গাছতলায় পাঠদান by কল্যাণ ব্যানার্জি
(সাতক্ষীরার
শ্যামনগর উপজেলার শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ নেই।
তাই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের গাছতলায়। নভেম্বরের
মধ্যভাগে তোলা ছবি l প্রথম আলো) সাতক্ষীরার
শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শংকরকাটি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে পড়ানো হয়
গাছতলায় বসে। শীত ও গ্রীষ্মে এভাবেই চলে। বৃষ্টি হলে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা
করতে হয়। চার বছরের বেশি সময় ধরে এ অবস্থা বিদ্যালয়টির। বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রউফ বলেন, দেশ বিভাগের আগে ১৯৪১ সালে এলাকার
দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ২৫ শতক জমির ওপর এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
চারটি মাটির ঘরে শুরু হলেও ১৯৯৪ সালে টিনের ছাউনি ও ইটের দেয়াল দিয়ে চার
কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এর একটি কার্যালয় ও অন্য তিনটি
শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। টিনের ছাউনিতে মরীচিকা পড়ে অনেক জায়গায়
ছিদ্র হয়েছে। এই ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টি ও শিশির ঢুকে পড়ে। এ ছাড়া
বিদ্যালয়টি নিচু স্থানে অবস্থিত হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ভবনের মধ্যে
পানি ঢোকে। এতে বিদ্যালয়ের আসবাব ও কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে
বিদ্যালয়ে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৯১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির পাঠদান (ক্লাস) হচ্ছে গাছের নিচে চাটাই পেতে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জানান, শ্রেণিকক্ষের অভাবে এভাবে ক্লাস নিতে হচ্ছে। ছাউনিবিহীন ঘরে শিশুদের পড়াচ্ছিলেন সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ। তিনি বলেন, শিশুসহ ছয়টি শ্রেণির জন্য কমপক্ষে পাঁচটি কক্ষ প্রয়োজন। তিনটি কক্ষ হওয়ায় দুই দফায় ক্লাস নেওয়া হয়। বর্ষার সময় বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। বিদ্যালয়ের ফলাফল সন্তোষজনক উল্লেখ করে আবু সাঈদ জানান, ২০১১ সালে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় ১৬ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। পাঁচজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১২ সালে ১৬ জনের পাঁচজন জিপিএ-৫সহ সবাই পাস করে। এর দুজন ট্যালেন্টপুলে ও একজন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। ২০১৩ সালে ২৫ জনের পাঁচজন জিপিএ-৫সহ সবাই পাস করেছে। শিশু শ্রেণির ছাত্র আবু সুফিয়ান ও সামনা বালা জানায়, বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক সময় পাখির বিষ্ঠা গায়ে পড়ে। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। প্রায় একই কথা বলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদ, ময়মুনা পারভিনসহ অনেকে। শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির এ অবস্থা তিনি জানেন। কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টি মেরামত ও নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো ফল মেলেনি। সম্প্রতি জরুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তিনি আশা করছেন, এ অর্থবছরে বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির পাঠদান (ক্লাস) হচ্ছে গাছের নিচে চাটাই পেতে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জানান, শ্রেণিকক্ষের অভাবে এভাবে ক্লাস নিতে হচ্ছে। ছাউনিবিহীন ঘরে শিশুদের পড়াচ্ছিলেন সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ। তিনি বলেন, শিশুসহ ছয়টি শ্রেণির জন্য কমপক্ষে পাঁচটি কক্ষ প্রয়োজন। তিনটি কক্ষ হওয়ায় দুই দফায় ক্লাস নেওয়া হয়। বর্ষার সময় বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। বিদ্যালয়ের ফলাফল সন্তোষজনক উল্লেখ করে আবু সাঈদ জানান, ২০১১ সালে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় ১৬ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। পাঁচজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১২ সালে ১৬ জনের পাঁচজন জিপিএ-৫সহ সবাই পাস করে। এর দুজন ট্যালেন্টপুলে ও একজন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। ২০১৩ সালে ২৫ জনের পাঁচজন জিপিএ-৫সহ সবাই পাস করেছে। শিশু শ্রেণির ছাত্র আবু সুফিয়ান ও সামনা বালা জানায়, বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক সময় পাখির বিষ্ঠা গায়ে পড়ে। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। প্রায় একই কথা বলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদ, ময়মুনা পারভিনসহ অনেকে। শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির এ অবস্থা তিনি জানেন। কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টি মেরামত ও নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো ফল মেলেনি। সম্প্রতি জরুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তিনি আশা করছেন, এ অর্থবছরে বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
No comments