আলুটিলায় রহস্যময় গুহা by আজহার হীরা
খাগড়াছড়ির সবচেয়ে রহস্যময় ও দর্শনীয় স্থান আলুটিলা পাহাড়ের পাদদেশের রহস্যময় গুহা (সুড়ঙ্গ পথ)। প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি এ সুড়ঙ্গ পথ পাহাড়কে এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত ভেদ করেছে। চারদিকে পাহাড়ের দেয়াল বেষ্টিত গুহাটির দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার, চওড়া ৫-৬ ফুট, উচ্চতা ৬-৮ ফুট। সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে যেতে ১০-১৫ মিনটি সময় লাগে। আলুটিলা থেকে সুড়ঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছতে ৩১১ সিঁড়ি এবং গুহা থেকে বের হওয়ার পর উঠে আসতে ১৯২টি সিঁড়ি অতিক্রম করতে হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকার এই গুহার ওপর থেকে ঝিরঝির শিরশির করে আশা পাহাড়ি ঝরনার পানি নেমে পা ধুইয়ে দেয় পর্যটকদের। গুহার ভেতর ঢুকতে হয় মশাল নিয়ে। পর্যটনকেন্দ্রেই ৫-১০ টাকা দিয়ে পাওয়া যায় মশাল। নিজেদের স্মৃতির নিশানা রেখে যেতে গুহা থেকে বেরিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাযুগল তাদের নাম লিখে রাখে পাথরের গায়ে। আজব এ গুহার সৃষ্টির রহস্য আজও কেউ খুঁজে পায়নি। তবে কথিত আছে অতীতে কোন সময় বড় কোন ভূমিকম্পে পাহাড়ের ভেতর ফাটল থেকেই এ গুহার সৃষ্টি হয়েছে। আবার ভিন্ন মতও রয়েছে অনেকের। গুহাটি পরিদর্শনে দেখা যায়, গুহার ওপর থেকে ঝরনার পানি গড়িয়ে নামছে নিচের দিকে। অনেকে ধারণা করে থাকে ঝরনার পানির তীব্র স্রোতে প্রথমে পাহাড়ের উপরিভাগে ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সেই গর্ত গভীর হতে হতে পাহাড় ভেদ করেই গুহার সৃষ্টি হয়েছে। এ গুহাটির রহস্য এতই আজব, এটি কবে কখন কে প্রথম আবিষ্কার করেছেন সে ব্যাপরেও কোন সঠিক তথ্য কেউ জানে না। তবে তৎকালীন আলুটিলা মহাজনপাড়ার কার্বারি প্রবীণ সেন ত্রিপুরাই কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে ১৯২০ সালে প্রথম আলুটিলা গুহা আবিষ্কার করে তা অতিক্রম করেন বলে জানা যায়।
আলুটিলার ইতিহাস: প্রায় ৩০০ বছর আগে বর্তমান আলুটিলার নাম ছিল মহাজনপাড়া। মহাজনপাড়ার এ পাহাড়টিতে প্রচুর জঙ্গলি আলু পাওয়া যেত। আলুর আধিক্যের কারণে এ পাহাড়টির নামকরণ করা হয় আলুটিলা। ১৯২০ সালে আলুটিলা মহাজনপাড়া কার্বারি ছিলেন প্রবীণ সেন ত্রিপুরার মুখ থেকে এ ইতিহাস জানা যায়। পরে প্রবীণ সেন ত্রিপুরাই কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে ১৯২০ সালে প্রথম আলুটিলা গুহা আবিষ্কার করেন বলে জানা গেছে।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের বৈশিষ্ট্য: খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলা অত্যন্ত বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যমণ্ডিত। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এ পাহাড়ের উচ্চতা এক হাজার ফুট। সুউচ্চ এ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ালে খাগড়াছড়ির পুরো শহরকে দেখা যায়। তাই অনেকে এ পাহাড়কে দার্জেলিংয়ের সঙ্গেও তুলনা করে থাকেন। তাই তো আলুটিলা পাহাড়ের পাদদেশের রহস্যময় গুহা থেকে পাহাড়ের চূড়ায় ফিরে ক্লান্ত পর্যটক খাগড়াছড়ি শহরের দৃশ্য দেখে তাদের ক্লান্তির অবসান ঘটায়।
আলুটিলার ইতিহাস: প্রায় ৩০০ বছর আগে বর্তমান আলুটিলার নাম ছিল মহাজনপাড়া। মহাজনপাড়ার এ পাহাড়টিতে প্রচুর জঙ্গলি আলু পাওয়া যেত। আলুর আধিক্যের কারণে এ পাহাড়টির নামকরণ করা হয় আলুটিলা। ১৯২০ সালে আলুটিলা মহাজনপাড়া কার্বারি ছিলেন প্রবীণ সেন ত্রিপুরার মুখ থেকে এ ইতিহাস জানা যায়। পরে প্রবীণ সেন ত্রিপুরাই কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে ১৯২০ সালে প্রথম আলুটিলা গুহা আবিষ্কার করেন বলে জানা গেছে।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের বৈশিষ্ট্য: খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলা অত্যন্ত বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যমণ্ডিত। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এ পাহাড়ের উচ্চতা এক হাজার ফুট। সুউচ্চ এ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ালে খাগড়াছড়ির পুরো শহরকে দেখা যায়। তাই অনেকে এ পাহাড়কে দার্জেলিংয়ের সঙ্গেও তুলনা করে থাকেন। তাই তো আলুটিলা পাহাড়ের পাদদেশের রহস্যময় গুহা থেকে পাহাড়ের চূড়ায় ফিরে ক্লান্ত পর্যটক খাগড়াছড়ি শহরের দৃশ্য দেখে তাদের ক্লান্তির অবসান ঘটায়।
No comments