দেশের মানবাধিকার চিত্র উদ্বেগজনক -আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা
বাংলাদেশের
২০১৪ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল বলে মনে করছে আইন ও
সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংগঠনটি বলেছে, আগের বছরগুলোর মতো এই বছরেও অপহরণ,
গুম, গুপ্তহত্যা, ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত
হত্যাকাণ্ড অব্যাহত ছিল।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৪ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এই পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। তিনি জানান, ২০১৩ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও গুলিবিনিময়ে ৭২ জন মারা গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে মারা গেছে ১২৮ জন। একই বছর ৮৮ জন গুম বা গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১২ জন মুক্তি পেয়েছেন। ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কারাগারে পাঠানো হয়েছে দুজনকে। বাকিদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ পাস হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চেলছে। ২০১৪ সালে বিভিন্ন বাহিনীর হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনে মারা গেছেন ১৩ জন, গ্রেপ্তারের আগে নিহত হন দুজন এবং আত্মহত্যা করেন একজন। এ ছাড়া ২০১৪ সালে কারা হেফাজতে মারা যান ৬০ জন।
২০১৪ সালের রাজনৈতিক সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে সুলতানা কামাল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং পরবর্তী সময়ে উপজেলা নির্বাচনের আগে-পরে হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ গণগ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ ৬৬৪টি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘাতে ১৪৭ জন নিহত এবং ৮ হাজার ৩৭৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন ২৪ জন। আর উপজেলা নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে ১১ জন মারা যান এবং হাজার খানেক আহত হন।
সুলতানা কামাল বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার হলেও এ বছরে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ হামলার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে সুলতানা কামাল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতন, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দেওয়া এবং প্রতিমা ভাঙচুরসহ লুটপাট, চাঁদাবাজি, শারীরিক নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে, যার অধিকাংশই ঘটেছে ২০-দলীয় জোট কর্তৃক নির্বাচন প্রতিহত করার নামে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭৬১টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ১৯৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর এবং ২৪৭টি উপাসনালয় ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে ১৩টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর এসব হামলা হয়।
২০১৪ সালে সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতনের ২৭৩টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৬ জন গুলিবিদ্ধ ও ১৬ জন শারীরিক নির্যাতনে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সীমান্ত থেকে অপহরণ করা হয়েছে ১১০ জনকে।
দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনাও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সুলতানা কামাল বলেন, ২০১৪ সালে উত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন নারী। তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেনর ১৪ জন, প্রতিবাদ করায় খুন হয়েছেন সাতজন, বখাটেদের মাধ্যমে লাঞ্ছিত হয়েছেন ১১৫ জন, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন দুজন এবং আটজন মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে।
সুলতানা কামাল বলেন, এ বছর সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক ছিল ধর্ষণের ঘটনা। ২০১৪ সালে ৭০৭ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হন। এর মধ্যে ধর্ষণের পর ৬৮ জনকে হত্যা করা হয়। আর ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেন ১৩ জন। এ ছাড়া অ্যাসিড নিক্ষেপ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ছিল চোখে পড়ার মতো, যা মোটেই কাম্য নয়। এ বছর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৮টির মতো। এর মধ্যে দুজন মারা গেলেও মামলা হয়েছে মোট ১৩টি। অপরদিকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৯৬ জন নারী, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ৪৮৮ জন এবং ৬১ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সুলাতানা কামাল বলেন, ২০১৪ সালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যম-কর্মীরা সরকার ও বিরোধী দলের রোষানলে পড়েন। এর মধ্যে দুজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, পুলিশের নির্যাতনে একজন মারা গেছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন একজন সাংবাদিক। এ ছাড়া ২৩৯ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাগরপথে মানব পাচার, আদিবাসীদের অধিকার, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপনা, রোগীদের দুর্ভোগ, শিশু জিহাদের মৃত্যু, লঞ্চ পিনাক-৬ ডুবি ও সুন্দরবনের ট্যাংকারের তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সরকার তো মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন পরিস্থিতি স্বীকার করে না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, ‘যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল সবাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অস্বীকার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তথ্য-উপাত্ত নিয়েই বলছি।’
র্যাব নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই র্যাব নিষিদ্ধের কথা বলিনি। যে নীতিমালার ভিত্তিতে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের সেখানেই রাখা উচিত। কিন্তু যখন যে ক্ষমতায় ছিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে তারা সরকারি বাহিনী বানিয়ে ফেলে। বাহিনীগুলোও একসময় সেই স্বার্থের বাইরে গিয়ে নিজেদের স্বার্থে কাজ করে।’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে আমরা সরকারের আরও কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করি। আমরা আশা করি ২০১৫ সালে যেন পরিস্থিতির উন্নতি হয়।’
