি সরকারের। তাই সরকারি দল হিসেবে ক্লাব করছি। সরকার চাইলে তা ভেঙে দেব।’
পুষ্প সাহা পুকুরটি দখলমুক্ত করতে ২০১৪ সালের প্রথম দিকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), গ্রিনমাইন্ড সোসাইটি ও পুষ্প সাহা পুকুর রক্ষা কমিটি।
পুকুর রক্ষা কমিটির সভাপতি সায়েমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুকুরটি দখলমুক্ত করতে একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে লিখিত আবেদন করেছি, কিন্তু সাড়া পাইনি। পুকুরটি দখলমুক্ত করতে পুরান ঢাকার সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
No comments