জলমানবের গল্প by তাসনীম হাসান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃতী সাঁতারু ওয়াহিদুল ইসলাম |
ক্যাম্পাসে
তাঁর পরিচিতি জলমানব হিসেবে। কেউ কেউ মাইকেল ফেলপস বলেও সম্বোধন করেন।
কৃতী এই সাঁতারু তিনটি আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পেয়েছেন
২৫টি পদক। এর মধ্যে ২০টি স্বর্ণ
তিনটি আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায়
সাঁতারে অংশ নিয়ে ২৫টি পদক। তার মধ্যে ২০টিই স্বর্ণ! আবার দুটি
প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড়। এই সাফল্য ওয়াহিদুল ইসলামের। পড়েন চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। ক্যাম্পাসে ওয়াহিদুলকে ঘিরে
আবেগের বিস্ফোরণটা এমনই যে-ক্যাম্পাসে তাকে সবাই একনামে ডাকে ‘জলমানব’ বলে।
কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বলেন ‘মাইকেল ফেলপস’।
ওয়াহিদুল ২০১২ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। যেন সাফল্যের বরপুত্র হয়ে এলেন। ২০১৩ সালে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেতেন ছয়টি ছয়টি স্বর্ণ, সঙ্গে ওয়াটার পোলোতে সেরা গোলদাতা ও প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়। ২০১৪ সালে একই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেতেন দুটি স্বর্ণ ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ পদক। আর চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় তো ছাপিয়ে গেলেন সবকিছুকে। ১১টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবকটিতেই স্বর্ণ। সঙ্গে দলীয়ভাবে ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতাও স্বর্ণ। এর মধ্যে দুটি ইভেন্টে আবার আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার নতুন রেকর্ড। ভূষিত হন জলমানবের খেতাবে।
তবে সাঁতারে ওয়াহিদুলের খ্যাতি আগেই ছড়িয়েছে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-বিকেএসপিতে পড়ার দিনগুলোতে ছিলেন দেশের উদীয়মান সাঁতারুদের মধ্যে অন্যতম। সাঁতারের ভিত্তিটাও বিকেএসপির গড়ে দেওয়া। চাচাতো বোন মুক্তি আহমেদ ছিলেন বিকেএসপির সাঁতারের কোচ। তাঁর হাতে ধরেই এই জলমানবের উঠে আসা। ২০০২ সালে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন বিকেএসপিতে। সাঁতারের জন্য উপযুক্ত-লম্বা গড়ন, লিকলিকে শরীর। অনুশীলনে দেখালেন নিজের সামর্থ্য। ব্যস! দ্রুতই জায়গা হয়ে যায় জাতীয় জুনিয়র সাঁতার দলে। এক বছরের মাথায় জাতীয় জুনিয়র সাঁতারে অংশ নিয়ে জেতেন তিনটি পদক। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে, দীর্ঘ হয়েছে পদকের তালিকা। জুনিয়র সাঁতারে অংশ নিয়ে ২০০৪ সালে দুটি স্বর্ণ, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে তিনটি করে স্বর্ণ, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে চারটি করে স্বর্ণ এবং ২০০৯ ও ২০১০ সালে জেতেন পাঁচটি স্বর্ণ পদক। ২০১১ সালে জাতীয় সিনিয়র সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেতেন একটি স্বর্ণ।
ওয়াহিদুল বলেন, ‘আমি মূলত ব্রেস্ট স্ট্রোকে খেলি। তবে পুলে নামলেই হলো রিলে, ফ্রি স্টাইল কিংবা ওয়াটার পলো-ঝড় তুলতে পারি সব ক্ষেত্রেই। চাচাতো বোন মুক্তি আহমেদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনিই সাঁতারের বীজটা বুনে দিয়েছিলেন আমার মনে।’ ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কি? এক কথায় বললেন দুটি বাক্য। হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক না হয় একজন দক্ষ ক্রীড়া প্রতিবেদক।
