গাজা পুনর্গঠনে ৭৭০ কোটি ডলার!
ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণে কমপক্ষে ২০ বছর লাগবে। গাজা পুনর্নির্মাণ তৎপরতায় জড়িত একটি সংস্থা এ কথা জানিয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ড বুলেটিনের। গাজা পুনর্নির্মাণ তৎপরতায় জড়িত সংস্থা পপুলার কমিটি ফর মনিটরিং দ্য রিকন্সট্রাকশন অব দ্য গাজা স্ট্রিপের প্রধান আলা রাদওয়ান বলেন, নির্মাণসামগ্রী যে গতিতে গাজায় ঢুকছে তার ভিত্তিতে বলা যায় এ উপত্যকা পুনর্নির্মাণে অন্তত ২০ বছর লাগবে। জাতিসংঘ অনুমোদিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে ৪০ ট্রাক সিমেন্ট, লোহা ও নুড়িপাথর গাজায় ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অবশ্য, আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী গাজায় প্রতিদিন ৬ হাজার টন সিমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে।
গত জুলাইয়ে ইসরাইলের সঙ্গে ৫০ দিনের যুদ্ধে গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠী ও অবকাঠামো ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়েছে। অসম এ যুদ্ধে সামরিক দিক থেকে ইসরাইলকেও চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।
এদিকে গাজা পুনর্নির্মাণে আন্তর্জাতিক দাতারা ৫৪০ কোটি ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিন বিশেষজ্ঞদের পাঠানো সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজা পুনর্নির্মাণে প্রায় ৭৭০ কোটি ডলার প্রয়োজন। শীতকাল এগিয়ে এলেও গাজায় এখনও গৃহহীন রয়েছে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।
২০০৮ সাল থেকে ইসরাইলের চাপিয়ে দেয়া তিনটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের শিকার হয়েছে গাজা উপত্যকা।
এসব যুদ্ধের কোনোটাতেই সামরিক দিক থেকে ইসরাইল সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু ইসরাইলি সাময়িক শক্তির নির্বিচার হামলায় গাজার জনজীবন ভয়াবহ ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
এছাড়া দীর্ঘকাল ধরে গাজার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কংক্রিটসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রী গাজায় ঢোকার ওপর বাধা নিষেধ রয়েছে।
সর্বশেষ এ যুদ্ধে নারী-শিশুসহ অন্তত ২১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১ হাজার লোক আহত হয়েছিল।
গাজায় চিকিৎসক প্রবেশে
ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞা
নরওয়ের চিকিৎসক ম্যাডস গিলবার্টের গাজায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরাইল। গাজার আলশিফা হাসপাতালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
কিছুদিন আগে গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সাত সপ্তাহ ধরে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাতে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন তিনি। সম্প্রতি ৬৭ বছর বয়সী গিলবার্ট গাজায় প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তাকে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
চিকিৎসকের পাশাপাশি গিলবার্ট একজন মানবাধিকার কর্মী। গাজায় বিভিন্ন সময় ইসরাইলের চালানো সহিংসতার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
নরওয়ের ওই চিকিৎসক জানান, ইসরাইলি সেনারা তাকে নিরাপত্তার অজুহাতে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন জানিয়ে গিলবার্ট বলেন, গাজায় তার প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অর্থ হল মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরাইল সরকার চায়, গাজার সাধারণ মানুষের ওপর তাদের অব্যাহত হামলার খবর যেন বিশ্ববাসী না জানতে পারে।
তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা তার ওপর নয়, বরং গাজার মানুষের আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারের ওপর আরোপ করা হয়েছে। আলজাজিরা।
অবশ্য, আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী গাজায় প্রতিদিন ৬ হাজার টন সিমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে।
গত জুলাইয়ে ইসরাইলের সঙ্গে ৫০ দিনের যুদ্ধে গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠী ও অবকাঠামো ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়েছে। অসম এ যুদ্ধে সামরিক দিক থেকে ইসরাইলকেও চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।
এদিকে গাজা পুনর্নির্মাণে আন্তর্জাতিক দাতারা ৫৪০ কোটি ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিন বিশেষজ্ঞদের পাঠানো সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজা পুনর্নির্মাণে প্রায় ৭৭০ কোটি ডলার প্রয়োজন। শীতকাল এগিয়ে এলেও গাজায় এখনও গৃহহীন রয়েছে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।
২০০৮ সাল থেকে ইসরাইলের চাপিয়ে দেয়া তিনটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের শিকার হয়েছে গাজা উপত্যকা।
এসব যুদ্ধের কোনোটাতেই সামরিক দিক থেকে ইসরাইল সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু ইসরাইলি সাময়িক শক্তির নির্বিচার হামলায় গাজার জনজীবন ভয়াবহ ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
এছাড়া দীর্ঘকাল ধরে গাজার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কংক্রিটসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রী গাজায় ঢোকার ওপর বাধা নিষেধ রয়েছে।
সর্বশেষ এ যুদ্ধে নারী-শিশুসহ অন্তত ২১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১ হাজার লোক আহত হয়েছিল।
গাজায় চিকিৎসক প্রবেশে
ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞা
নরওয়ের চিকিৎসক ম্যাডস গিলবার্টের গাজায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরাইল। গাজার আলশিফা হাসপাতালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
কিছুদিন আগে গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সাত সপ্তাহ ধরে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাতে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন তিনি। সম্প্রতি ৬৭ বছর বয়সী গিলবার্ট গাজায় প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তাকে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
চিকিৎসকের পাশাপাশি গিলবার্ট একজন মানবাধিকার কর্মী। গাজায় বিভিন্ন সময় ইসরাইলের চালানো সহিংসতার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
নরওয়ের ওই চিকিৎসক জানান, ইসরাইলি সেনারা তাকে নিরাপত্তার অজুহাতে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন জানিয়ে গিলবার্ট বলেন, গাজায় তার প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অর্থ হল মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরাইল সরকার চায়, গাজার সাধারণ মানুষের ওপর তাদের অব্যাহত হামলার খবর যেন বিশ্ববাসী না জানতে পারে।
তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা তার ওপর নয়, বরং গাজার মানুষের আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারের ওপর আরোপ করা হয়েছে। আলজাজিরা।
No comments