এইচ টি ইমাম তিন দিন পর বললেন অমন কথা বলেননি- নীরবতা ভাঙলেও অনুশোচনা নেই
আওয়ামী লীগের প্রচার উপপরিষদের বৈঠক ডেকে গতকাল রোববার সে বৈঠকে উপস্থিত না হলেও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘যে মন্তব্যের জন্য তাঁর সমালোচনা করা হচ্ছে সে রকম কোনো কথা তিনি বলেননি।’ বুধবারের ওই মন্তব্যের পর তিন দিন নীরব থেকে গতকাল দিনভর প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎলাভের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে অস্বীকৃতি জানালেন।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে দল ও সরকারের ভেতরে-বাইরে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন বলে দলীয় সূত্রগুলো জানায়। গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে দলের সব জ্যেষ্ঠ নেতা এইচ টি ইমামের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত বুধবার ছাত্রলীগের এক সভায় এইচ টি ইমাম ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ পুলিশ ও প্রশাসনের যে ভূমিকা, নির্বাচনের সময় আমি তো প্রত্যেকটি উপজেলায় কথা বলেছি, সব জায়গায় আমাদের যাঁরা রিক্রুটেড, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট করিয়ে আমরা নির্বাচন করেছি। তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বুক পেতে দিয়েছেন।’
গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই মনোভাব প্রকাশের পরদিন গত শনিবার হঠাৎ করেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রচার উপপরিষদের বৈঠক ডাকেন এইচ টি ইমাম। তিনি প্রচার উপপরিষদের চেয়ারম্যান। বৈঠকটি গতকাল বেলা ১১টায় হওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। আজ বেলা ১১টায় আবার তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
প্রচার উপপরিষদের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেন প্রচার উপপরিষদের সদস্যসচিব হাছান মাহমুদ। এইচ টি ইমাম বৈঠক ডেকে কেন উপস্থিত হননি জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছেন। তাই তিনি বৈঠকে আসতে পারেননি।’ হঠাৎ করে কেন প্রচার উপপরিষদের বৈঠক ডাকা হলো—এই প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটা আমাদের নিয়মিত বৈঠক।’ বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু সেমিনার করব’।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী গতকাল তাঁর কার্যালয়ে যাননি। এইচ টি ইমাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর নিজ অফিসকক্ষে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাননি। তবে তিনি আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর অপর দুজন উপদেষ্টা যাঁরা সাবেক আমলা, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নানাভাবে যোগাযোগ করে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ লাভেরও চেষ্টা চালান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষাতের সুযোগ না পেলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। তবে কী ধরনের যোগাযোগ তা তিনি খোলাসা করেননি।
দল ও সরকারে বিরূপ অবস্থানের মধ্যে এইচ টি ইমাম হঠাৎ করে প্রচার উপপরিষদের বৈঠক ডাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলে নিজের অবস্থান সুসংহত বোঝাতেই তিনি বৈঠক ডেকেছেন। কারণ প্রচারবিষয়ক এমন কোনো কাজ ছিল না যে তাঁর তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকতে হবে।’
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, এইচ টি ইমাম প্রচার উপপরিষদের বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় সভানেত্রীর অনুমতি ছাড়া বৈঠক করা ঠিক হবে না বলে তাঁর কয়েকজন অনুসারীর পরমর্শে শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হননি। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে দল ও সরকারের ভেতরে-বাইরে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন বলে দলীয় সূত্রগুলো জানায়। গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে দলের সব জ্যেষ্ঠ নেতা এইচ টি ইমামের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত বুধবার ছাত্রলীগের এক সভায় এইচ টি ইমাম ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ পুলিশ ও প্রশাসনের যে ভূমিকা, নির্বাচনের সময় আমি তো প্রত্যেকটি উপজেলায় কথা বলেছি, সব জায়গায় আমাদের যাঁরা রিক্রুটেড, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট করিয়ে আমরা নির্বাচন করেছি। তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বুক পেতে দিয়েছেন।’
গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই মনোভাব প্রকাশের পরদিন গত শনিবার হঠাৎ করেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রচার উপপরিষদের বৈঠক ডাকেন এইচ টি ইমাম। তিনি প্রচার উপপরিষদের চেয়ারম্যান। বৈঠকটি গতকাল বেলা ১১টায় হওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। আজ বেলা ১১টায় আবার তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
প্রচার উপপরিষদের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেন প্রচার উপপরিষদের সদস্যসচিব হাছান মাহমুদ। এইচ টি ইমাম বৈঠক ডেকে কেন উপস্থিত হননি জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছেন। তাই তিনি বৈঠকে আসতে পারেননি।’ হঠাৎ করে কেন প্রচার উপপরিষদের বৈঠক ডাকা হলো—এই প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটা আমাদের নিয়মিত বৈঠক।’ বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু সেমিনার করব’।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী গতকাল তাঁর কার্যালয়ে যাননি। এইচ টি ইমাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর নিজ অফিসকক্ষে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাননি। তবে তিনি আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর অপর দুজন উপদেষ্টা যাঁরা সাবেক আমলা, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নানাভাবে যোগাযোগ করে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ লাভেরও চেষ্টা চালান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষাতের সুযোগ না পেলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। তবে কী ধরনের যোগাযোগ তা তিনি খোলাসা করেননি।
দল ও সরকারে বিরূপ অবস্থানের মধ্যে এইচ টি ইমাম হঠাৎ করে প্রচার উপপরিষদের বৈঠক ডাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলে নিজের অবস্থান সুসংহত বোঝাতেই তিনি বৈঠক ডেকেছেন। কারণ প্রচারবিষয়ক এমন কোনো কাজ ছিল না যে তাঁর তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকতে হবে।’
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, এইচ টি ইমাম প্রচার উপপরিষদের বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় সভানেত্রীর অনুমতি ছাড়া বৈঠক করা ঠিক হবে না বলে তাঁর কয়েকজন অনুসারীর পরমর্শে শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হননি। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
No comments