আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন মনিকা লিউনস্কি!
বিল ক্লিনটনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক
ফাঁসের পর একপর্যায়ে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন মনিকা লিউনস্কি। ঘটনার ১৩
বছর পর প্রথমবারের মতো কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে গতকাল সোমবার
তিনি এমন কথাই জানালেন। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত খবরে বলা
হয়েছে, ওই ঘটনার পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেসব সংবাদ ও গাল-গপ্প
ছড়িয়েছিল, সেগুলোর কারণে এক সময় আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন মনিকা। তিনি
বলেন, ‘কম্পিউটারের পর্দায় লেখাগুলো দেখে “ও ঈশ্বর” বলে চিৎকার করতে করতে
সারাটা দিন পার করতাম আমি। তখন শুধু মাথায় ঘুরত, আমি মরতে চাই।’
বিল ক্লিনটন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তখন তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে আলোচনায় এসেছিলেন মনিকা লিউনস্কি। তিনি সে সময় হোয়াইট হাউসে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করতেন। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ইন্টারনেটে যেসব মুখরোচক আর মনের মাধুরী মেশানো তথ্য প্রকাশ পেয়েছিল, সেসব দিনের কথা মনে করে নিজেকে প্রথম দিককার ‘সাইবার-পীড়নের’ শিকার বলে দাবি করলেন মনিকা। যোগ দিলেন এই পীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
বিল ক্লিনটন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তখন তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে আলোচনায় এসেছিলেন মনিকা লিউনস্কি। তিনি সে সময় হোয়াইট হাউসে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করতেন। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ইন্টারনেটে যেসব মুখরোচক আর মনের মাধুরী মেশানো তথ্য প্রকাশ পেয়েছিল, সেসব দিনের কথা মনে করে নিজেকে প্রথম দিককার ‘সাইবার-পীড়নের’ শিকার বলে দাবি করলেন মনিকা। যোগ দিলেন এই পীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়াতে ফোর্বসের ‘আন্ডার ৩০’ সম্মেলনের উদ্বোধনকালে আবেগঘন বক্তৃতায় ১৯৯৮ সালের ওই ঘটনা তাঁর জীবন কীভাবে বিষিয়ে তুলেছিল তা তুলে ধরেন মনিকা। বর্তমানে ৪১ বছর বয়সী মনিকা অনলাইনভিত্তিক পীড়নের সমাপ্তি ঘটাতে প্রচার চালানোর ঘোষণা দেন।
মনিকা লিউনস্কি বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যেসব ব্যক্তির সুনাম একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে, তাঁদের মধ্যে তিনি প্রথম দিকে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি রোগী নম্বর ০। তখন কোনো ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্ট্রাগ্রাম ছিল না। কিন্তু গাল-গপ্প, সংবাদ ও বিনোদনভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোর কমেন্ট সেকশন ও ইমেইলের মাধ্যমে সেগুলো ছড়িয়েছিল।’
মনিকা জানালেন, ২০১০ সালে নিউজার্সির ১৮ বছর বয়সী এক তরুণের এক ব্যক্তিকে চুমু খাওয়ার দৃশ্য গোপনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে প্রকাশের ঘটনা ঘটে। এর পর ওই তরুণ আত্মহত্যা করে। বিষয়টি ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে বলেই তিনি সাইবার-পীড়নবিরোধী প্রচারে নেমেছেন বলে জানালেন।
No comments