সাহিত্যে নোবেল পেলেন প্যাট্রিক মোদিয়ানো
মানুষে
মানুষের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রানবন্ত শব্দের বুননের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ফরাসি সাহিত্যিক প্যাট্রিক মোদিয়ানো। তিনি
স্মৃতিশক্তিকে, সংবাদপত্রের খবর, সাক্ষাতকারকে মূল উপজীব্য হিসেবে ধরে
রচনা করেছেন মানুষের উপলব্ধির বাইরের গন্তব্যকে। প্যাট্রিক মোদিয়ানোর জন্ম
১৯৪৫ সালের ৩০শে জুলাই প্যারিসের বোলোগনে-বিলানকোর্টে। তার পিতা ছিলেন
ব্যবসায়ী। মা ছিলেন অভিনেত্রী। স্কুল ছেড়ে তিনি পড়াশোনা করেন প্যারিসের
লিসি হেনরি- ফোর এ। সেখানে রেমন্ড কুইনিউ-এ কাছে তিনি শিক্ষা নেন জ্যামিতি।
এই রেমন্ডই তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৮
সালে মোদিয়ানো ‘লা প্লেস ডি লেটোইলে’ উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করেন। এ উপন্যাসটি ব্যাপক পাঠাকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তার কাজের
কেন্দ্রে রয়েছে স্মৃতিশক্তি, বিস্মরণ, পরিচয় ও অপরাধ। তার কাহিনীতে
নির্মিত হয়েছে আত্মজীবনী ধারায়। আবার কখনো তা রচিত হয়েছে জার্মান
দখলদারিত্বের ওপর। সাক্ষাতকার, সংবাদপত্রের খবর, কখনও তার নিজস্ব নোটের ওপর
ভিত্তি করে তিনি সাহিত্য রচনা করতেন। লেখক মোদিয়ানোর নিজ শহর ও তার ইতিহাস
কখনও উঠে এসেছে তার রচনায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ওপর ভিত্তি করে
তিনি রচনা করেছেন প্রমাণ্য চরিত্র ডোরা ব্রুদার (১৯৯৭; ডোরা ব্রুদার,
১৯৯৯)। এতে প্যারিসের ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের সত্য কাহিনী বর্ণনা করা
হয়েছে। এই মেয়েটি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়। মোদিয়ানোর বেশ কিছু রচনা ইংরেজি
ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘লেস বুলভার্ডস ডি সেঞ্চুরে’, ‘রিং
রোডস: এ নোভেল’, ভিলা ত্রিসতি (১৯৭৫)’, ভিলা ত্রিসতি (১৯৭৭)’, ‘এ ট্রেস অব
ম্যালিসে’, ‘ভয়েস ডি নোসেস (১৯৯০; হানিমুন, ১৯৯২)’। এছাড়াও তিনি
শিশু-কিশোরদের জন্য বই লিখেছেন। লিখেছেন চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট। চলচ্চিত্র
পরিচালক লুইস মালের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি তৈরি করেছেন ফিচার ছবি ‘ল্যাকোমবে
লুসিয়েন’।
No comments