সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার বেড়েছে ২৭ ভাগ
থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫১৬২ জন। এ বছর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৮২ জনে। আহত হয়েছে ১০৭৭০ জন। হিসাব অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ২৭ ভাগ। এছাড়া ২০১৪ সালে মোট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৭১৩টি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ২০১৪ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। গেল বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ৬ লাখ অদক্ষ চালককে দায়ী করলেন নিরাপদ সড়ক চাই’র চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, গাড়ি বাড়লেও বাড়ছে না দক্ষ চালকের সংখ্যা। আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে। যারা চাকরির জন্য হন্য হয়ে ঘুরছে। এসব বেকার শিক্ষিতদের সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত করা যেতে পারে। সরকার উদ্যোগ নিলে দেশের সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে বলে দাবি করে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এসএসসি পাস দরিদ্র ও বেকার যুবকদের বিনা বেতনে অথবা ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ চালক হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এছাড়া সরকারি উদ্যোগে সকল জেলায় লাইসেন্স প্রদানের লক্ষ্যে একটি করে ড্রাইভিং ও মেকানিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকই নন, আরও অনেকেই দায়ী। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সকল পক্ষকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনে দণ্ডবিধিতে নতুন ধারা সংযোজন করে দায়ী সকল পক্ষকে শাস্তির সম্মুখীন করার দাবি করেন।
আইন প্রয়োগকারি সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা, নির্র্দিষ্ট স্থান ব্যতিরেকে যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো নামানো, ওভারটেকিং, পাল্টাপাল্টি কিম্বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বা মাল বোঝাই করা, গাড়ির ছাদে যাত্রী বহন করা, ওভারব্রিজ কিম্বা আন্ডারপাস বা জেব্রাক্রসিং থাকা সত্ত্বেও সেগুলো ব্যবহার না করার প্রবণতাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে বন্ধ করার দাবি জানান।
মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ট্রিপ কিংবা ডেইলি বেসিসে বা ভাড়া ভিত্তিতে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনার বর্তমান রীতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের এই রীতি পরিবর্তন করে যথানিয়মে চালক নিয়োগ করার কথা বলেন। সেই সঙ্গে চালকদের জন্য বেতন কাঠামো ও কর্মসময় নির্ধারণ করার কথা বলেন। শহরের মধ্যে চলাচলকারী একই রুটের গাড়ি একই কোম্পানির মাধ্যমে চলাচল করার কথা বলেন। যাতে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে বছর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রামে মারা গেছে ৪৪ জন। যশোরে বরযাত্রী গাড়ির দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৭ জন। বিশিষ্ট সাংবাদিক জগ্লুল হায়দার চৌধূরী কাওরান বাজার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। যা খুবই বেদনা দায়ক ছিল।
নিসচার পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৪ সালে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল, নসিমন, সিএনজি, বাস ট্রাক। এ ছাড়া ধীরগতির বাহন মহাসড়কে চলাচলের কারণে দূরপাল্লার বড় গাড়িগুলোর চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। মোটরসাইকেল হেলমেট ব্যবহার না করার কারণে এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তি কর্তৃক মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এ বছর মোটরসাইকেল যাত্রীরা বেশি নিহত হয়েছে। তাছাড়া বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংখ্যাও কম ছিল না। বাস, মাইক্রোবাস অতিরিক্ত গতি বা যান্ত্রিক ক্রটি ও রাস্তার দুরবস্থা বেশি দায়ী বলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে যাত্রীর চেয়ে পথচারীর সংখ্যাই বেশি ছিল। ব্লাক স্পটগুলো মেরামত করার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা কিছু কিছু অংশে অনেকাংশে কমে গেছে। ঢাকা-মানিকগঞ্জ রোড়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড়, জয়দেবপুর-ময়মহনসিংহ রোড় ও জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা রোডের ৫৬টি মোড় ব্লাকস্পট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, যদিও ২০১৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ব্লাকস্পট গুলোকে বেশি দায়ী করা হয়েছিল। গত বছর ব্লাকস্পটের সংখ্যা ছিল ২০৯টি। ২০১৪ সালে তা কমে হয়েছে ১৪৪টি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব সাদেক হোসেন বকুল ও লায়ন গণি মিয়া বাবুল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মিরাজুল মইন জয়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. রিয়াজদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।
আইন প্রয়োগকারি সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা, নির্র্দিষ্ট স্থান ব্যতিরেকে যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো নামানো, ওভারটেকিং, পাল্টাপাল্টি কিম্বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বা মাল বোঝাই করা, গাড়ির ছাদে যাত্রী বহন করা, ওভারব্রিজ কিম্বা আন্ডারপাস বা জেব্রাক্রসিং থাকা সত্ত্বেও সেগুলো ব্যবহার না করার প্রবণতাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে বন্ধ করার দাবি জানান।
মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ট্রিপ কিংবা ডেইলি বেসিসে বা ভাড়া ভিত্তিতে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনার বর্তমান রীতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের এই রীতি পরিবর্তন করে যথানিয়মে চালক নিয়োগ করার কথা বলেন। সেই সঙ্গে চালকদের জন্য বেতন কাঠামো ও কর্মসময় নির্ধারণ করার কথা বলেন। শহরের মধ্যে চলাচলকারী একই রুটের গাড়ি একই কোম্পানির মাধ্যমে চলাচল করার কথা বলেন। যাতে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে বছর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রামে মারা গেছে ৪৪ জন। যশোরে বরযাত্রী গাড়ির দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৭ জন। বিশিষ্ট সাংবাদিক জগ্লুল হায়দার চৌধূরী কাওরান বাজার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। যা খুবই বেদনা দায়ক ছিল।
নিসচার পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৪ সালে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল, নসিমন, সিএনজি, বাস ট্রাক। এ ছাড়া ধীরগতির বাহন মহাসড়কে চলাচলের কারণে দূরপাল্লার বড় গাড়িগুলোর চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। মোটরসাইকেল হেলমেট ব্যবহার না করার কারণে এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তি কর্তৃক মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এ বছর মোটরসাইকেল যাত্রীরা বেশি নিহত হয়েছে। তাছাড়া বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংখ্যাও কম ছিল না। বাস, মাইক্রোবাস অতিরিক্ত গতি বা যান্ত্রিক ক্রটি ও রাস্তার দুরবস্থা বেশি দায়ী বলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে যাত্রীর চেয়ে পথচারীর সংখ্যাই বেশি ছিল। ব্লাক স্পটগুলো মেরামত করার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা কিছু কিছু অংশে অনেকাংশে কমে গেছে। ঢাকা-মানিকগঞ্জ রোড়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড়, জয়দেবপুর-ময়মহনসিংহ রোড় ও জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা রোডের ৫৬টি মোড় ব্লাকস্পট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, যদিও ২০১৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ব্লাকস্পট গুলোকে বেশি দায়ী করা হয়েছিল। গত বছর ব্লাকস্পটের সংখ্যা ছিল ২০৯টি। ২০১৪ সালে তা কমে হয়েছে ১৪৪টি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব সাদেক হোসেন বকুল ও লায়ন গণি মিয়া বাবুল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মিরাজুল মইন জয়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. রিয়াজদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।
No comments