ভয়ংকর ঢিল! by মো. ইমরান আহম্মেদ
ট্রেন
ছুটে চলছে। হঠাৎ কিছু এসে ট্রেনের গায়ে সবেগে লাগার বিকট শব্দ। কিছু বুঝে
ওঠার আগেই গায়ে এসে পড়ে ইটের ছোট ছোট টুকরা। খানিক পর ট্রেনের যাত্রীদের
বিমূঢ়-দশা কাটে। বুঝতে বাকি থাকে না, জানালার ফাঁক গলে ঢিল এসেছে। দুই
জানালার মাঝের লোহার অংশে লেগে আস্ত ঢিলটি ভেঙে টুকরো হওয়ায় এ যাত্রায়
রক্ষা মিলেছে। গতকাল বুধবার রাতে ট্রেনটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা আসছিল।
রাত পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেটের কাছাকাছি আসতেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার
আকস্মিকতায় হতবাক যাত্রী উজ্জ্বল চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘বড় বাঁচা বেঁচে
গেছি, ভাই! জানালায় না লাগলে ঢিলটি এসে নির্ঘাত গায়েই পড়ত।’ চাকরির
কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন উজ্জ্বল।
তাঁর ভাষ্য, এই রেলপথে ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে।
উজ্জ্বলের কথায় সায় দিয়ে যাত্রী আবুল ফয়েজ বলেন, ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন জুরাইন রেলগেটের কাছে এলে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। সেদিন ঢিলের আঘাতে চার বছরের একটি শিশু আহত হয়। এতে ওই শিশুর মাথা ফেটে যায়।
আরেক যাত্রী মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ নিয়ে তিনবার ঢিল ছোড়া দেখলেন তিনি। এর আগে এক যাত্রীর বুকে এসে ঢিল লাগে। ঢিলটি ছোট হওয়ায় ওই যাত্রী বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।
কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে ট্রেনটি থামার পর বগির টিকিট চেকারদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরাও জানালেন, এই রেলপথে চলন্ত ট্রেনে প্রতিদিনই ঢিল ছোড়া হয়। এতে কেউ না কেউ আহত হন।
মাসুম বিল্লাহ (২৬) নামের এক টিকিট চেকারের ভাষ্য, এ দিন সকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ছয়টা ৩৫ মিনিটের ট্রেনে তিনি নিজেই ঢিলের আঘাতের শিকার হয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি নারীদের বগিতে টিকিট পরীক্ষা করছিলেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলা ট্রেনের ট্রেন ইনচার্জ (এফআই) মো. ওয়াজেদুর রহমান বলেন, স্টেশন এলাকার মধ্যে কেউ ট্রেনে ঢিল ছুড়লে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু ফতুল্লা স্টেশন থেকে জুরাইন রেলগেটের আগ পর্যন্ত এলাকায় ঘটনাগুলো বেশি ঘটে। এ কারণে কর্তৃপক্ষের কিছু করার থাকে না।
বিভিন্ন রেলপথে চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছোড়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এটি বন্ধ করতে সচেতনতার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী।
উজ্জ্বলের কথায় সায় দিয়ে যাত্রী আবুল ফয়েজ বলেন, ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন জুরাইন রেলগেটের কাছে এলে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। সেদিন ঢিলের আঘাতে চার বছরের একটি শিশু আহত হয়। এতে ওই শিশুর মাথা ফেটে যায়।
আরেক যাত্রী মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ নিয়ে তিনবার ঢিল ছোড়া দেখলেন তিনি। এর আগে এক যাত্রীর বুকে এসে ঢিল লাগে। ঢিলটি ছোট হওয়ায় ওই যাত্রী বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।
কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে ট্রেনটি থামার পর বগির টিকিট চেকারদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরাও জানালেন, এই রেলপথে চলন্ত ট্রেনে প্রতিদিনই ঢিল ছোড়া হয়। এতে কেউ না কেউ আহত হন।
মাসুম বিল্লাহ (২৬) নামের এক টিকিট চেকারের ভাষ্য, এ দিন সকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ছয়টা ৩৫ মিনিটের ট্রেনে তিনি নিজেই ঢিলের আঘাতের শিকার হয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি নারীদের বগিতে টিকিট পরীক্ষা করছিলেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলা ট্রেনের ট্রেন ইনচার্জ (এফআই) মো. ওয়াজেদুর রহমান বলেন, স্টেশন এলাকার মধ্যে কেউ ট্রেনে ঢিল ছুড়লে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু ফতুল্লা স্টেশন থেকে জুরাইন রেলগেটের আগ পর্যন্ত এলাকায় ঘটনাগুলো বেশি ঘটে। এ কারণে কর্তৃপক্ষের কিছু করার থাকে না।
বিভিন্ন রেলপথে চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছোড়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এটি বন্ধ করতে সচেতনতার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী।
No comments