কৌশল আর চ্যালেঞ্জেই বছর শুরু ও শেষ by লুৎফর রহমান
গত
নির্বাচনের পর চ্যালেঞ্জ যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। নির্বাচন নিয়ে চারপাশে
তুমুল সমালোচনা থাকলেও দৃঢ়পদে তিনি পার করেছেন এক বছর। বিরোধী জোটের
নির্বাচন দাবি উপেক্ষা করেই ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের স্বাভাবিক মেয়াদ পার
করার। নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে থাকা নানা প্রশ্ন আর অস্বস্তির
মধ্যেই দ্বিতীয় বছরে পা রাখতে যাচ্ছে সরকার। গত এক বছরে সরকার পরিচালনার
দায়িত্ব নিয়ে অনেকটা বিরামহীন কাজ করেছেন তিনি। বিদায়ী বছরের চেয়ে আরও বড়
চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন বছরে পথ চলা শুরু হয়েছে তার। তিনি বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈরী অবস্থায় সরকার গঠন করে তিনি যেমন চ্যালেঞ্জ
নিয়েছিলেন তেমনি দলীয় অনেক ঘটনা তাকে মুখোমুখি করে অনেক কঠিন
চ্যালেঞ্জের। যদিও কৌশলী অবস্থান নিয়ে বরাবরই তিনি উৎরে গেছেন সব
পরিস্থিতি। বিএনপির অবরোধের মাধ্যমে শুরু হওয়া ২০১৪-এর শেষটাও হয়েছে
হরতালের মাধ্যমে। বিরোধী জোটের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেই যুদ্ধাপরাধের দায়ে
বেশ কয়েকজনের বিচারের রায় হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে জল অনেক গড়ালেও শেষ
পর্যন্ত দেশীয় অর্থায়নেই এর কাজ শুরু হয়েছে। দলের প্রবীণ নেতা আবদুল লতিফ
সিদ্দিকী নিউ ইয়র্কে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে দেশবাসীর ক্ষোভের কারণ হলেও
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী অতি দ্রুততার সঙ্গে তার বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেন। মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কার করেন। প্রতিশ্রুতি দেন তার
উপযুক্ত শাস্তির। ফলে এ ইস্যুতে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত হতে পারেনি ততোটা।
এদিকে দেশের রাজনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ থাকলেও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা,
আন্তর্জাতিক ফোরাম ও বন্ধুপ্রতিম দেশ সফর করে তিনি সরকারের ভাবমূর্তি
বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন বছরজুড়েই।
সরকার গঠনের পর বিদায়ী বছরের ৬ই জানুয়ারি গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা মোকাবিলায় জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সরকার পরিচালনার কথাও জানান তিনি। এরপর সরকারের কর্মকাণ্ডেও প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা যায়। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে যে সহিংসতা হয়েছিল তার আইনি ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়। মামলা করা হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ৭ই জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস ও সহিংসতা দমনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। ১৮ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এক বৈঠক হয়। এতে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে। এই বৈঠকে তিনি দলের নেতাদের সংগঠন শক্তিশালী করা এবং সরকার পরিচালনায় সহযোগিতার পরামর্শ দেন। মে মাসে জাপান সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি বন্ধুপ্রতিম এ দেশ সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়। ৩১শে মে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার জাপান সফর শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় তিনি বলেন- ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি পচে গেছে। বিএনপিকে ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখার চেষ্টা করছি। এ সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সুযোগ বলেও জানান তিনি। জাপান সফরের পর আরেক বন্ধু রাষ্ট্র চীন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। ১৪ই জুন চীন সফর শেষে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
যুক্তরাজ্য ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় ‘গার্ল সামিট-২০১৪’তে অংশ নেয়ার জন্য ২১শে জুলাই লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী। লন্ডন সফর শেষে ২৬শে জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় বিএনপির আন্দোলন মাঠেই মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী জোটকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধীনে যোগ দিতে ২১শে সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্মেলনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার ঘোষণা দেন। জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইতালি সফরে যান। সেখানে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। অক্টোবরে আমিরাত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই ছিল তার এ সফর। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে বিদ্যমান সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় উঠে আসে। দেশে ফিরে ৩০শে অক্টোবর এবিষয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে বলেন, একটি নির্বাচন হয়েছে। পরবর্তীতে আরেকটি নির্বাচন হবে। হ্যাঁ আমরা বলেছিলাম। বিএনপিকে নির্বাচনে নেয়ার জন্য আমরা সব চেষ্টাই করেছিলাম। এদিকে নির্বাচন নিয়ে বছরজুড়ে অস্বস্তি ছিল, ছিল কূটনৈতিক চাপ। এ চাপ এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আরও একটি বছর শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন বছরে রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলের মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গতি আনাই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সরকার গঠনের পর বিদায়ী বছরের ৬ই জানুয়ারি গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা মোকাবিলায় জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সরকার পরিচালনার কথাও জানান তিনি। এরপর সরকারের কর্মকাণ্ডেও প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা যায়। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে যে সহিংসতা হয়েছিল তার আইনি ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়। মামলা করা হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ৭ই জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস ও সহিংসতা দমনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। ১৮ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এক বৈঠক হয়। এতে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে। এই বৈঠকে তিনি দলের নেতাদের সংগঠন শক্তিশালী করা এবং সরকার পরিচালনায় সহযোগিতার পরামর্শ দেন। মে মাসে জাপান সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি বন্ধুপ্রতিম এ দেশ সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়। ৩১শে মে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার জাপান সফর শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় তিনি বলেন- ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি পচে গেছে। বিএনপিকে ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখার চেষ্টা করছি। এ সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সুযোগ বলেও জানান তিনি। জাপান সফরের পর আরেক বন্ধু রাষ্ট্র চীন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। ১৪ই জুন চীন সফর শেষে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
যুক্তরাজ্য ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় ‘গার্ল সামিট-২০১৪’তে অংশ নেয়ার জন্য ২১শে জুলাই লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী। লন্ডন সফর শেষে ২৬শে জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় বিএনপির আন্দোলন মাঠেই মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী জোটকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধীনে যোগ দিতে ২১শে সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্মেলনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার ঘোষণা দেন। জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইতালি সফরে যান। সেখানে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। অক্টোবরে আমিরাত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই ছিল তার এ সফর। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে বিদ্যমান সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় উঠে আসে। দেশে ফিরে ৩০শে অক্টোবর এবিষয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে বলেন, একটি নির্বাচন হয়েছে। পরবর্তীতে আরেকটি নির্বাচন হবে। হ্যাঁ আমরা বলেছিলাম। বিএনপিকে নির্বাচনে নেয়ার জন্য আমরা সব চেষ্টাই করেছিলাম। এদিকে নির্বাচন নিয়ে বছরজুড়ে অস্বস্তি ছিল, ছিল কূটনৈতিক চাপ। এ চাপ এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আরও একটি বছর শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন বছরে রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলের মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গতি আনাই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
No comments