গ্রাম মেতেছে ঈদের আনন্দে : নগরী ফাঁকা by ওমর ফারুক
‘চিরচেনা সবুজের প্রতিটা বাঁকে, প্রিয়তমা প্রিয়জন সারাণ ডাকে’Ñ প্রিয়তমা আর প্রিয়জনের ডাকে শহরের কর্মব্যস্ত যান্ত্রিক মানুষেরা ঈদের ছুটিতে ছুটে এসেছেন গ্রামে। মমতাময়ী মা, স্নেহময় বাবা, আদরের ভাই-বোন আর ছোটবেলার খেলার সঙ্গীদের প্রিয় সান্নিধ্যে। প্রিয়জনদের কাছে পেয়ে তাই বাঁধভাঙা ঈদ আনন্দে মেতেছে গ্রাম। নিখাদ এ আনন্দের ঝলকানিতে রাতের আঁধারেও ফুটেছে রঙিন আলো। জেগে উঠেছে গ্রাম। গ্রামীণ জনপদে লেগেছে আনন্দের ছোঁয়া। স্বজনদের সম্মিলন হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের প্রতিটি গ্রাম। ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামে শহরবাসী কারো কারো স্বল্পকালীন উপস্থিতি সংশ্লিষ্ট জীবনধারায় এনে দিয়েছে দ্যোতনা। শৈশবের স্মৃতিঋদ্ধ জনপদ স্বল্প সময়ের জন্য এনে দিয়েছে ভিন্ন আমেজ। ভিন্ন চিত্র ছিল চট্টগ্রাম মহানগরীতেও। খোলা ও ফাঁকা নগরীতে প্রাণখুলে চলতে পেরেছে নগরবাসী। কোথাও কোনো যানজট ও জনজট নেই। ছিল না লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। সর্বত্র ছিল মুক্ত হাওয়ার মুক্ত প্রাণের প্রতিধ্বনি।
গতকাল বুধবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস-আদালত খোলা ছিল; কিন্তু সুমসাম নীরবতা ছিল নগরজুড়ে। অফিস-আদালত খুললেও ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই, খাতুনগঞ্জসহ পুরো নগরীর সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত হয়ে উঠতে আরো কয়েক দিন লাগতে পারে। ব্যতিক্রম রয়েছে বন্দর পরিস্থিতি। ঈদের ছুটিতেও চট্টগ্রাম বন্দরে পুরোদমে কাজ চলেছে। বন্দরের বিভিন্ন জাহাজে আমদানি-রফতানি পণ্যের কনটেইনার ওঠানামা করেছে। বন্দর থেকে ডেলিভারিও পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল। ঈদের টানা চার দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটননগরী কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম। চার দিকে সাজ সাজ রব ও উৎসবের আমেজ।
প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার নানা অনৈক্যের বাতাবরণ ঝেড়ে ফেলে কোরবানির ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের গ্রামগুলো আনন্দে ছিল উদ্বেল। উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে গ্রামগুলো। স্বজনদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের সহপাঠী ও গ্রামের বন্ধুবান্ধব বহু দিন পর একসাথে হয়ে মেলে ধরেছে স্মৃতির ডালা। ইট-পাথরের গড়া নগরজীবনের নানা ভোগান্তি আর বুকে চাপা সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছে একে অপরের সাথে।
এ দিকে নগরীর অনেকের দুঃখ এ মুক্ত পরিবেশের স্থায়িত্ব না হওয়া নিয়ে। নগরে বেড়াতে আসা পটিয়ার ফরিদা আকতার ফারিন বললেন, এমন স্বাচ্ছন্দ্যময় নগরী কার না ভালো লাগে? কিন্তু এই নগরী তো আমাদের চেনা জানা পথ নয়। এই চিত্র তো অস্থায়ী। আর ক’দিন পরই তো কোলাহল বেড়ে যাবে নগরীতে। উবে যাবে নগরীর এই মুক্ত হাওয়ার মুক্ত প্রাণ। তবে প্রাণবন্ত আমেজের এই নগরীতে ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও কষ্টের কমতি ছিল না। ফাঁকা নগরীতে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা ঈদের দোহাই দিয়ে যেভাবে পারছে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। যাত্রীরাও একপ্রকার বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিচ্ছে। এবারের কোরবানির ঈদে ভিন্ন চিত্র অবলোকন করা হয়েছে। দেশের অন্য জেলার অনেকেই এবার নিজেদের গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে ঈদ করেছে চট্টগ্রামে। সড়কের বেহাল অবস্থা, ট্্েরনের টিকিট কালোবাজারে চলে যাওয়া, একইভাবে বেসরকারি বাসের টিকিটও ট্্েরনের টিকিটের মতো কালোবাজারি জেঁকে বসা, ঈদে বিআইডব্লিউটিসির লঞ্চের চরম স্বল্পতাসহ নানা কারণে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। এমনই একজন আশুগঞ্জের সাব্বির আহমদ। তিনি নয়া দিগন্তকে জানান, ১০ বছর যাবৎ ঈদুল আজহা করেছি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে, এবার সড়কের অবস্থা ভালো না থাকায় চট্টগ্রামেই ঈদ করেছি। আর্থিক অনটনের কারণেও অনেকে বাড়িতে না গিয়ে নগরে থেকে গেছেন বলে জানালেন একটি বেসরকারি অফিসের পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম।
