খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে গ্রেনেড বিস্ফোরণে ২ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত ৪
খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে বার্ষিক প্রশিক্ষণ চলাকালে গ্রেনেড বিস্ফোরণে রামগড় ১৬ বিজিবি’র দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও চার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে প্রশিক্ষণ চলাকালে অসাবধানতায় একটি গ্রেনেডের পিন খোলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বিজিবি সদস্যরা হলেন- নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম (৫৫) ও মো. হাসান (৪০)। নিহত আবুল কাশেমের বাড়ি কুিমল্লা ও হাসানের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। আহতরা হলেন- নায়েক সুবেদার মাসুদ (৫৫), ল্যান্স নায়েক সামিরুল (৩৫), ল্যান্স নায়েক সিরাজ এবং একজন বিজিবির ডাক্তার। আহতদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে ঢাকা সেনাবাহিনীর সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জি টু (ইন্টেলিজেন্স বিভাগের) মেজর রুবায়েত জামিল সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানবজমিন স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, নিহত নায়েক সুবেদার আবুল কাশেমের কুমিল্লার চান্দিনার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তিনি চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের চিলোড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ৩ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। নিহতের বড় মেয়ে কামরুন্নাহারের স্বামী সামছুল হক জানান, তার শ্বশুর আবুল কাশেমের (৫৬) মৃত্যুর খবর খাগড়াছড়ি বিজিবি সদর দপ্তর থেকে মোবাইল ফোনে গতকাল দুপুর একটার দিকে চান্দিনার চিলোড়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। আকস্মিক এ খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি জানান, আবুল কাশেমের স্ত্রী মালেকা বেগম এবং এক পুত্র ও চার মেয়ে রয়েছে। তারা হলেন- আতিকুল ইসলাম, কামরুন্নাহার, শারমিন আক্তার মিতু, শাহনেওয়াজ আক্তার সেতু ও হালিমা আক্তার। এদের মধ্যে আতিকুল ইসলাম ৪ বছর আগে মাস্টার্স ডিগ্রি পাস করলেও এখন পর্যন্ত বেকার জীবনযাপন করছেন। ৪ মেয়ের মধ্যে ৩ মেয়ে বিবাহিতা ও ছোট মেয়ে হালিমা জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। পিতার মৃত্যুর খবর শুনে সবাই বুক ফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় এলাকায় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। আবুল কাশেমের স্ত্রী মালেকা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার স্বামী আবুল কাশেম এসএসসি পাস করে ১৯৭৮ সালে তৎকালীন বিডিআরে যোগদান করেন। গত রোজার ঈদ উদযাপন করে বাড়ি থেকে তিনি কর্মস্থলে যান। গত শনিবার তিনি মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন খাগড়াছড়িতে ট্রেনিং শেষ করে আগামী মাসে বাড়ি আসবেন। এখন শুধুই মরদেহের অপেক্ষায় আছেন তার পরিবার ও স্বজনরা। চান্দিনা থানার ওসি গোলাম মোর্শেদ নিহত আবুল কাশেমের বাড়ি চান্দিনায় বলে নিশ্চিত করেছেন, তবে সরকারিভাবে এখনও কোন বার্তা পাইনি।
মানবজমিন স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, নিহত নায়েক সুবেদার আবুল কাশেমের কুমিল্লার চান্দিনার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তিনি চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের চিলোড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ৩ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। নিহতের বড় মেয়ে কামরুন্নাহারের স্বামী সামছুল হক জানান, তার শ্বশুর আবুল কাশেমের (৫৬) মৃত্যুর খবর খাগড়াছড়ি বিজিবি সদর দপ্তর থেকে মোবাইল ফোনে গতকাল দুপুর একটার দিকে চান্দিনার চিলোড়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। আকস্মিক এ খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি জানান, আবুল কাশেমের স্ত্রী মালেকা বেগম এবং এক পুত্র ও চার মেয়ে রয়েছে। তারা হলেন- আতিকুল ইসলাম, কামরুন্নাহার, শারমিন আক্তার মিতু, শাহনেওয়াজ আক্তার সেতু ও হালিমা আক্তার। এদের মধ্যে আতিকুল ইসলাম ৪ বছর আগে মাস্টার্স ডিগ্রি পাস করলেও এখন পর্যন্ত বেকার জীবনযাপন করছেন। ৪ মেয়ের মধ্যে ৩ মেয়ে বিবাহিতা ও ছোট মেয়ে হালিমা জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। পিতার মৃত্যুর খবর শুনে সবাই বুক ফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় এলাকায় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। আবুল কাশেমের স্ত্রী মালেকা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার স্বামী আবুল কাশেম এসএসসি পাস করে ১৯৭৮ সালে তৎকালীন বিডিআরে যোগদান করেন। গত রোজার ঈদ উদযাপন করে বাড়ি থেকে তিনি কর্মস্থলে যান। গত শনিবার তিনি মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন খাগড়াছড়িতে ট্রেনিং শেষ করে আগামী মাসে বাড়ি আসবেন। এখন শুধুই মরদেহের অপেক্ষায় আছেন তার পরিবার ও স্বজনরা। চান্দিনা থানার ওসি গোলাম মোর্শেদ নিহত আবুল কাশেমের বাড়ি চান্দিনায় বলে নিশ্চিত করেছেন, তবে সরকারিভাবে এখনও কোন বার্তা পাইনি।
No comments