পোস্টমর্টেম রিপোর্টে টুনি’র আত্মহত্যা পরিবারের প্রত্যাখ্যান
আশির দশকে টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিন রাত্রি’র টুনি চরিত্রের অভিনেত্রী নায়ার সুলতানা লোপা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে টুনির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে টুনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১৬ই অক্টোবর গুলশানের ১২৩ নম্বর সড়কের ১২ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে টুনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে টুনি আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ জানালেও মৃত্যুর কারণ জানার জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এদিকে ঘটনার পর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে টুনির মা রাজিয়া সুলতানা গুলশান থানায় জামাতা আল-আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার সকালে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এসেছে। তাতে বলা হয়েছে নায়ার সুলতানা আত্মহত্যা করেছেন। তবে এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নন লোপার মা রাজিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, টুনি আত্মহত্যা করেনি। ওকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর টাকা দিয়ে ওর স্বামী ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বদলে দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আদালতে নারাজি জানাব। পরিবারের সদস্যরা জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আল-আমিন বিয়ের পর থেকেই টুনিকে নানা কারণে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত। নিহত টুনির ৯ ও ৬ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৫-৮৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘এইসব দিনরাত্রি’ নাটকে শিশুশিল্পী হিসাবে টুনি চরিত্রে অভিনয় করেন লোপা। নাটকের শেষ পর্যায়ে টুনি চরিত্রের অসুস্থ হয়ে মৃত্যু দেখান জনপ্রিয় নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ। এর প্রতিবাদে সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হুমায়ূন আহমেদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
No comments