ওয়াহিদুল ব্যক্তিজীবনে কিন্তু দারুণ আমুদে। দ্য ফিনিশারখ্যাত জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেনের এক সময়ের এই সতীর্থ নাসিরের মতই রসিকও। বন্ধুদের পেলেই যেন ভুলে যান বাকি পৃথিবী! আর স্বপ্ন একটাই। কখনো যদি সুযোগ আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে অন্তত একবার ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুলে ঝড় তোলা।
ওয়াহিদুল ২০১২ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। যেন সাফল্যের বরপুত্র হয়ে এলেন। ২০১৩ সালে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেতেন ছয়টি ছয়টি স্বর্ণ, সঙ্গে ওয়াটার পোলোতে সেরা গোলদাতা ও প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়। ২০১৪ সালে একই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেতেন দুটি স্বর্ণ ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ পদক। আর চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় তো ছাপিয়ে গেলেন সবকিছুকে। ১১টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবকটিতেই স্বর্ণ। সঙ্গে দলীয়ভাবে ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতাও স্বর্ণ। এর মধ্যে দুটি ইভেন্টে আবার আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার নতুন রেকর্ড। ভূষিত হন জলমানবের খেতাবে।
তবে সাঁতারে ওয়াহিদুলের খ্যাতি আগেই ছড়িয়েছে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-বিকেএসপিতে পড়ার দিনগুলোতে ছিলেন দেশের উদীয়মান সাঁতারুদের মধ্যে অন্যতম। সাঁতারের ভিত্তিটাও বিকেএসপির গড়ে দেওয়া। চাচাতো বোন মুক্তি আহমেদ ছিলেন বিকেএসপির সাঁতারের কোচ। তাঁর হাতে ধরেই এই জলমানবের উঠে আসা। ২০০২ সালে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন বিকেএসপিতে। সাঁতারের জন্য উপযুক্ত-লম্বা গড়ন, লিকলিকে শরীর। অনুশীলনে দেখালেন নিজের সামর্থ্য। ব্যস! দ্রুতই জায়গা হয়ে যায় জাতীয় জুনিয়র সাঁতার দলে। এক বছরের মাথায় জাতীয় জুনিয়র সাঁতারে অংশ নিয়ে জেতেন তিনটি পদক। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে, দীর্ঘ হয়েছে পদকের তালিকা। জুনিয়র সাঁতারে অংশ নিয়ে ২০০৪ সালে দুটি স্বর্ণ, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে তিনটি করে স্বর্ণ, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে চারটি করে স্বর্ণ এবং ২০০৯ ও ২০১০ সালে জেতেন পাঁচটি স্বর্ণ পদক। ২০১১ সালে জাতীয় সিনিয়র সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেতেন একটি স্বর্ণ।
ওয়াহিদুল বলেন, ‘আমি মূলত ব্রেস্ট স্ট্রোকে খেলি। তবে পুলে নামলেই হলো রিলে, ফ্রি স্টাইল কিংবা ওয়াটার পলো-ঝড় তুলতে পারি সব ক্ষেত্রেই। চাচাতো বোন মুক্তি আহমেদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনিই সাঁতারের বীজটা বুনে দিয়েছিলেন আমার মনে।’ ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কি? এক কথায় বললেন দুটি বাক্য। হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক না হয় একজন দক্ষ ক্রীড়া প্রতিবেদক।
ওয়াহিদুল ব্যক্তিজীবনে কিন্তু দারুণ আমুদে। দ্য ফিনিশারখ্যাত জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেনের এক সময়ের এই সতীর্থ নাসিরের মতই রসিকও। বন্ধুদের পেলেই যেন ভুলে যান বাকি পৃথিবী! আর স্বপ্ন একটাই। কখনো যদি সুযোগ আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে অন্তত একবার ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুলে ঝড় তোলা।
No comments