সিলেটে আজ হরতাল, মেয়র আরিফের পক্ষে আন্দোলনে কাউন্সিলররা, বিএনপির সমর্থন by ওয়েছ খছরু
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে আমরা সিলেটবাসীর ডাকে আজ সিলেটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। আজকের এই হরতালে সমর্থন দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। একই সঙ্গে চার্জশিট থেকে মেয়রের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে তারা পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনে নেমেছেন। কাউন্সিলররা দাবি করেছেন, আলোচিত এ ঘটনার সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী কোন ভাবেই জড়িত নন। অন্যদিকে, আরিফুল হক চৌধুরীর নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে গতকাল বিকালে সিলেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় দফা চার্জশিট গত বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের বিচারিক আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। এই চার্জশিটে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সিলেটে। প্রতিবাদে ডাকা হলো হরতালও। ওদিকে, গতকাল বিকালে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি।
কাউন্সিলরদের কর্মসূচি: মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলকভাবে সম্পূরক অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে তা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সিটি কাউন্সিলররা। তারা জানিয়েছেন, এ দাবির ভিত্তিতে আগামী ২রা ডিসেম্বর পক্ষকালব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সিলেট নগরের সকল শ্রেণী-পেশার সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণস্বাক্ষর অভিযান, সিলেট সিটি করপোরেশনের সকল কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতীকী কর্ম বিরতি পালন, সিলেটের সর্বস্তরের সচেতন জনগণের মানববন্ধন, অন্ধকারে আলোর মিছিল, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও নগর ভবন প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ। সংবাদ সম্মেলনে সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ জানিয়েছেন, কর্মসূচির পর গণসমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কর্মসূচিতে সিলেট নগরবাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যা বললেন কাউন্সিলররা: নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন নগর উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও সিটি কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঘোষিত কর্মসূচিতে সকল কাউন্সিলরদের মৌন সমর্থন রয়েছে। সবাই উপস্থিত না থাকলেও তারা কর্মসূচিতে শরিক হবেন। এ সময় তিনি বলেন, কিবরিয়া হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার আজ জাতীয় দাবি। বিগত প্রায় দশ বছর ধরে এ হত্যার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা সন্দেহ ও বিতর্ক। ইতিমধ্যে দু’দফা অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয়েছে। তৃতীয় দফা দাখিলকৃত অভিযোগপত্র সম্পর্কেও কিবরিয়া পরিবারের কেউই অবগত নন। তৃতীয় দফা দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে সংযুক্ত করা হয়েছে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। তিনি বলেন, এ হত্যাকা-ে সিলেটের জননন্দিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কোন ভাবেই জড়িত থাকতে পারেন না। বিগত দশ বছর সময়কালে অনেকের নাম উচ্চারিত হলেও দাখিলকৃত অভিযোগপত্র ব্যতীত অন্য কোথাও কখনও মেয়র আরিফের নাম উচ্চারিত হয়নি। তিনি আরও বলেন, একটি পক্ষ সঙ্কট সৃষ্টি এবং তা স্থায়ী করে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়। তারা একত্রিত হয়ে নোংরা খেলা খেলতে গিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে হয়রানি করতে চাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র এডভোকেট ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, দিনার খান হাসু, রেজওয়ান আহমদ, সিকন্দর আলী, আবদুল জলিল নজরুল, মো. রাজিক মিয়া, এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, আব্দুল মুহিত জাবেদ, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মোহাম্মদ ছয়ফুল আমিন বাকের, মো. আব্দুর রকিব তুহিন, সোহেল আহমদ রিপন, দেলোয়ার হোসেন সজীব, তাকবির ইসলাম পিন্টু, নজরুল ইসলাম মুনিম, এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, সালেহা কবীর শেপী, আমেনা বেগম রুমি, কোহিনুর ইয়াসমিন ঝরনা, রেবেকা বেগম রেনু, দিবা রানী দে বাবলী।
