ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা জেএমবি ও হুজির by টিপু সুলতান
আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে নিষিদ্ধ দুই জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হরকাতুল জিহাদ (হুজি-বি)। এর মধ্যে জেএমবি তিনটি ধারায় বিভক্ত হয়ে সংগঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
দেশে জঙ্গি তৎপরতার ওপর নজরদারি করে এমন একাধিক সূত্র জানায়, জেএমবির কারাবন্দী আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বা তাঁর অনুসারীরা মূলত সংগঠন গোছানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এরা নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরোনো নিষ্ক্রিয় সদস্যদের উজ্জীবিত করাসহ শক্তি সঞ্চয়ের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে। এই অংশটি এখন কোনো নাশকতায় জড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে রাজি নয়।
অপরদিকে পুলিশ হত্যা করে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন ও বোমা মিজান নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেএমবির আরেকটি অংশের। এই অংশটি বড় ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ২০০৫ সালের মতো নতুন করে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু গত অক্টোবরে ভারতের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় সেটা সফল হয়নি বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করছে।
ভারতে গিয়ে বর্ধমানের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং পরে ওই সূত্রে দেশে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদেরও জেরা করেছেন—এমন একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, জেএমবির এই অংশটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার মুখে দেশে বসে প্রস্তুতি নিতে পারছিল না। তাই সীমান্তের ওপারে ভারতের বর্ধমানে বসে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০০৫ সালের মতো একযোগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নতুন করে নিজেদের জানান দেওয়া। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকবে বলে ওই সময়টাকে তারা বেছে নিয়েছিল।
বর্ধমানের ঘটনার সূত্র ধরে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে জেএমবির কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী জেনেছে যে জেএমবির এই অংশটি এখনো আগের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা কারাবন্দী আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গিনেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে বলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়।
গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে আক্রমণ করে সাজাপ্রাপ্ত তিন জঙ্গিনেতা সালাহউদ্দিন, বোমা মিজান ও হাফেজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জেএমবি। এঁদের একজন হাফেজ মাহমুদ ওই দিন সন্ধ্যায় ধরা পড়েন এবং ক্রসফায়ারে নিহত হন।
জেএমবির এই অংশটি মূলত ভারতের মুর্শিদাবাদ-মালদহকেন্দ্রিক সংগঠনের পুরোনো কর্মীদের সমর্থন নিয়ে বর্ধমানে আস্তানা গড়ে তুলেছিল বলে জানা গেছে। জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান গ্রেপ্তারের পর যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তাতেও বলেছিলেন, সংগঠনটি যাত্রার শুরুতেই মালদহে কমিটি করে। সেটা ছিল তাঁদের ৬৫তম জেলা কমিটি।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যুক্ত গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মতে, এর বাইরে জেএমবির তৃতীয় ধারাটিতে আছে মূলত তরুণ কর্মীরা। তাদের আগ্রহ এখন সিরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতি। এই অংশটি এর আগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রতি ঝুঁকেছিল। কেউ কেউ আনসারুল্লাহর সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তারও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। গত মার্চে ঢাকার তেজগাঁওয়ে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান হত্যায় হাতেনাতে ধরা পড়া দুজনের একজন জিকরুল্লাহও আগে জেএমবির সদস্য ছিল।
রাজধানীর গোপীবাগের স্বঘোষিত ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি লুৎফুর রহমানসহ ছয় খুন এবং রাজাবাজারে মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যার ঘটনায় জেএমবির এই তরুণ অংশটিকে সন্দেহের শীর্ষে রেখেছে তদন্তকারী সংস্থা।
