স্মরণ : ড. আখতার হামিদ খান
কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ড. আখতার হামিদ খান ছিলেন একাধারে কবি, শিক্ষাবিদ, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পত্রিকার সম্পাদক, সমাজবিজ্ঞানী, উন্নয়নকর্মী এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এ দেশের মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। সমবায় মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন অসংখ্য কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষকে। হতদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নের ঐতিহাসিক প্রয়োজনে সমবায়কে নতুন রূপ দিয়েছেন। সৃষ্টি করেছেন এমন একটি মডেল, যাতে সদস্যরা গণতান্ত্রিকভাবে ‘একজন এক ভোটে’র ভিত্তিতে আইনগতভাবে সংগঠিত হতে পারে। সঞ্চয়কে পুঁজিতে পরিণত করে নিজেদের প্রয়োজনেই বিনিয়োগ করতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যার মাধ্যমে সমাজে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে। উত্তর ভারতের আগ্রায় জন্মগ্রহণকারী এই মহান পুরুষ ১৯৩৪ সালে আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। আইসিএস অফিসার হিসেবে কর্মজীবনের বেশি সময়ই তিনি পূর্ববাংলায় চাকরি করেন।
১৯৪৩-এর মহামন্বন্তরের সময় ইংরেজ শাসকদের উদাসীনতায় তিনি এতটাই ব্যথিত হন যে, সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি করাচি চলে যান এবং সেখান থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আসেন। এই কলেজে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। এখানেই গ্রামের উন্নয়ন সম্পর্কে তার গভীর আগ্রহ এবং তৃণমূলপর্যায়ে উন্নয়ন সম্পর্কিত বৈপ্লবিক ধারণার বিকাশ ঘটে। তিনি কৃষকসহ শ্রমজীবীদের সংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে।
১৯৫৮ সালে পল্লী উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গমন করেন। ফিরে এসে ১৯৫৯ সালে তিনি কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়ের এই মডেলটি তাকে কিংবদন্তিতে পরিণত করে এবং এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময়ে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে আখতার হামিদ খানকে পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করতে হয়। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এলে তার অসামান্য কাজের জন্য কুমিল্লা ফাউন্ডেশন তাকে স্বর্ণপদক দেয়। ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সত্তর দশকের শেষ দিকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮০ সালে আখতার হামিদ খান পাকিস্তানের করাচির ওরাঙ্গি উপশহরে বাস্তুহারা কলোনির অধিবাসীদের কল্যাণে পাইলট প্রজেক্ট চালু করেন। এটা এশিয়ার একটি বৃহত্তম ‘এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প’ হিসেবে চালু রয়েছে। ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে এই মনীষীর জীবনাবসান হয়।
১৯৪৩-এর মহামন্বন্তরের সময় ইংরেজ শাসকদের উদাসীনতায় তিনি এতটাই ব্যথিত হন যে, সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি করাচি চলে যান এবং সেখান থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আসেন। এই কলেজে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। এখানেই গ্রামের উন্নয়ন সম্পর্কে তার গভীর আগ্রহ এবং তৃণমূলপর্যায়ে উন্নয়ন সম্পর্কিত বৈপ্লবিক ধারণার বিকাশ ঘটে। তিনি কৃষকসহ শ্রমজীবীদের সংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে।
১৯৫৮ সালে পল্লী উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গমন করেন। ফিরে এসে ১৯৫৯ সালে তিনি কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়ের এই মডেলটি তাকে কিংবদন্তিতে পরিণত করে এবং এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময়ে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে আখতার হামিদ খানকে পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করতে হয়। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এলে তার অসামান্য কাজের জন্য কুমিল্লা ফাউন্ডেশন তাকে স্বর্ণপদক দেয়। ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সত্তর দশকের শেষ দিকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮০ সালে আখতার হামিদ খান পাকিস্তানের করাচির ওরাঙ্গি উপশহরে বাস্তুহারা কলোনির অধিবাসীদের কল্যাণে পাইলট প্রজেক্ট চালু করেন। এটা এশিয়ার একটি বৃহত্তম ‘এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প’ হিসেবে চালু রয়েছে। ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে এই মনীষীর জীবনাবসান হয়।
No comments