প্রবল বর্ষণে ধস- তবু পাহাড় ছাড়ছে না মানুষ
খাগড়াছড়ি সদরের ধর্মঘর এলাকার এই পাহাড় ধসে পড়ে গত শনিবার চারটি দোকান ও একটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবিটি ২৭ জুন বিকেলে তোলা l প্রথম আলো |
টানা
বর্ষণে কক্সবাজার শহরের একাধিক পাহাড় ধসে পড়ছে। পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনাও
ঘটেছে। তবু পাহাড়ের ঘরবাড়ি ছাড়ছে না কেউ। শহরের ১১টি পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে
বাস করছে অন্তত এক লাখ মানুষ।
গত শুক্রবার শহরের ঘোনাপাড়ায় পাহাড়ধসে তিন বছরের একটি শিশু মারা যায়। মাটি চাপায় আহত হয় তিনজন। একই দিনে পাঁচটির বেশি পাহাড়ধসের ঘটনায় রামু ও কক্সবাজার শহরে চারজন মারা যায়। আহত হয় অন্তত ১২ জন। গত শনিবারও পাহাড়ধসে টেকনাফের বাহারছড়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সকালে শহরের ঘোনারপাড়া পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রবল বর্ষণের মধ্যেও লোকজন পাহাড়ের খাদে তৈরি করা ঝুপড়িতে অবস্থান করছে। ওপর থেকে নেমে আসা পানিতে এসব ঘরের কিছু অংশ ভেঙে যাচ্ছে। পাহাড়ে ওঠানামার রাস্তা দিয়ে প্রবল বেগে বৃষ্টির পানি নেমে আসছে।
একটি ঝুপড়ি ঘরের বাসিন্দা সলিমা আকতার জানান, অন্য কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই তাঁরা পাহাড় ছাড়তে পারছেন না।
শহরের আদর্শগ্রাম, টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার, লাইট হাউস, সার্কিট হাউস, পাহাড়তলী, লারপাড়া, এবিসি ঘোনাসহ আরও ১০টি পাহাড়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে হাজারো মানুষ।
সার্কিট হাউস পাহাড়ের বাসিন্দা মনির উল্লাহ বলেন, পাহাড়ধসের আশঙ্কায় তিন দিন ধরে কারও চোখে ঘুম নেই। তিনি বলেন, জীবনের মায়া ত্যাগ করে তাঁরা ঘরে অবস্থান করছেন। কারণ, এখন নিরাপদ স্থানে চলে গেলে অন্য কেউ এসে ঘরবাড়ি দখল করে নেবে।
পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল জানান, ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হলেও কেউ তাতে রাজি হচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোর করে পাহাড় থেকে উচ্ছেদ করাও কঠিন।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, শহরের ১১টি পাহাড়ে ১৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়িতে আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, মাইকিং করেও লোকজনকে পাহাড় থেকে নামানো যাচ্ছে না।
গত শুক্রবার শহরের কলাতলী, টিঅ্যান্ডটি পাহাড় ও আদর্শগ্রাম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ১৬টি অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি জানান, মৃত্যুঝুঁকি থেকে লোকজনকে রক্ষার জন্য অন্যান্য পাহাড়েও অভিযান চালানো হবে।
গত শুক্রবার শহরের ঘোনাপাড়ায় পাহাড়ধসে তিন বছরের একটি শিশু মারা যায়। মাটি চাপায় আহত হয় তিনজন। একই দিনে পাঁচটির বেশি পাহাড়ধসের ঘটনায় রামু ও কক্সবাজার শহরে চারজন মারা যায়। আহত হয় অন্তত ১২ জন। গত শনিবারও পাহাড়ধসে টেকনাফের বাহারছড়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সকালে শহরের ঘোনারপাড়া পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রবল বর্ষণের মধ্যেও লোকজন পাহাড়ের খাদে তৈরি করা ঝুপড়িতে অবস্থান করছে। ওপর থেকে নেমে আসা পানিতে এসব ঘরের কিছু অংশ ভেঙে যাচ্ছে। পাহাড়ে ওঠানামার রাস্তা দিয়ে প্রবল বেগে বৃষ্টির পানি নেমে আসছে।
একটি ঝুপড়ি ঘরের বাসিন্দা সলিমা আকতার জানান, অন্য কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই তাঁরা পাহাড় ছাড়তে পারছেন না।
শহরের আদর্শগ্রাম, টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার, লাইট হাউস, সার্কিট হাউস, পাহাড়তলী, লারপাড়া, এবিসি ঘোনাসহ আরও ১০টি পাহাড়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে হাজারো মানুষ।
সার্কিট হাউস পাহাড়ের বাসিন্দা মনির উল্লাহ বলেন, পাহাড়ধসের আশঙ্কায় তিন দিন ধরে কারও চোখে ঘুম নেই। তিনি বলেন, জীবনের মায়া ত্যাগ করে তাঁরা ঘরে অবস্থান করছেন। কারণ, এখন নিরাপদ স্থানে চলে গেলে অন্য কেউ এসে ঘরবাড়ি দখল করে নেবে।
পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল জানান, ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হলেও কেউ তাতে রাজি হচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোর করে পাহাড় থেকে উচ্ছেদ করাও কঠিন।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, শহরের ১১টি পাহাড়ে ১৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়িতে আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, মাইকিং করেও লোকজনকে পাহাড় থেকে নামানো যাচ্ছে না।
গত শুক্রবার শহরের কলাতলী, টিঅ্যান্ডটি পাহাড় ও আদর্শগ্রাম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ১৬টি অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি জানান, মৃত্যুঝুঁকি থেকে লোকজনকে রক্ষার জন্য অন্যান্য পাহাড়েও অভিযান চালানো হবে।
No comments