খালেদা ইতিহাসের ফল ভোগ করছেন : এরশাদ, দলে বিভক্তি দেখতে চাই না: রওশন এরশাদ
খালেদা
জিয়া ইতিহাসের ফল ভোগ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির
চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে
তিনি বলেন, ‘উনি (খালেদা) এ দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেন। আমাকে ছয়
বছর তিনি জেলে রেখেছেন। আমার স্ত্রীকে আড়াই বছর জেলে রেখেছেন। আমার ছেলেক
ছয় বছর আমার সঙ্গে দেখা করতে দেননি। এখন তিনি প্রতিহিংসার ফল ভোগ করছেন।
তিনি এখন দুই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। কবে পারবেন তা-ও জানেন না।’
এরশাদ আরও বলেন, ‘আমার ১৪২টি সামাবেশে তিনি ১৪৪ ধারা জারি করেছিলেন। আজ যে তাঁর এই অবস্থা হবে, তখন তাঁর মনে ছিল না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। এখন তিনি ইতিহাসের ফল ভোগ করছেন।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চারবার চ্যাম্পিয়ন করেছিল। দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চান, লজ্জা করে না। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছেন। কোন মুখে রাজনীতি করেন!’
যুবরাজ তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার বলেছে—উল্লেখ করে এরশাদ উপস্থিত সবাইকে ‘শেইম’ ‘শেইম’ ‘শেইম’ বলে চিৎকার করতে বলেন। তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে এরশাদ প্রশ্ন রাখেন, ‘সে কি সুস্থ মানুষ? সুস্থ রাজনীতিক?’
জাতীয় পার্টির ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকঢোল পিটিয়ে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। তবে সভা-সমাবেশে আশানুরূপ জনসমাগম হয়নি বলে মনে করেন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি থেকে এখন সহমর্মিতা, শ্রদ্ধাবোধ উঠে গেছে। আমার মহাসচিব আজকের হরতাল প্রত্যাহারের জন্য জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। কারণ আমরা দুই মাস আগে এই সমাবেশের ঘোষণা করেছিলাম। হরতাল প্রত্যাহার করলে আরও ১০ লাখ লোক বেশি হতো। তা-ও ৫ লাখ হয়েছে।’
সমাবেশে দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুর সভাপতিত্বে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এস এম ফয়সাল চিশতী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এরশাদ আরও বলেন, ‘আমার ১৪২টি সামাবেশে তিনি ১৪৪ ধারা জারি করেছিলেন। আজ যে তাঁর এই অবস্থা হবে, তখন তাঁর মনে ছিল না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। এখন তিনি ইতিহাসের ফল ভোগ করছেন।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চারবার চ্যাম্পিয়ন করেছিল। দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চান, লজ্জা করে না। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছেন। কোন মুখে রাজনীতি করেন!’
যুবরাজ তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার বলেছে—উল্লেখ করে এরশাদ উপস্থিত সবাইকে ‘শেইম’ ‘শেইম’ ‘শেইম’ বলে চিৎকার করতে বলেন। তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে এরশাদ প্রশ্ন রাখেন, ‘সে কি সুস্থ মানুষ? সুস্থ রাজনীতিক?’
জাতীয় পার্টির ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকঢোল পিটিয়ে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। তবে সভা-সমাবেশে আশানুরূপ জনসমাগম হয়নি বলে মনে করেন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি থেকে এখন সহমর্মিতা, শ্রদ্ধাবোধ উঠে গেছে। আমার মহাসচিব আজকের হরতাল প্রত্যাহারের জন্য জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। কারণ আমরা দুই মাস আগে এই সমাবেশের ঘোষণা করেছিলাম। হরতাল প্রত্যাহার করলে আরও ১০ লাখ লোক বেশি হতো। তা-ও ৫ লাখ হয়েছে।’
সমাবেশে দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুর সভাপতিত্বে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এস এম ফয়সাল চিশতী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দলে বিভক্তি দেখতে চাই না: রওশন এরশাদ
জাতীয়
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘দলের বিভক্তির কারণে অনেক
কর্মী বুঝতে পারেন না, কোথায় যাবেন। ফলে লাখ লাখ কর্মী বিভক্ত হয়েছেন।
আমরা আর বিভক্তি চাই না। এক পার্টি দেখতে চাই। আমি উদাত্ত আহ্বান জানাব,
আসুন আমরা মিলেমিশে কাজ করি।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশে রওশন এরশাদ দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন আরও বলেন, ‘মানুষের ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, তা শুধরে আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে। নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।
দলছুট নেতাদের দলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তাঁরা (দলছুট নেতারা) তাঁর (এরশাদ) মুক্তির জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। এর মধ্যে অনেকে বেঁচে নেই, আবার অনেকে আছেন কিন্তু দলে নেই। আমি তাঁদের আবার দলে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এ সময় তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মওদুদ আহমদসহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করেন। এ ছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের আহ্বান জানান রওশন।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের ঐক্য ও লক্ষ্য থাকে। জাতীয় পার্টি অনেক ভালো কাজ করেছে। তার পরও ২৪ বছর ক্ষমতার বাইরে। তাই আমাদের কী সমস্যা, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দল ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের দলে বিভক্তি এসেছে। ৯১-এ জাতীয় নির্বাচনের সময় আমরা জেলে ছিলাম। ৯৬-এ আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান জেলে ছিলেন। ২০১৪ সালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি নির্বাচন করেছিলাম।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশে রওশন এরশাদ দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন আরও বলেন, ‘মানুষের ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, তা শুধরে আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে। নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।
দলছুট নেতাদের দলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তাঁরা (দলছুট নেতারা) তাঁর (এরশাদ) মুক্তির জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। এর মধ্যে অনেকে বেঁচে নেই, আবার অনেকে আছেন কিন্তু দলে নেই। আমি তাঁদের আবার দলে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এ সময় তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মওদুদ আহমদসহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করেন। এ ছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের আহ্বান জানান রওশন।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের ঐক্য ও লক্ষ্য থাকে। জাতীয় পার্টি অনেক ভালো কাজ করেছে। তার পরও ২৪ বছর ক্ষমতার বাইরে। তাই আমাদের কী সমস্যা, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দল ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের দলে বিভক্তি এসেছে। ৯১-এ জাতীয় নির্বাচনের সময় আমরা জেলে ছিলাম। ৯৬-এ আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান জেলে ছিলেন। ২০১৪ সালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি নির্বাচন করেছিলাম।’
No comments