দর্জিপাড়ায় ঈদের ব্যস্ততা
ঈদকে
সামনে রেখে ব্যস্ত দর্জিপাড়া। দিন-রাত একাকার। অভিজাত মার্কেট থেকে শুরু
করে নগরীর অলিগলিতে চলছে এমন ব্যস্ততা। দর্জি দোকানিরা জানিয়েছেন, রমজানের
আগ থেকে শুরু হওয়া তাদের এ ব্যস্ততা চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। কিন্তু এবার
কাজে একটু ধীরগতি। নগরীর গুলিস্তান দর্জির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে,
ছোট-বড় প্রায় সব দর্জির দোকানে সমানতালে কাজ করছেন দর্জিরা। নানা বয়সীর
কাপড় সেলাই করতে করতে কখনও রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যাচ্ছে, তবুও শেষ হচ্ছে না
কাজ। এখানকার কয়েকজন দর্জি জানান, নগরীর অভিজাত অনেক টেইলারিং শপের পোশাকও
তারা সেলাই করেন। যারা রেডিমেড পোশাক না কিনে নিজের ইচ্ছামতো বানিয়ে নিতে
চান, তারাও ছোটখাটো দোকানের মাধ্যমে সেলাইয়ের অর্ডার বা ফরমায়েশ দেন। কাপড়
দোকান মালিকদের হাত ঘুরে এখানেই আসে। তাই বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শুধু
রমজান মাস এলেই তোড়জোড়টা বেড়ে যায় একটু বেশি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মার্কেটের দুই শতাধিক সেলাইয়ের দোকানেও সমানতালে চলছে ব্যস্ততা। দম ফেলার ফুরসত নেই এখন দর্জি দোকানের কারও। প্রতিটি দোকানে কাজ করছেন ৩ থেকে ৪ জন দর্জি। দর্জিরা জানান, দোকানে ৪ জন দর্জি নিয়মিত সুট, কোট, শার্ট, প্যান্ট, সাফারি সেলাইয়ের কাজ করছে। দেখা গেছে, মার্কেটের ছোট্ট দোকানগুলোর ভেতরে গাদাগাদি করে কাজ করছেন দর্জিরা। দোকানিরা জানান, এবার ঈদে সুতি কাপড় বেশি চলছে। যারা গজ কাপড়ের ঝামেলায় যেতে চান না, তারা সেলাই ছাড়া থ্রি-পিস কিনছেন। দোকানের কর্মকর্তারা জানান, একই সঙ্গে শার্ট-প্যান্ট ও সুট-সাফারির কাপড় কেনা এবং মানসম্মত সেলাইয়ের জন্য অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতারা এখানে বেশি আসেন। বেশ কয়েকটি দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ পাঞ্জাবি সেলাইয়ের খরচ পড়ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি সেলাইয়ে ৬৫০ থেকে এক হাজার ৫’শ টাকা আর পায়জামা সেলাইয়ের জন্য নেয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। নগরের অলিগলির দর্জির দোকানেও ব্যস্ততার কমতি নেই, তেমনি বিভিন্ন বিপণীকেন্দ্রের টেইলার্স দোকানগুলোতেও এখন কারও সঙ্গে কথা বলার সময় নেই কর্তৃপক্ষের। কাটিং মাস্টাররা জানান, সামগ্রিকভাবে সেলাইয়ের অর্ডার গত বছরের চেয়ে এবছর একটু কম।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সালিমাবাদ ভবনের নিচে আদর্শ পাঞ্জাবি টেইলার্সের কর্ণধার মো. খলিলুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর ফরমায়েশ ( অর্ডার) কম হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, মাসের শেষ হওয়ায় হয়তো এরকম পরিস্থিতি। তবে, আশা করছি দুই তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ভাল হবে। তার দোকানে একটি পাঞ্জাবি বানাতে খরচ পড়বে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। একই ভবনের বাবু টেইলার্সের মালিক বলেন, কাজ একটু কম। তিনি জানান, রমনা এবং সালিমাবাদ ভবনে প্রায় ২০০টি টেইলার্সের দোকান রয়েছে। সেঞ্চুরি টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, তার দোকানে প্যান্ট ৫০০ টাকা, স্যুট ৪২০০ টাকা এবং শার্ট সেলাইয়ে ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর ব্রাদার্স টেইলার্সের মালিক বেলাল হোসেন বলেন, এখনও আশানুরূপ ক্রেতা ফরমায়েশ দেয়নি। বেশি ক্রেতারের অপেক্ষায় আছি। তার দোকানে প্রতি শার্টের মজুরি ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। পীর ইয়ামেনী মার্কেটের পিছনে রয়েছে ১০০টির মতো দর্জির দোকান। প্রতিটি দোকানে ৪ থেকে ৫ কর্মচারী রয়েছে। এই মার্কেটের ওয়ার্সি টেইলার্সের মালিক আবদুস সোবহান ওয়ার্সি জানান, তার দোকানে পাঞ্জাবির মজুরি ৫০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এখানে কথা হয় দোকানী বজলু সিকদার, আলী নেওয়াজ, রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তারা প্রায় সবাই বলেছেন, এবছর কাজের গতি একটু কম।