অপরদিকে দেশের সবচেয়ে পুরোনো জঙ্গি সংগঠন হুজির প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী এবং বিভিন্ন নাশকতা মামলায় অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত। সংগঠনটি অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়।
বছর খানেক ধরে হুজি-বির একটা অংশ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মূলত কারাবন্দী দুই হুজি নেতা মাওলানা আবু সাইদ ও মুফতি আবদুর রউফের অনুসারী। হুজির নতুন করে তৎপরতা প্রথম নজরে আসে গত অক্টোবরে। তখন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এই দলের সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের একটি আস্তানা থেকে বোমা তৈরির বিপুল উপকরণও উদ্ধার হয়। ওই অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, এই দলটি আবু সাইদের নির্দেশে সংগঠিত হয়। তারা অস্ত্র-বিস্ফোরকের মজুত গড়ে তুলছিল। নারায়ণগঞ্জে রীতিমতো বোমা তৈরির গবেষণাগার গড়ে তুলেছিল। তিনি বলেন, ৭ জুন ঢাকা থেকে তাঁরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর একই সূত্রে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেন। এরা কারাবন্দী হুজি নেতা মুফতি আবদুর রউফের নির্দেশনায় সংগঠিত হচ্ছিল।
এসব জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে যে মতাদর্শিক দূরত্ব ছিল, তা সাম্প্রতিককালে অনেকটা ঘুচে গেছে বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, হুজি, জেএমবি, আনসারুল্লাহ—সবগুলো সংগঠনের শীর্ষ নেতারা এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে মতাদর্শিক যে দূরত্ব ছিল, কারাগারে বসে তা অনেকটা মিটিয়ে ফেলেছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব গোষ্ঠীর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব ভয়ংকর পর্যায়ে গেছে—এমনটা আমার মনে হচ্ছে না। তবে সাবধান না হলে ভবিষ্যতে বিপদ হতে পারে।’ তিনি বলেন, যুবসমাজকে বেশি করে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ভালো কাজে যুক্ত করতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এই নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মতে, পরিবারকেও সচেতন হতে হবে। সন্তানের মধ্যে হঠাৎ পরিবর্তন চোখে পড়লে মা-বাবাকে সতর্ক হতে হবে। অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে উগ্র মতাদর্শ প্রচার, ধর্মের ভুল বা খণ্ডিত ব্যাখ্যার বিপরীতে সরকারকেও পাল্টা কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।
দেশে জঙ্গি তৎপরতার ওপর নজরদারি করে এমন একাধিক সূত্র জানায়, জেএমবির কারাবন্দী আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বা তাঁর অনুসারীরা মূলত সংগঠন গোছানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এরা নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরোনো নিষ্ক্রিয় সদস্যদের উজ্জীবিত করাসহ শক্তি সঞ্চয়ের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে। এই অংশটি এখন কোনো নাশকতায় জড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে রাজি নয়।
অপরদিকে পুলিশ হত্যা করে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন ও বোমা মিজান নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেএমবির আরেকটি অংশের। এই অংশটি বড় ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ২০০৫ সালের মতো নতুন করে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু গত অক্টোবরে ভারতের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় সেটা সফল হয়নি বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করছে।
ভারতে গিয়ে বর্ধমানের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং পরে ওই সূত্রে দেশে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদেরও জেরা করেছেন—এমন একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, জেএমবির এই অংশটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার মুখে দেশে বসে প্রস্তুতি নিতে পারছিল না। তাই সীমান্তের ওপারে ভারতের বর্ধমানে বসে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০০৫ সালের মতো একযোগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নতুন করে নিজেদের জানান দেওয়া। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকবে বলে ওই সময়টাকে তারা বেছে নিয়েছিল।