ঈদের একটানা চার দিনের ছুটির আমেজে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখনো উপচে পড়া ভিড়। টানা ছুটির ফলে ফাঁকা নগরীতে বিনোদন কেন্দ্রগুলো নির্মল আড্ডার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শিশুপার্কগুলো শিশু-বুড়ো, তরুণ-তরুণীদের ভিড়ে একাকার হয়ে গেছে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফিরে পেয়েছে প্রাণ।
গতকাল বুধবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস-আদালত খোলা ছিল; কিন্তু সুমসাম নীরবতা ছিল নগরজুড়ে। অফিস-আদালত খুললেও ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই, খাতুনগঞ্জসহ পুরো নগরীর সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত হয়ে উঠতে আরো কয়েক দিন লাগতে পারে। ব্যতিক্রম রয়েছে বন্দর পরিস্থিতি। ঈদের ছুটিতেও চট্টগ্রাম বন্দরে পুরোদমে কাজ চলেছে। বন্দরের বিভিন্ন জাহাজে আমদানি-রফতানি পণ্যের কনটেইনার ওঠানামা করেছে। বন্দর থেকে ডেলিভারিও পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল। ঈদের টানা চার দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটননগরী কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম। চার দিকে সাজ সাজ রব ও উৎসবের আমেজ।
প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার নানা অনৈক্যের বাতাবরণ ঝেড়ে ফেলে কোরবানির ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের গ্রামগুলো আনন্দে ছিল উদ্বেল। উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে গ্রামগুলো। স্বজনদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের সহপাঠী ও গ্রামের বন্ধুবান্ধব বহু দিন পর একসাথে হয়ে মেলে ধরেছে স্মৃতির ডালা। ইট-পাথরের গড়া নগরজীবনের নানা ভোগান্তি আর বুকে চাপা সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছে একে অপরের সাথে।
এ দিকে নগরীর অনেকের দুঃখ এ মুক্ত পরিবেশের স্থায়িত্ব না হওয়া নিয়ে। নগরে বেড়াতে আসা পটিয়ার ফরিদা আকতার ফারিন বললেন, এমন স্বাচ্ছন্দ্যময় নগরী কার না ভালো লাগে? কিন্তু এই নগরী তো আমাদের চেনা জানা পথ নয়। এই চিত্র তো অস্থায়ী। আর ক’দিন পরই তো কোলাহল বেড়ে যাবে নগরীতে। উবে যাবে নগরীর এই মুক্ত হাওয়ার মুক্ত প্রাণ। তবে প্রাণবন্ত আমেজের এই নগরীতে ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও কষ্টের কমতি ছিল না। ফাঁকা নগরীতে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা ঈদের দোহাই দিয়ে যেভাবে পারছে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। যাত্রীরাও একপ্রকার বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিচ্ছে। এবারের কোরবানির ঈদে ভিন্ন চিত্র অবলোকন করা হয়েছে। দেশের অন্য জেলার অনেকেই এবার নিজেদের গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে ঈদ করেছে চট্টগ্রামে। সড়কের বেহাল অবস্থা, ট্্েরনের টিকিট কালোবাজারে চলে যাওয়া, একইভাবে বেসরকারি বাসের টিকিটও ট্্েরনের টিকিটের মতো কালোবাজারি জেঁকে বসা, ঈদে বিআইডব্লিউটিসির লঞ্চের চরম স্বল্পতাসহ নানা কারণে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। এমনই একজন আশুগঞ্জের সাব্বির আহমদ। তিনি নয়া দিগন্তকে জানান, ১০ বছর যাবৎ ঈদুল আজহা করেছি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে, এবার সড়কের অবস্থা ভালো না থাকায় চট্টগ্রামেই ঈদ করেছি। আর্থিক অনটনের কারণেও অনেকে বাড়িতে না গিয়ে নগরে থেকে গেছেন বলে জানালেন একটি বেসরকারি অফিসের পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম।
ঈদের একটানা চার দিনের ছুটির আমেজে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখনো উপচে পড়া ভিড়। টানা ছুটির ফলে ফাঁকা নগরীতে বিনোদন কেন্দ্রগুলো নির্মল আড্ডার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শিশুপার্কগুলো শিশু-বুড়ো, তরুণ-তরুণীদের ভিড়ে একাকার হয়ে গেছে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফিরে পেয়েছে প্রাণ।
No comments