আজিমপুর সিটি করপোরেশনের মার্কেটে সালোয়ার-কামিজ বানাতে আসা কলেজছাত্রী লিজা জানান, লিনেন কাপড়ের ঝুল কামিজের সঙ্গে প্যান্ট সালোয়ারের অর্ডার দিয়েছেন তিনি। বললেন, বুটিক হাউস বা যে কোন মার্কেট থেকে পোশাক কিনলে সেটি অন্যের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ভয় থেকে যায়। একটু পরিশ্রম করে নিজের পছন্দমতো পোশাক বানিয়ে নিলে সেটি যেমন অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়, তেমনি পোশাকের ক্যানভাসে রুচি ও সৃজনশীলতার প্রকাশটাও থাকে পুরোপুরি নিজস্ব।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মার্কেটের দুই শতাধিক সেলাইয়ের দোকানেও সমানতালে চলছে ব্যস্ততা। দম ফেলার ফুরসত নেই এখন দর্জি দোকানের কারও। প্রতিটি দোকানে কাজ করছেন ৩ থেকে ৪ জন দর্জি। দর্জিরা জানান, দোকানে ৪ জন দর্জি নিয়মিত সুট, কোট, শার্ট, প্যান্ট, সাফারি সেলাইয়ের কাজ করছে। দেখা গেছে, মার্কেটের ছোট্ট দোকানগুলোর ভেতরে গাদাগাদি করে কাজ করছেন দর্জিরা। দোকানিরা জানান, এবার ঈদে সুতি কাপড় বেশি চলছে। যারা গজ কাপড়ের ঝামেলায় যেতে চান না, তারা সেলাই ছাড়া থ্রি-পিস কিনছেন। দোকানের কর্মকর্তারা জানান, একই সঙ্গে শার্ট-প্যান্ট ও সুট-সাফারির কাপড় কেনা এবং মানসম্মত সেলাইয়ের জন্য অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতারা এখানে বেশি আসেন। বেশ কয়েকটি দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ পাঞ্জাবি সেলাইয়ের খরচ পড়ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি সেলাইয়ে ৬৫০ থেকে এক হাজার ৫’শ টাকা আর পায়জামা সেলাইয়ের জন্য নেয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। নগরের অলিগলির দর্জির দোকানেও ব্যস্ততার কমতি নেই, তেমনি বিভিন্ন বিপণীকেন্দ্রের টেইলার্স দোকানগুলোতেও এখন কারও সঙ্গে কথা বলার সময় নেই কর্তৃপক্ষের। কাটিং মাস্টাররা জানান, সামগ্রিকভাবে সেলাইয়ের অর্ডার গত বছরের চেয়ে এবছর একটু কম।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সালিমাবাদ ভবনের নিচে আদর্শ পাঞ্জাবি টেইলার্সের কর্ণধার মো. খলিলুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর ফরমায়েশ ( অর্ডার) কম হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, মাসের শেষ হওয়ায় হয়তো এরকম পরিস্থিতি। তবে, আশা করছি দুই তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ভাল হবে। তার দোকানে একটি পাঞ্জাবি বানাতে খরচ পড়বে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। একই ভবনের বাবু টেইলার্সের মালিক বলেন, কাজ একটু কম। তিনি জানান, রমনা এবং সালিমাবাদ ভবনে প্রায় ২০০টি টেইলার্সের দোকান রয়েছে। সেঞ্চুরি টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, তার দোকানে প্যান্ট ৫০০ টাকা, স্যুট ৪২০০ টাকা এবং শার্ট সেলাইয়ে ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর ব্রাদার্স টেইলার্সের মালিক বেলাল হোসেন বলেন, এখনও আশানুরূপ ক্রেতা ফরমায়েশ দেয়নি। বেশি ক্রেতারের অপেক্ষায় আছি। তার দোকানে প্রতি শার্টের মজুরি ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। পীর ইয়ামেনী মার্কেটের পিছনে রয়েছে ১০০টির মতো দর্জির দোকান। প্রতিটি দোকানে ৪ থেকে ৫ কর্মচারী রয়েছে। এই মার্কেটের ওয়ার্সি টেইলার্সের মালিক আবদুস সোবহান ওয়ার্সি জানান, তার দোকানে পাঞ্জাবির মজুরি ৫০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এখানে কথা হয় দোকানী বজলু সিকদার, আলী নেওয়াজ, রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তারা প্রায় সবাই বলেছেন, এবছর কাজের গতি একটু কম।
আজিমপুর সিটি করপোরেশনের মার্কেটে সালোয়ার-কামিজ বানাতে আসা কলেজছাত্রী লিজা জানান, লিনেন কাপড়ের ঝুল কামিজের সঙ্গে প্যান্ট সালোয়ারের অর্ডার দিয়েছেন তিনি। বললেন, বুটিক হাউস বা যে কোন মার্কেট থেকে পোশাক কিনলে সেটি অন্যের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ভয় থেকে যায়। একটু পরিশ্রম করে নিজের পছন্দমতো পোশাক বানিয়ে নিলে সেটি যেমন অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়, তেমনি পোশাকের ক্যানভাসে রুচি ও সৃজনশীলতার প্রকাশটাও থাকে পুরোপুরি নিজস্ব।
No comments