চার শর্ত পূরণ ছাড়া তুরস্ক আইএসবিরোধী জোটে অংশ নেবে না -এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান আবারো বলেছেন, তার দেশের দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে তুরস্ক সিরিয়া ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে অংশ নেবে না। তিনি বলেন, ‘আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরিয়ার কুর্দিরা আমাদের চোখে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) মতোই। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো জোটের আমাদের বন্ধু ও মিত্ররা তাদের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন ঘোষণা করার পর আমরাও তার প্রতি সমর্থন জানাব এটি আশা করা তাদের জন্য ভুল হবে। আমাদের কাছ থেকে এমন কিছু আশা করা উচিত হবে না এবং এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষে সম্মত হওয়াও সম্ভব হবে না।’ আলমাতা অনলাইন নিউজ রোববার এ খবর জানায়।
এরদোগান বলেছেন, আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধন আন্তর্জাতিক জোটের কাছে তুরস্ক চারটি বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। তা হলো: নোফাই জোন ঘোষণা করা, নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠা করা, সিরীয়দের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রপ্রদান এবং খোদ সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা। এসব দাবি পূরণ করা ছাড়া আমরা কোনো সামরিক অভিযানে শরিক হতে পারব না। আফগানিস্তানে এক দিনের সরকারি সফর শেষে রোববার দেশে ফেরার পথে বিমানে থাকা অবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি তুরস্কসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
তুরস্কের দক্ষিণে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক জোটের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ইনসিরলিক সামরিক ঘাঁটি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধও স্পষ্ট নয়। আমরা যখন বিষয়টি জানতে পারব তখন তা নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা ইউনিটের সাথে আলোচনা করে তার আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। আমাদের জন্য ভালো হলে তার সেভাবেই সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করব। আর তা না হলে আমরা এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করব।
কোনো কোনো দেশ আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরিয়ার কুর্দিস ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নকে অস্ত্র দিতে চায় বলে খবর সম্পর্কে এরদোগান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ সংগঠনটি পিকেকের থেকে ভিন্ন কিছু নয়। এর প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন ঘোষণার পর আমরা তাকে সমর্থন জানাব এমনটি যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটোতে আমাদের মিত্র ও বন্ধুরা আশা করতে পারে না। এ ধরনের কিছু সম্মত হওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
পিকেকে তুরস্কের অবস্থিত কুর্দিদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তুর্কি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে আসছে।
এরদোগান বলেন, ‘আমরা যে নিরাপদ এলাকার প্রস্তাব দিয়েছি তা কোনো জায়গা দখলের ঘটনা হবে না বরং সিরীয় উদ্বাস্তুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। যুদ্ধের কারণে এসব উদ্বাস্তু তুরস্কে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের দেশ ও ভূখণ্ডে ফিরতে পারবে।’ সিরীয় উদ্বাস্তুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এটি করা দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন। এরদোগান সাংবাদিকদের আরো বলেন, সিরিয়া সীমান্তের অভ্যন্তরে নিরাপদ অঞ্চল গঠনের বিষয়ে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ও পররাষ্ট্র দফতর মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার দেশ আন্তর্জাতিক জোটে যোগদানের জন্য ঘোষিত এ চার শর্তের বিষয়ে কোনো আপস করবে না।
এরদোগান বলেছেন, আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধন আন্তর্জাতিক জোটের কাছে তুরস্ক চারটি বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। তা হলো: নোফাই জোন ঘোষণা করা, নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠা করা, সিরীয়দের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রপ্রদান এবং খোদ সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা। এসব দাবি পূরণ করা ছাড়া আমরা কোনো সামরিক অভিযানে শরিক হতে পারব না। আফগানিস্তানে এক দিনের সরকারি সফর শেষে রোববার দেশে ফেরার পথে বিমানে থাকা অবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি তুরস্কসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
তুরস্কের দক্ষিণে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক জোটের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ইনসিরলিক সামরিক ঘাঁটি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধও স্পষ্ট নয়। আমরা যখন বিষয়টি জানতে পারব তখন তা নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা ইউনিটের সাথে আলোচনা করে তার আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। আমাদের জন্য ভালো হলে তার সেভাবেই সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করব। আর তা না হলে আমরা এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করব।
কোনো কোনো দেশ আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরিয়ার কুর্দিস ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নকে অস্ত্র দিতে চায় বলে খবর সম্পর্কে এরদোগান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ সংগঠনটি পিকেকের থেকে ভিন্ন কিছু নয়। এর প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন ঘোষণার পর আমরা তাকে সমর্থন জানাব এমনটি যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটোতে আমাদের মিত্র ও বন্ধুরা আশা করতে পারে না। এ ধরনের কিছু সম্মত হওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
পিকেকে তুরস্কের অবস্থিত কুর্দিদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তুর্কি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে আসছে।
এরদোগান বলেন, ‘আমরা যে নিরাপদ এলাকার প্রস্তাব দিয়েছি তা কোনো জায়গা দখলের ঘটনা হবে না বরং সিরীয় উদ্বাস্তুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। যুদ্ধের কারণে এসব উদ্বাস্তু তুরস্কে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের দেশ ও ভূখণ্ডে ফিরতে পারবে।’ সিরীয় উদ্বাস্তুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এটি করা দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন। এরদোগান সাংবাদিকদের আরো বলেন, সিরিয়া সীমান্তের অভ্যন্তরে নিরাপদ অঞ্চল গঠনের বিষয়ে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ও পররাষ্ট্র দফতর মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার দেশ আন্তর্জাতিক জোটে যোগদানের জন্য ঘোষিত এ চার শর্তের বিষয়ে কোনো আপস করবে না।
No comments