সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি -যাত্রী নিরাপত্তায় চাই বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা
ঈদুল আজহা উদ্যাপন করতে গিয়ে এবারেও সড়ক
দুর্ঘটনায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটল। এর মূলে রয়েছে মহাসড়কে
অব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং চালকদের অদক্ষতা। মহাসড়ককে বলা হয়ে থাকে
ধমনি সড়ক, যা অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশের ‘ধমনি’
এতটাই জটিলতাপূর্ণ যে, এটা সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গুরুতর অসুস্থ করে
রাখছে। বাংলাদেশে মহাসড়ক আটটি। এর সঙ্গে আঞ্চলিক সড়ক, সেখান থেকে ইউনিয়ন
পর্যন্ত পিরামিড আকৃতির সড়কব্যবস্থা গড়ে তোলাই একটি আধুনিক রাষ্ট্রের
বৈশিষ্ট্য, বাংলাদেশে সেটা অনুপস্থিত।
বাংলাদেশে স্বাভাবিক সড়ক দুর্ঘটনার যে হার, সেই বিবেচনায় ঈদের মতো বৃহত্তম উৎসবকালে যে দুর্ঘটনা ঘটে, তা সংখ্যাগত দিক থেকে কেবল আপাতদৃষ্টিতেই বেশি মনে হয়। বিশেষজ্ঞ মত হলো, সড়ক দুর্ঘটনার যে স্বাভাবিক প্রবণতা ও ঝুঁকি, সেটা উৎসবকালেও বজায় থাকে। লোক চলাচল ও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে তার সঙ্গে ইদানীং যুক্ত হচ্ছে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ব্যবহার। উঠতি মধ্যবিত্ত তার নতুন কেনা প্রাইভেট কার এবং ভাড়াটে মাইক্রোবাসযোগে কখনো অদক্ষ চালকসহ ধমনি সড়কে উঠে পড়ছে। এর সঙ্গে থাকে টেম্পো ও নছিমনের দৌরাত্ম্য।
উপরন্তু, ট্রাফিকব্যবস্থা থাকে শিথিল, বিশেষ করে ঈদের দিনে এবং তার অব্যবহিত দিনগুলোয় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি আরও কমে যায়। এসব মিলিয়ে সামনের উৎসবগুলোয় সড়ক দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই উৎসবকালে সড়ক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি, গাড়ির ফিটনেস দেখাসহ নজরদারিটা জোরালো করতে হবে। তবে এর আসল সমাধান সূত্র হলো, সমগ্র জাতীয় সড়কব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সক্রিয়তায় হয়তো কিছুটা সুফল মিলছে। কিন্তু এটা স্থায়ী প্রতিকার নয়। বিজ্ঞানভিত্তিক সড়কব্যবস্থা গড়ার উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণে সরকার অনতিবিলম্বে একটি সড়ক কমিশন গঠন করতে পারে।
বাংলাদেশে স্বাভাবিক সড়ক দুর্ঘটনার যে হার, সেই বিবেচনায় ঈদের মতো বৃহত্তম উৎসবকালে যে দুর্ঘটনা ঘটে, তা সংখ্যাগত দিক থেকে কেবল আপাতদৃষ্টিতেই বেশি মনে হয়। বিশেষজ্ঞ মত হলো, সড়ক দুর্ঘটনার যে স্বাভাবিক প্রবণতা ও ঝুঁকি, সেটা উৎসবকালেও বজায় থাকে। লোক চলাচল ও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে তার সঙ্গে ইদানীং যুক্ত হচ্ছে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ব্যবহার। উঠতি মধ্যবিত্ত তার নতুন কেনা প্রাইভেট কার এবং ভাড়াটে মাইক্রোবাসযোগে কখনো অদক্ষ চালকসহ ধমনি সড়কে উঠে পড়ছে। এর সঙ্গে থাকে টেম্পো ও নছিমনের দৌরাত্ম্য।
উপরন্তু, ট্রাফিকব্যবস্থা থাকে শিথিল, বিশেষ করে ঈদের দিনে এবং তার অব্যবহিত দিনগুলোয় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি আরও কমে যায়। এসব মিলিয়ে সামনের উৎসবগুলোয় সড়ক দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই উৎসবকালে সড়ক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি, গাড়ির ফিটনেস দেখাসহ নজরদারিটা জোরালো করতে হবে। তবে এর আসল সমাধান সূত্র হলো, সমগ্র জাতীয় সড়কব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সক্রিয়তায় হয়তো কিছুটা সুফল মিলছে। কিন্তু এটা স্থায়ী প্রতিকার নয়। বিজ্ঞানভিত্তিক সড়কব্যবস্থা গড়ার উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণে সরকার অনতিবিলম্বে একটি সড়ক কমিশন গঠন করতে পারে।
No comments