হরতালে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমর্থন: মুক্তিযোদ্ধা দল সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব এডভোকেট শামীম সিদ্দিকী, যুগ্ম আহ্বায়ক সুয়াদ রব চৌধুরী, আখতার হোসেন মিন্টু, আব্দুর রহিম মল্লিক, শাহজাহান হোসেন চৌধুরী, এস এম রুমেল পীর, বিশ্বনাথ থানা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ হেলালী, এস এম শহিদ রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মিয়া, আব্দুল গণি, ইনতাজ আলী, আব্দুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর আহমদ সাহেদ, বিমানবন্দর থানা কমিটির আহ্বায়ক জাহেদ আহমদ, বিয়ানীবাজার থানা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মালিক, নাজিম উদ্দিন, কাওছার আহমদ, সেলিম চৌধুরী, জেলার অন্যতম সদস্য ইমতিয়ার হোসেন আরাফাত, জিএম সুহিন, লোকমান আহমদ, হাবিবুর রহমান খোকনসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নামে বর্তমান অবৈধ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট প্রদানের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আওয়ামী-বাকশালী সরকারের বিএনপির রাজপথের আন্দোলন শক্তিকে দুর্বল করতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার চার্জশিটে মেয়র আরিফুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নামে দায়েরকৃত চার্জশিট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় সিলেটের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে তারা ‘আমরা সিলেটবাসী’র ডাকা আজকের হরতালে সমর্থন জানিয়ে হরতাল সফল করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ: সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে জেলা ও মহানগর বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কুদরতউল্লাহ মার্কেটের দিক থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল সমাবেশে যোগ দেয়ার দু’তিন মিনিট পরই একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রোববার বিকাল সোয়া ৪টায় এই ঘটনা ঘটে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রতিবাদে ও চার্জশিট থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছে। সমাবেশ চলাকালে নগরীর বন্দরবাজার কুদরতউল্লাহ মার্কেটের দিক থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল এসে সমাবেশে যোগ দেয়। এই মিছিলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যেখানে অবস্থান করে, ঠিক সে জায়গায় দু’তিন মিনিট পরেই একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীসহ সমাবেশে যোগ দেয়া নেতাকর্মীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এ সময় আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ করে দেয়া হয়। ককটেল বিস্ফোরণের পরে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করা হয়।
হরতালে সমর্থন বিএনপির: মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে চার্জশিটভুক্ত করার প্রতিবাদে আজকের হরতালে সমর্থন জানিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। গতকাল সিলেট কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশ থেকে এই হরতালে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক। এ সময় তিনি বলেন, এ হরতালে গোটা সিলেটবাসীর সমর্থন রয়েছে। আর এ হরতালে সমর্থন দিলো বিএনপিও। এর আগে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, চার্জশিট থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী, মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুল গফ্ফার, নাসিম হোসাইন, বদরুজ্জামান সেলিম, আলী হোসেন ও আজমল বখত সাদেক প্রমুখ।
কাউন্সিলরদের কর্মসূচি: মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলকভাবে সম্পূরক অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে তা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সিটি কাউন্সিলররা। তারা জানিয়েছেন, এ দাবির ভিত্তিতে আগামী ২রা ডিসেম্বর পক্ষকালব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সিলেট নগরের সকল শ্রেণী-পেশার সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণস্বাক্ষর অভিযান, সিলেট সিটি করপোরেশনের সকল কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতীকী কর্ম বিরতি পালন, সিলেটের সর্বস্তরের সচেতন জনগণের মানববন্ধন, অন্ধকারে আলোর মিছিল, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও নগর ভবন প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ। সংবাদ সম্মেলনে সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ জানিয়েছেন, কর্মসূচির পর গণসমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কর্মসূচিতে সিলেট নগরবাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যা বললেন কাউন্সিলররা: নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন নগর উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও সিটি কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঘোষিত কর্মসূচিতে সকল কাউন্সিলরদের মৌন সমর্থন রয়েছে। সবাই উপস্থিত না থাকলেও তারা কর্মসূচিতে শরিক হবেন। এ সময় তিনি বলেন, কিবরিয়া হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার আজ জাতীয় দাবি। বিগত প্রায় দশ বছর ধরে এ হত্যার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা সন্দেহ ও বিতর্ক। ইতিমধ্যে দু’দফা অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয়েছে। তৃতীয় দফা দাখিলকৃত অভিযোগপত্র সম্পর্কেও কিবরিয়া পরিবারের কেউই অবগত নন। তৃতীয় দফা দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে সংযুক্ত করা হয়েছে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। তিনি বলেন, এ হত্যাকা-ে সিলেটের জননন্দিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কোন ভাবেই জড়িত থাকতে পারেন না। বিগত দশ বছর সময়কালে অনেকের নাম উচ্চারিত হলেও দাখিলকৃত অভিযোগপত্র ব্যতীত অন্য কোথাও কখনও মেয়র আরিফের নাম উচ্চারিত হয়নি। তিনি আরও বলেন, একটি পক্ষ সঙ্কট সৃষ্টি এবং তা স্থায়ী করে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়। তারা একত্রিত হয়ে নোংরা খেলা খেলতে গিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে হয়রানি করতে চাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র এডভোকেট ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, দিনার খান হাসু, রেজওয়ান আহমদ, সিকন্দর আলী, আবদুল জলিল নজরুল, মো. রাজিক মিয়া, এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, আব্দুল মুহিত জাবেদ, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মোহাম্মদ ছয়ফুল আমিন বাকের, মো. আব্দুর রকিব তুহিন, সোহেল আহমদ রিপন, দেলোয়ার হোসেন সজীব, তাকবির ইসলাম পিন্টু, নজরুল ইসলাম মুনিম, এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, সালেহা কবীর শেপী, আমেনা বেগম রুমি, কোহিনুর ইয়াসমিন ঝরনা, রেবেকা বেগম রেনু, দিবা রানী দে বাবলী।
হরতালে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমর্থন: মুক্তিযোদ্ধা দল সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব এডভোকেট শামীম সিদ্দিকী, যুগ্ম আহ্বায়ক সুয়াদ রব চৌধুরী, আখতার হোসেন মিন্টু, আব্দুর রহিম মল্লিক, শাহজাহান হোসেন চৌধুরী, এস এম রুমেল পীর, বিশ্বনাথ থানা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ হেলালী, এস এম শহিদ রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মিয়া, আব্দুল গণি, ইনতাজ আলী, আব্দুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর আহমদ সাহেদ, বিমানবন্দর থানা কমিটির আহ্বায়ক জাহেদ আহমদ, বিয়ানীবাজার থানা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মালিক, নাজিম উদ্দিন, কাওছার আহমদ, সেলিম চৌধুরী, জেলার অন্যতম সদস্য ইমতিয়ার হোসেন আরাফাত, জিএম সুহিন, লোকমান আহমদ, হাবিবুর রহমান খোকনসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নামে বর্তমান অবৈধ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট প্রদানের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আওয়ামী-বাকশালী সরকারের বিএনপির রাজপথের আন্দোলন শক্তিকে দুর্বল করতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার চার্জশিটে মেয়র আরিফুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নামে দায়েরকৃত চার্জশিট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় সিলেটের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে তারা ‘আমরা সিলেটবাসী’র ডাকা আজকের হরতালে সমর্থন জানিয়ে হরতাল সফল করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ: সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে জেলা ও মহানগর বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কুদরতউল্লাহ মার্কেটের দিক থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল সমাবেশে যোগ দেয়ার দু’তিন মিনিট পরই একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রোববার বিকাল সোয়া ৪টায় এই ঘটনা ঘটে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রতিবাদে ও চার্জশিট থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছে। সমাবেশ চলাকালে নগরীর বন্দরবাজার কুদরতউল্লাহ মার্কেটের দিক থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল এসে সমাবেশে যোগ দেয়। এই মিছিলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যেখানে অবস্থান করে, ঠিক সে জায়গায় দু’তিন মিনিট পরেই একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীসহ সমাবেশে যোগ দেয়া নেতাকর্মীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এ সময় আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ করে দেয়া হয়। ককটেল বিস্ফোরণের পরে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করা হয়।
হরতালে সমর্থন বিএনপির: মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে চার্জশিটভুক্ত করার প্রতিবাদে আজকের হরতালে সমর্থন জানিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। গতকাল সিলেট কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশ থেকে এই হরতালে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক। এ সময় তিনি বলেন, এ হরতালে গোটা সিলেটবাসীর সমর্থন রয়েছে। আর এ হরতালে সমর্থন দিলো বিএনপিও। এর আগে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, চার্জশিট থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী, মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুল গফ্ফার, নাসিম হোসাইন, বদরুজ্জামান সেলিম, আলী হোসেন ও আজমল বখত সাদেক প্রমুখ।
No comments