আনসার আল ইসলাম আল কায়দার সংগঠন
ব্লগার রাজীব হায়দার শোভনের পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম উগ্রপন্থীদের হাতে খুনের শিকার হলেন। সাধারণত উগ্রপন্থীরা তথাকথিত নাস্তিক উপমা দিয়ে হত্যা চালিয়ে থাকে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই হয়। রাবির শিক্ষককে হত্যার পর আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ (এএইবি) নামে একটি ফেসবুক পেজে হত্যার দায় স্বীকার করা হয়। রাজীবকে হত্যার পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) তাদের ওয়েব পেজে দায় স্বীকার করে। পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা বাবউল ইসলাম নামে ওয়েবপেজেও হত্যাকারীদের উম্মার সিংহ বলে আখ্যা দেয়া হয়। নতুন এই আনসার আল ইসলাম ইরাক যুদ্ধের সময় সক্রিয় একটি বিদ্রোহী গ্র“পের নাম ছিল। এবিটি ও এএইবি একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, উগ্রপন্থী এবিটির টার্গেটে আরও অনেকেই আছেন। বিশেষ করে এবিটির অপারেশন টিমের প্রধান রেজওয়ানুল হক রানা এ হত্যার ছক তৈরি করেছেন। এই রানা ব্লগার রাজীবের খুনের প্রধান হোতা। তাদের তালিকায় মিরপুরের মনিপুরী স্কুলের দুই শিক্ষকও রয়েছেন। পাশাপাশি কিছুসংখ্যক ব্লগারও রয়েছেন। জানা গেছে, কিলিং মিশন শুধু দেশে নয়, বিদেশে গিয়েও চালাতে পারেন তারা। তাদের তালিকায় রয়েছে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন, সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ধর্ম নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা ব্যক্তিরা। রাজীবকে হত্যার পর এবিটির সদস্যরা ফেসবুকে আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ পেজ খুলেছিল। কিন্তু গত মাসের শেষের দিকে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পেজটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরই নতুন নাম আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ দিয়ে রাবির শিক্ষককে হত্যা করে। তাদের দায় স্বীকার থেকে বোঝা যায় যে তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এবিটির উগ্রপন্থীদের টার্গেটে রয়েছেন মিরপুরের মনিপুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ফরহাদ হোসেন ও ভাইস প্রিন্সিপাল আবদুর রহিম। উগ্রপন্থীরা ইসলামবিরোধী নাস্তিক আখ্যায়িত করে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল এই দুই শিক্ষককে।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, এবিটির অপারেশন টিমের প্রধান রানাকে গ্রেফতারে ডিবি পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এই রানাকে পাওয়া গেলে এবিটির কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও নতুন সদস্যের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এবিটির উগ্রপন্থীদের টার্গেটে রয়েছেন মিরপুরের মনিপুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ফরহাদ হোসেন ও ভাইস প্রিন্সিপাল আবদুর রহিম। উগ্রপন্থীরা ইসলামবিরোধী নাস্তিক আখ্যায়িত করে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল এই দুই শিক্ষককে।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, এবিটির অপারেশন টিমের প্রধান রানাকে গ্রেফতারে ডিবি পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এই রানাকে পাওয়া গেলে এবিটির কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও নতুন সদস্যের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।
No comments