গণতান্ত্রিক বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ শুধু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই করেনি, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব হয়েছে।” রোববার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে একটি ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন সিপিএর চেয়ারপারসন ও সাবের হোসেন চৌধুরী আইপিওর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় এই ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হয়।। শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বের সব সংসদকে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে্- এটা আমাদের জন্য বিরল সম্মান, অনন্য ইতিহাস। যে বাংলাদেশ তিনবার সিপিএর সদস্যপদ হারিয়েছে, সে বাংলাদেশ আজ সিপিএর নেতৃত্ব দিচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের দুজন প্রার্থীকে বিজয়ী করায় একটি বিরাট দায়িত্ব পড়েছে গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে। এটা বিরাট গুরুদায়িত্বও বটে। সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।” বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে যারা কথা বলেছে, সারা বিশ্ব তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এর পরও যারা কথা বলছেন, তারা অর্বাচীন। গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে চাই। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ তৈরি করেই আমরা সেটা পালন করব।” দেশবাসীর সমর্থন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের ওপর আছে। সে জন্যই সিপিএ ও আইপিএতে আমরা এমন বিজয় পেয়েছি।” জিম্বাবুয়েকে হারানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকেও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুমিনুল হককে বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে ধন্যবাদ প্রস্তাব কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়। ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর মোট ৩৩ জন বক্তব্য দেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ডা. দীপু মনি, অধ্যাপক আলী আশরাফ, হাজি সেলিম, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী প্রমুখ।
No comments