রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যা- তিন ক্লু নিয়ে তদন্তে পুলিশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে তিন ক্লু নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঢাকায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জঙ্গি সংগঠন, রাজনৈতিক ও পারিবারিক এই তিনটি বিষয়ে মাথায় রেখেই প্রাথমিক তদন্ত চলছে। হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে ৬ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের কয়েক ঘণ্টা পর আনসার আল বাংলাদেশ-২ নামে একটি ফেসবুক পেজ খোলে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করা হয়েছে। তবে ওই গ্রুপটির বিষয়ে কোন তথ্যই জানাতে পারেনি পুলিশ। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল জানিয়েছেন জঙ্গি সংগঠন এবং রাজনৈতিক এ দু’টি বিষয় মাথায় রেখে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে শফিকুল ইসলাম হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ এবং আগামীকালও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এদিকে নিহত শফিকুল ইসলামের দাফন গতকাল সম্পন্ন হয়েছে।
ফেসবুকে ‘আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশ-২’ নামের জঙ্গি সংগঠনটির নিজস্ব পেজে প্রবেশ করে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার মাত্র ৩ ঘণ্টা (শনিবার সন্ধ্যা ৭টা) পরেই এ হত্যার দায় স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পেইজ খুলেছে নব্য আবির্ভূত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশ-২’। তবে এর আগে এ সংগঠনের নাম শোনা যায়নি এবং তাদের কোন কর্মকা-ও দেখা যায়নি বলে দাবি করছে পুলিশ। বিষয়টি নজরে আসার পর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীবাহিনী। আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামের ওই পেইজে ড. একেএম শফিকুল ইসলামকে ‘মুরতাদ’ উল্লেখ করে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
ফেসবুকের ওই পেজে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহু আকবার !!! আল্লাহু আকবার !!! আল্লাহু আকবার !!! আমাদের মুজাহিদীনরা আজকে রাজশাহীতে এক মুরতাদকে কতল করেছেন যে তার ডিপার্টমেন্টে ও ক্লাসে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছিল। আল্লাহর ইচ্ছায়, আল্লাহর শক্তিতে ও আল্লাহর অনুমতিতে মুজাহিদীনরা আজকে এই মুরতাদকে কতল করেছেন। ইসলামবিরোধী সকল নাস্তিক-মুরতাদ সাবধান !!!’
ওই স্ট্যাটাসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইক পড়ে ১১৬টি, কমেন্ট পড়ে ২৬টি। এর প্রায় সব ক’টিতে নিন্দা জানানো হয়। এর বিপরীতে হত্যাকা-কে সমর্থন জানিয়ে কমেন্টসহ কমেন্টের রিপ্লাইও দেয়া হয়েছে।
পেজে শফিকুল ইসলামের ছবি দিয়ে তার ওপর লাল রঙে আড়াআড়ি ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে কেটে দেয়া হয়েছে। ছবির নিচে লেখা হয়েছে: একেএম শফিউল ইসলাম (ফাইল ক্লোজড)/ অপরাধ এপ্রিল ২০১০/ শাস্তি প্রদান নভেম্বর ২০১৪। এরপর ইংরেজিতে লেখা হয়েছে: ‘উই ডোন্ট ফরগেট। ইনশাআল্লাহ উই উইল নট ফরগেট আদারস।’
ফেসবুক পেজের কভার ফটোতে মোট পাঁচটি ছবি দিয়ে তিনটি লাল রঙে আড়াআড়ি ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে কেটে দেয়া হয়েছে। নিচের সারিতে ব্লগার রাজিব হায়দার, আশরাফুল আলম ও শফিকুল ইসলামের ছবি লাল কালিতে কেটে দিয়ে নিচে লেখা হয়েছে ‘খতম’। আর উপরের দু’টি ছবিতে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও রাকিব মামুনের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে ‘প্রথম প্রচেষ্টা সমাপ্ত, দ্বিতীয় প্রচেষ্টা আসছে...!
বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া: সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ওই দিন (২০১০ সালের ৩রা এপ্রিল) ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে ড. একেএম শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, তোমরা যারা বোরকা পর তারা আমার ক্লাসে মুখ খুলে আসবা। যাতে তোমাদের চিনতে পারা যায়। এ সময় দুইজন ছাত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে চলে যায়। এরপর কখনও স্যার এ ধরনের কোন কথা বলেননি। তার ক্লাসে বোরকা পরেই ছাত্রীরা ক্লাসে আসতো। তিনি বাউল মানুষ ছিলেন, কারও সঙ্গে কোন ধরনের ঝামেলায় জড়াতেন না। তারা মনে করেন, ঘটনাটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই ফেসবুক পেজের জন্ম দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, আনসার-আল-ইসলাম নামে বাংলায় একটি ফেসবুক পেজের খোঁজ পাওয়া যায় যেটি খোলা হয়েছে গত ৯ই সেপ্টেম্বর। আর আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামের ফেসবুক পেজটি খোলা হয়েছে শনিবার রাত ৮টার কাছাকাছি কোন এক সময়ে।
এর আগে বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম (৫১)-কে ক্যাম্পাস সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকার বাসায় ফেরার পথে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুুলিশ কমিশনার ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, জঙ্গি বাহিনীর নতুন ফেসবুক পেজ খুলে রাবি শিক্ষক হত্যার দায় স্বীকার করার বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট না দেয়া পর্যন্ত আসলে আমরা তেমন কিছু বলতে পারছি না। তবে আশা করছি খুব শিগগিরই হত্যাকা-ের মোটিভ উদঘাটন করতে পারবো।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি: বাউলমনা ড. একেএম শফিউল ইসলাম কখনও সংসার জীবনে স্থিতিশীল হতে পারেননি। ২০০৩ সালে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর আর ৩টি বিয়ে করেন। কিন্তু তার বাউল জীবন তাকে সংসার জীবনের বন্ধনে বেঁধে রাখতে পারেনি। এদের প্রত্যেকের সঙ্গে তালাকের মাধ্যমে সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। এর মধ্যে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে সংসার জীবনে বিবাদ শুরু হলে তার স্ত্রী ওই শিক্ষকের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পরে ২০০৮ সালে মামলাটি পারিবারিকভাবেই মীমাংসা হয়ে গেলে মামলাটি তুলে নেয়া হয়। এজন্য ড. শফিকুল ইসলাম তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে দেনমোহর বাবদ ৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তার একমাত্র ছেলে জেবিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ড. শফিকুল ইসলাম র্যাব-৫ সদর দপ্তরের সন্নিকটে বিহাস পল্লীর পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি এক তলা বাসা নিয়ে নিভৃতে থাকতেন। বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার সোনাতলায় ছোট থেকে বড় হয়েছেন ড. একেএম শফিকুল ইসলাম। সোনাতলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে এসএসসি এবং স্থানীয় কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে ১৯৮৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করার পর সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে তার শিক্ষক জীবনের শুরু। শিক্ষকতা করতে এসে তিনি একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ বের করেন। সমপ্রতি তিনি যৌনকর্মীদের ওপর গবেষণা করছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফজলুল হক মানবজমিনকে জানান, স্যারের বিভাগ আমার ভবনে হওয়ায় তার সঙ্গে ভালভাবে মেশার সুযোগ হয়েছিল আমার। অনেক দিন ধরেই তাকে চিনি। তার মতো সাধক মানুষের জীবনে কোন শত্রু থাকতে পারে তা আমার বিশ্বাস হয় না।
তিনি আরও জানান, স্যার গবেষণা ও শিক্ষকতার পাশাপাশি বাউল সাধনা করতেন। প্রতি সোমবার তার বাসায় বাউল সাধনার আসর বসতো। কিন্তু গত সোমবার স্যারের বড় বোন ভারত থেকে আসায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্যারের বাসায় বসেছিল সেই আসর। আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই ছিলাম সেখানে। বিভিন্ন গুণী সংগীত শিল্পীর পরিচালনায় আসর যখন জমে ওঠে তখন আমাদের খেতে দেয়া হয় মুড়ি, নাড়ু, বাতাসা ও মিষ্টি। স্যারের সঙ্গে সর্বশেষ গানের আসর যে এই দিনটি হবে তা কি জানতাম? একদল সন্ত্রাসী এভাবে স্যারের হাতের একহারা চিরতরে কেড়ে নেবেন তা জানা ছিল না কারও।
অধ্যক্ষসহ আটক ৬ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম শফিউল ইসলামের হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইসলামীয়া কলেজের অধ্যক্ষসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মহানগর পুলিশের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিনোদপুর থেকে ইসলামীয়া কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন আহম্মেদসহ চারজনকে আটক করেছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাইমুল ওড় টিপু নামের দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ওই ঘটনায় জড়িত অন্য অপরাধীদের ধরতে পুরিশের অভিযান চলছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, এ নামের কোন সংগঠন বাস্তবে আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। হত্যার রহস্য আড়াল করতে এই নতুন কৌশল নেয়া হয়েছে কিনা তা-ও খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ওসি আরও জানান, শফিকুলের হত্যাকা-ে দু’জন অংশ নেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাদেরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিন দিনের শোক: শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিভাগের পক্ষ থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কার্যালয়ে বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ওয়ারদাতুল আকমাম সাংবাদিকদের জানান, নির্মম এ হত্যা ঘটনায় বিভাগের পক্ষ থেকে রোববারসহ তিন দিনের শোক কর্মসূচি পালন করা হবে। শোক চলাকালে বিভাগের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। আজ ও আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার পা-ে জানান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করতে রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভা শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ নিরাপদ না: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত ৩২ বছরে ৩১টি হত্যা ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শিক্ষক রয়েছেন তিনজন।
সূত্র মতে, ১৯৮২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ শিক্ষার্থী এবং তিন শিক্ষক খুন হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী, ৮ জন ছাত্রলীগের ও ৩ জন ছাত্রদল এবং অন্যরা বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী। ২০০৪ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরের নিজ বাসভবনের কাছে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন আওয়ামী পন্থি শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইউনুস। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই আবদুল হালিম বাদী হয়ে ওই দিন নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে জামা’আতুল জুমাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর আট সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। ২০১০ সালের ২৮শে জানুয়ারি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল দু’জনকে মৃত্যুদ- এবং অন্যদের খালাস দেয়।
২০০৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। ৩রা ফেব্রুয়ারি বাসার পেছনের সেপটিক ট্যাংকি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে আদালত ওই বিভাগের এক শিক্ষকসহ চারজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়। আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করে। গত বছরের ২১শে এপ্রিল দু’জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। এরা হলো, ড. তাহেরের সহকর্মী একই বিভাগের শিক্ষক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মিজানউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, একের পর এক যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হচ্ছে তাতে কেউ আর এখানে নিরাপদ নন। আমরা বারবার পুলিশকে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলার পরও হত্যাকা- ঘটে চলেছে।
No comments