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৪ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এই পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। তিনি জানান, ২০১৩ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও গুলিবিনিময়ে ৭২ জন মারা গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে মারা গেছে ১২৮ জন। একই বছর ৮৮ জন গুম বা গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১২ জন মুক্তি পেয়েছেন। ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কারাগারে পাঠানো হয়েছে দুজনকে। বাকিদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ পাস হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চেলছে। ২০১৪ সালে বিভিন্ন বাহিনীর হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনে মারা গেছেন ১৩ জন, গ্রেপ্তারের আগে নিহত হন দুজন এবং আত্মহত্যা করেন একজন। এ ছাড়া ২০১৪ সালে কারা হেফাজতে মারা যান ৬০ জন।
২০১৪ সালের রাজনৈতিক সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে সুলতানা কামাল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং পরবর্তী সময়ে উপজেলা নির্বাচনের আগে-পরে হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ গণগ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ ৬৬৪টি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘাতে ১৪৭ জন নিহত এবং ৮ হাজার ৩৭৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন ২৪ জন। আর উপজেলা নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে ১১ জন মারা যান এবং হাজার খানেক আহত হন।
সুলতানা কামাল বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার হলেও এ বছরে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ হামলার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে সুলতানা কামাল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতন, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দেওয়া এবং প্রতিমা ভাঙচুরসহ লুটপাট, চাঁদাবাজি, শারীরিক নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে, যার অধিকাংশই ঘটেছে ২০-দলীয় জোট কর্তৃক নির্বাচন প্রতিহত করার নামে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭৬১টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ১৯৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর এবং ২৪৭টি উপাসনালয় ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে ১৩টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর এসব হামলা হয়।
২০১৪ সালে সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতনের ২৭৩টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৬ জন গুলিবিদ্ধ ও ১৬ জন শারীরিক নির্যাতনে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সীমান্ত থেকে অপহরণ করা হয়েছে ১১০ জনকে।
দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনাও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সুলতানা কামাল বলেন, ২০১৪ সালে উত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন নারী। তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেনর ১৪ জন, প্রতিবাদ করায় খুন হয়েছেন সাতজন, বখাটেদের মাধ্যমে লাঞ্ছিত হয়েছেন ১১৫ জন, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন দুজন এবং আটজন মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে।
সুলতানা কামাল বলেন, এ বছর সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক ছিল ধর্ষণের ঘটনা। ২০১৪ সালে ৭০৭ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হন। এর মধ্যে ধর্ষণের পর ৬৮ জনকে হত্যা করা হয়। আর ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেন ১৩ জন। এ ছাড়া অ্যাসিড নিক্ষেপ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ছিল চোখে পড়ার মতো, যা মোটেই কাম্য নয়। এ বছর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৮টির মতো। এর মধ্যে দুজন মারা গেলেও মামলা হয়েছে মোট ১৩টি। অপরদিকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৯৬ জন নারী, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ৪৮৮ জন এবং ৬১ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সুলাতানা কামাল বলেন, ২০১৪ সালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যম-কর্মীরা সরকার ও বিরোধী দলের রোষানলে পড়েন। এর মধ্যে দুজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, পুলিশের নির্যাতনে একজন মারা গেছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন একজন সাংবাদিক। এ ছাড়া ২৩৯ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাগরপথে মানব পাচার, আদিবাসীদের অধিকার, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপনা, রোগীদের দুর্ভোগ, শিশু জিহাদের মৃত্যু, লঞ্চ পিনাক-৬ ডুবি ও সুন্দরবনের ট্যাংকারের তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সরকার তো মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন পরিস্থিতি স্বীকার করে না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, ‘যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল সবাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অস্বীকার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তথ্য-উপাত্ত নিয়েই বলছি।’
র্যাব নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই র্যাব নিষিদ্ধের কথা বলিনি। যে নীতিমালার ভিত্তিতে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের সেখানেই রাখা উচিত। কিন্তু যখন যে ক্ষমতায় ছিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে তারা সরকারি বাহিনী বানিয়ে ফেলে। বাহিনীগুলোও একসময় সেই স্বার্থের বাইরে গিয়ে নিজেদের স্বার্থে কাজ করে।’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে আমরা সরকারের আরও কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করি। আমরা আশা করি ২০১৫ সালে যেন পরিস্থিতির উন্নতি হয়।’
No comments