গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৫৮২ জনের -নিরাপদ সড়ক চাই–এর প্রতিবেদন
(ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নিসচার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন l প্রথম আলো) ২০১৪ সালে সারা দেশে ২ হাজার ৭১৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৮২ জন প্রাণ হারিয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ হাজার ৭৭০ জন।
গত এক বছরের সড়ক দুর্ঘটনার এই হিসাব দিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নামের সংগঠন। গেল বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত খবরের ভিত্তিতে নিসচার তৈরি করা সড়ক দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিসচা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে নিসচার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যেসব সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে মামলা হয়, পুলিশ কেবল সেগুলোরই হিসাব রাখে। ফলে অনেক দুর্ঘটনাই হিসাবের বাইরে থেকে যায়। নিসচা যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটিতেও অনেক গ্রামীণ এলাকার তথ্য বাদ পড়ে থাকতে পারে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সরকারের পক্ষ থেকে নানা বক্তৃতা করা হয়। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত হিসাব কারও কাছেই নেই। দুর্ঘটনায় হতাহতেরও প্রকৃত সংখ্যা অজানা থেকে যাচ্ছে। পুলিশের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যের বিশাল গরমিল পাওয়া যায়। সঠিক তথ্য না থাকায় অধিকাংশ উদ্যোগই কাজে আসছে না। সরকারিভাবে সব দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য তুলে এনে একটা তথ্যভান্ডার গড়ে তুলতে হবে। এটা না করতে পারলে পরিকল্পনা করে লাভ হবে না।
ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তাঁদের একটা আনুমানিক ধারণা গণমাধ্যমের তথ্যের বাইরে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো হিসাবে আনতে পারলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০তে গিয়ে দাঁড়াবে। একই অনুপাতে বাড়বে হতাহতের সংখ্যাও। ২০১৩ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২ হাজার ৭৫৩টি।
সরকারের হিসাবে প্রতিদিন গড়ে আটজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে তা ৩৫ জন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
নিসচার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মোটরসাইকেল। বেশি হতাহতের শিকার হয়েছে পথচারীরা। দুর্ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী মহাসড়কে চলা কমগতির যানবাহনের আধিক্য, চালকদের বেপরোয়া মনোভাব এবং সড়কের দুরবস্থা।
নিসচা দুর্ঘটনারোধে সাতটি করণীয় সুপারিশ করেছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, চালকদের প্রশিক্ষিত করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। এর জন্য সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে চালকদের আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় একটি করে ড্রাইভিং ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে হবে। সেগুলোতে এসএসসি পাস দরিদ্র ও বেকার যুবকদের ঋণ দিয়ে কিংবা বিনা খরচে প্রশিক্ষণ দিয়ে চালক লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে শুধু চালক নন, মালিক, সরকারের কোনো বিভাগের গাফিলতি থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এর জন্য দণ্ডবিধি সংশোধন করতে হবে।
পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন ব্যবস্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মূল কারণ অতিমুনাফালোভী মনোভাব। এটা বন্ধে বাণিজ্যিক যানবাহনের চালকদের নিয়োগপত্র প্রদান ও বেতন-ভাতা আইনানুগভাবে নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সব মহাসড়ক চারলেনে সম্প্রসারণ করে এর মাঝখানে বিভাজক দিতে হবে। এতে যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ বন্ধ হবে।
গত এক বছরের সড়ক দুর্ঘটনার এই হিসাব দিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নামের সংগঠন। গেল বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত খবরের ভিত্তিতে নিসচার তৈরি করা সড়ক দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিসচা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে নিসচার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যেসব সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে মামলা হয়, পুলিশ কেবল সেগুলোরই হিসাব রাখে। ফলে অনেক দুর্ঘটনাই হিসাবের বাইরে থেকে যায়। নিসচা যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটিতেও অনেক গ্রামীণ এলাকার তথ্য বাদ পড়ে থাকতে পারে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সরকারের পক্ষ থেকে নানা বক্তৃতা করা হয়। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত হিসাব কারও কাছেই নেই। দুর্ঘটনায় হতাহতেরও প্রকৃত সংখ্যা অজানা থেকে যাচ্ছে। পুলিশের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যের বিশাল গরমিল পাওয়া যায়। সঠিক তথ্য না থাকায় অধিকাংশ উদ্যোগই কাজে আসছে না। সরকারিভাবে সব দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য তুলে এনে একটা তথ্যভান্ডার গড়ে তুলতে হবে। এটা না করতে পারলে পরিকল্পনা করে লাভ হবে না।
ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তাঁদের একটা আনুমানিক ধারণা গণমাধ্যমের তথ্যের বাইরে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো হিসাবে আনতে পারলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০তে গিয়ে দাঁড়াবে। একই অনুপাতে বাড়বে হতাহতের সংখ্যাও। ২০১৩ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২ হাজার ৭৫৩টি।
সরকারের হিসাবে প্রতিদিন গড়ে আটজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে তা ৩৫ জন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
নিসচার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মোটরসাইকেল। বেশি হতাহতের শিকার হয়েছে পথচারীরা। দুর্ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী মহাসড়কে চলা কমগতির যানবাহনের আধিক্য, চালকদের বেপরোয়া মনোভাব এবং সড়কের দুরবস্থা।
নিসচা দুর্ঘটনারোধে সাতটি করণীয় সুপারিশ করেছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, চালকদের প্রশিক্ষিত করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। এর জন্য সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে চালকদের আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় একটি করে ড্রাইভিং ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে হবে। সেগুলোতে এসএসসি পাস দরিদ্র ও বেকার যুবকদের ঋণ দিয়ে কিংবা বিনা খরচে প্রশিক্ষণ দিয়ে চালক লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে শুধু চালক নন, মালিক, সরকারের কোনো বিভাগের গাফিলতি থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এর জন্য দণ্ডবিধি সংশোধন করতে হবে।
পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন ব্যবস্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মূল কারণ অতিমুনাফালোভী মনোভাব। এটা বন্ধে বাণিজ্যিক যানবাহনের চালকদের নিয়োগপত্র প্রদান ও বেতন-ভাতা আইনানুগভাবে নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সব মহাসড়ক চারলেনে সম্প্রসারণ করে এর মাঝখানে বিভাজক দিতে হবে। এতে যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ বন্ধ হবে।
No comments