বর্ধমানের ঘটনার সূত্র ধরে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে জেএমবির কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী জেনেছে যে জেএমবির এই অংশটি এখনো আগের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা কারাবন্দী আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গিনেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে বলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়।
গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে আক্রমণ করে সাজাপ্রাপ্ত তিন জঙ্গিনেতা সালাহউদ্দিন, বোমা মিজান ও হাফেজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জেএমবি। এঁদের একজন হাফেজ মাহমুদ ওই দিন সন্ধ্যায় ধরা পড়েন এবং ক্রসফায়ারে নিহত হন।
জেএমবির এই অংশটি মূলত ভারতের মুর্শিদাবাদ-মালদহকেন্দ্রিক সংগঠনের পুরোনো কর্মীদের সমর্থন নিয়ে বর্ধমানে আস্তানা গড়ে তুলেছিল বলে জানা গেছে। জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান গ্রেপ্তারের পর যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তাতেও বলেছিলেন, সংগঠনটি যাত্রার শুরুতেই মালদহে কমিটি করে। সেটা ছিল তাঁদের ৬৫তম জেলা কমিটি।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যুক্ত গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মতে, এর বাইরে জেএমবির তৃতীয় ধারাটিতে আছে মূলত তরুণ কর্মীরা। তাদের আগ্রহ এখন সিরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতি। এই অংশটি এর আগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রতি ঝুঁকেছিল। কেউ কেউ আনসারুল্লাহর সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তারও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। গত মার্চে ঢাকার তেজগাঁওয়ে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান হত্যায় হাতেনাতে ধরা পড়া দুজনের একজন জিকরুল্লাহও আগে জেএমবির সদস্য ছিল।
রাজধানীর গোপীবাগের স্বঘোষিত ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি লুৎফুর রহমানসহ ছয় খুন এবং রাজাবাজারে মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যার ঘটনায় জেএমবির এই তরুণ অংশটিকে সন্দেহের শীর্ষে রেখেছে তদন্তকারী সংস্থা।
অপরদিকে দেশের সবচেয়ে পুরোনো জঙ্গি সংগঠন হুজির প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী এবং বিভিন্ন নাশকতা মামলায় অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত। সংগঠনটি অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়।
বছর খানেক ধরে হুজি-বির একটা অংশ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মূলত কারাবন্দী দুই হুজি নেতা মাওলানা আবু সাইদ ও মুফতি আবদুর রউফের অনুসারী। হুজির নতুন করে তৎপরতা প্রথম নজরে আসে গত অক্টোবরে। তখন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এই দলের সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের একটি আস্তানা থেকে বোমা তৈরির বিপুল উপকরণও উদ্ধার হয়। ওই অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, এই দলটি আবু সাইদের নির্দেশে সংগঠিত হয়। তারা অস্ত্র-বিস্ফোরকের মজুত গড়ে তুলছিল। নারায়ণগঞ্জে রীতিমতো বোমা তৈরির গবেষণাগার গড়ে তুলেছিল। তিনি বলেন, ৭ জুন ঢাকা থেকে তাঁরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর একই সূত্রে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেন। এরা কারাবন্দী হুজি নেতা মুফতি আবদুর রউফের নির্দেশনায় সংগঠিত হচ্ছিল।
এসব জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে যে মতাদর্শিক দূরত্ব ছিল, তা সাম্প্রতিককালে অনেকটা ঘুচে গেছে বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, হুজি, জেএমবি, আনসারুল্লাহ—সবগুলো সংগঠনের শীর্ষ নেতারা এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে মতাদর্শিক যে দূরত্ব ছিল, কারাগারে বসে তা অনেকটা মিটিয়ে ফেলেছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব গোষ্ঠীর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব ভয়ংকর পর্যায়ে গেছে—এমনটা আমার মনে হচ্ছে না। তবে সাবধান না হলে ভবিষ্যতে বিপদ হতে পারে।’ তিনি বলেন, যুবসমাজকে বেশি করে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ভালো কাজে যুক্ত করতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এই নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মতে, পরিবারকেও সচেতন হতে হবে। সন্তানের মধ্যে হঠাৎ পরিবর্তন চোখে পড়লে মা-বাবাকে সতর্ক হতে হবে। অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে উগ্র মতাদর্শ প্রচার, ধর্মের ভুল বা খণ্ডিত ব্যাখ্যার বিপরীতে সরকারকেও পাল্টা কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।
No comments