দুদকে আইনমন্ত্রীর অস্বাভাবিক বিল
পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটলেও আটকে আছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাকালের দেনা। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাড়ে ২১ লাখ টাকার ভ্রমণ বিল এখনও পরিশোধ করা হয়নি। অডিট বিভাগের কাছে অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় বিলটি আটকে দেয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী ওই সময় দুদকের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। একই রুটে প্রথমবার ভ্রমণে তিনি যে বিল জমা দিয়েছেন, দ্বিতীয়বার তার চেয়েও কম দিন থেকে তিনগুণেরও বেশি টাকার বিল জমা দিয়েছেন।
দুদকের প্রশাসন সূত্র জানায়, আনিসুল হকের দাবিকৃত ভ্রমণ-ভাতা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় গত অর্থবছরেই বিলটি নিয়ে আপত্তি তোলে অডিট বিভাগ। আনিসুল হকও এ আপত্তির ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। দুদক তাই বিলও পরিশোধ করেনি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দেড় বছরেরও বেশি সময় তদন্তের পর চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর দুদক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত মামলার সব আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এর মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার। সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকালে রমেশের ডায়েরিসহ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে দুবার কানাডা সফর করেন দুদকের তৎকালীন প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক। প্রথম দফা সফর করেন ২০১৩ সালের ১৯ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফা সফর করেন একই বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর। দুই ভ্রমণ মিলিয়ে তিনি ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৬ টাকার বিল করেন।
অডিট বিভাগ কেন আপত্তি দিয়েছে- কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, আনিসুল হক দুবারই কানাডা সফর করেছেন একই রুটে। প্রথমবার বিজনেস ক্লাসের বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে (যাওয়া-আসা) ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ট্রানজিট ভাতা (২৪ ঘণ্টা করে ২টি) ৮ হাজার ৩১২ টাকা। টার্মিনাল চার্জ (৩টি) ৪ হাজার ৯৮৭ টাকা। অন্যান্য ভাতা ৬৬ হাজার ৪৯৮ টাকা। পরবর্তী সফরে বিমান ভাড়া দাবি করা হয় ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৭২৬ টাকা। ট্রানজিট ভাতা ১৬ হাজার ১৮০ টাকা। টার্মিনাল চার্জ (৪টি) ৬ হাজার ৪৭২ এবং অন্যান্য ভাতা ১৬ হাজার ১৮০ টাকা। প্রথমবার ৬ দিন কানাডা অবস্থান করে ভ্রমণ-ভাতা দাবি করেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৭৯৮ টাকা। দ্বিতীয়বার ৪ দিন অবস্থান করলেও বিল করেন ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৮ টাকা।
বর্তমান আইনমন্ত্রীর অস্বাভাবিক ভ্রমণ-ভাতা দাবিকে অনিয়ম আখ্যা দিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, যেহেতু অডিট আপিত্ত উঠেছে তাই আনিসুল হকের উচিত হবে দাবিকৃত ভ্রমণ বিলের সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রমাণাদি দাখিল করা। এটি যদি এয়ারলাইন্স কিংবা টিকিট-মূল্যের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খোলাসা করে ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। না হলে এটি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে। দুদকের একজন আইনজীবী হিসেবে যা তার কাছে প্রত্যাশিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. সহিদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, অডিট আপত্তি থাকায় বিলটি পরিশোধ করা হয়নি। ফাইল না দেখে বিলের সঠিক অঙ্কটি বলতে পারছি না। আমাদের বাজেটও প্রায় শেষ। এ কারণেই হয়তো পরিশোধ সম্ভব হয়নি।
ভ্রমণ-ভাতার বিলের বিষয়ে জানতে শনিবার বিকালে ফোন করলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাওসার জীবন বলেন, স্যার একাধিকবার মৌখিকভাবে দুদককে বিলটির জন্য তাগিদ দিয়েছেন বলে জানি। তবে স্যারই ভালো বলতে পারবেন। তিনি এখন বিমানে, লন্ডন যাচ্ছেন।
দুদকের প্রশাসন সূত্র জানায়, আনিসুল হকের দাবিকৃত ভ্রমণ-ভাতা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় গত অর্থবছরেই বিলটি নিয়ে আপত্তি তোলে অডিট বিভাগ। আনিসুল হকও এ আপত্তির ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। দুদক তাই বিলও পরিশোধ করেনি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দেড় বছরেরও বেশি সময় তদন্তের পর চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর দুদক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত মামলার সব আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এর মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার। সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকালে রমেশের ডায়েরিসহ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে দুবার কানাডা সফর করেন দুদকের তৎকালীন প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক। প্রথম দফা সফর করেন ২০১৩ সালের ১৯ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফা সফর করেন একই বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর। দুই ভ্রমণ মিলিয়ে তিনি ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৬ টাকার বিল করেন।
অডিট বিভাগ কেন আপত্তি দিয়েছে- কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, আনিসুল হক দুবারই কানাডা সফর করেছেন একই রুটে। প্রথমবার বিজনেস ক্লাসের বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে (যাওয়া-আসা) ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ট্রানজিট ভাতা (২৪ ঘণ্টা করে ২টি) ৮ হাজার ৩১২ টাকা। টার্মিনাল চার্জ (৩টি) ৪ হাজার ৯৮৭ টাকা। অন্যান্য ভাতা ৬৬ হাজার ৪৯৮ টাকা। পরবর্তী সফরে বিমান ভাড়া দাবি করা হয় ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৭২৬ টাকা। ট্রানজিট ভাতা ১৬ হাজার ১৮০ টাকা। টার্মিনাল চার্জ (৪টি) ৬ হাজার ৪৭২ এবং অন্যান্য ভাতা ১৬ হাজার ১৮০ টাকা। প্রথমবার ৬ দিন কানাডা অবস্থান করে ভ্রমণ-ভাতা দাবি করেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৭৯৮ টাকা। দ্বিতীয়বার ৪ দিন অবস্থান করলেও বিল করেন ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৮ টাকা।
বর্তমান আইনমন্ত্রীর অস্বাভাবিক ভ্রমণ-ভাতা দাবিকে অনিয়ম আখ্যা দিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, যেহেতু অডিট আপিত্ত উঠেছে তাই আনিসুল হকের উচিত হবে দাবিকৃত ভ্রমণ বিলের সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রমাণাদি দাখিল করা। এটি যদি এয়ারলাইন্স কিংবা টিকিট-মূল্যের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খোলাসা করে ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। না হলে এটি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে। দুদকের একজন আইনজীবী হিসেবে যা তার কাছে প্রত্যাশিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. সহিদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, অডিট আপত্তি থাকায় বিলটি পরিশোধ করা হয়নি। ফাইল না দেখে বিলের সঠিক অঙ্কটি বলতে পারছি না। আমাদের বাজেটও প্রায় শেষ। এ কারণেই হয়তো পরিশোধ সম্ভব হয়নি।
ভ্রমণ-ভাতার বিলের বিষয়ে জানতে শনিবার বিকালে ফোন করলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাওসার জীবন বলেন, স্যার একাধিকবার মৌখিকভাবে দুদককে বিলটির জন্য তাগিদ দিয়েছেন বলে জানি। তবে স্যারই ভালো বলতে পারবেন। তিনি এখন বিমানে, লন্ডন যাচ্ছেন।
No comments