আবারো র্যাব ভেঙে দেয়ার আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
আবারো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। একই সাথে ২০১১ সালে ঝালকাঠির লিমনকে গুলি করে পঙ্গু করার ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিটি করে দোষী র্যাব সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ : নো জাস্টিস ফর উন্ডেড চাইল্ড’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, লিমনকে গুলির ঘটনায় র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বলেঠিনন, সন্ত্রাসী ও র্যাবের মধ্যকার গোলাগুলির শিকার হয়েছেন লিমন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু র্যাবকে এ ঘটনা থেকে বাঁচাতে তারা লিমনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী মামলা দায়ের করা।
সংস্থাটির এশিয়া পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, লিমনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এটা অবশ্যই ভালো দিক। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনাই উচিত হয়নি। সরকারের উচিত লিমনকে গুলিকারী র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। একই সাথে লিমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাকারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নিবন্ধে বলা হয়, র্যাবের বিরুদ্ধে শতাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে এ ব্যাপারে অনেক তথ্য আছে। তাছাড়াও মারাত্মক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও আছে র্যাবের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো র্যাব সদস্যকে সফলভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় জড়িত র্যাব সদস্যদের সফল বিচারের মাধ্যমে দায়মুক্তির চক্র ভেঙে ফেলতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এইচআরডাব্লিউ বলছে, মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, ভিকটিমদের একজনের পরিবার বলিষ্ঠভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণেই এটা করা হয়েছে। ২০০৪ সালে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়। তার পর থেকেই এ ফোসটিকে দায়মুক্তি ও মারাত্মক ব্যবস্থাগত অপব্যবহারের মধ্য দিয়ে এর কার্যক্রম চলছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ পুনরায় সরকারের কাছে র্যাব ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। সরকারের উচিত সেনা সদস্যদেরকে নিজ বাহিনীতে ফেরত নেয়া এবং তাদের পরিবর্তে সম্পূর্ণ বেসামরিক ফোর্স দিয়ে বাহিনীটি পুনর্গঠন করা। সংস্থাটির এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, র্যাবের সংস্কার করে লাভ হবে না, এটা মৃত্যু স্কোয়াডে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, র্যাব মতার অপব্যবহার করলে তিনি জিরো টলারেন্স দেখাবেন। কিন্তু তিনি র্যাব ভেঙে দিতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ না নিলে তা অন্তঃসারশূণ্য কথায় পরিণত হবে।
সংস্থাটির এশিয়া পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, লিমনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এটা অবশ্যই ভালো দিক। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনাই উচিত হয়নি। সরকারের উচিত লিমনকে গুলিকারী র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। একই সাথে লিমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাকারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নিবন্ধে বলা হয়, র্যাবের বিরুদ্ধে শতাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে এ ব্যাপারে অনেক তথ্য আছে। তাছাড়াও মারাত্মক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও আছে র্যাবের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো র্যাব সদস্যকে সফলভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় জড়িত র্যাব সদস্যদের সফল বিচারের মাধ্যমে দায়মুক্তির চক্র ভেঙে ফেলতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এইচআরডাব্লিউ বলছে, মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, ভিকটিমদের একজনের পরিবার বলিষ্ঠভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণেই এটা করা হয়েছে। ২০০৪ সালে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়। তার পর থেকেই এ ফোসটিকে দায়মুক্তি ও মারাত্মক ব্যবস্থাগত অপব্যবহারের মধ্য দিয়ে এর কার্যক্রম চলছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ পুনরায় সরকারের কাছে র্যাব ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। সরকারের উচিত সেনা সদস্যদেরকে নিজ বাহিনীতে ফেরত নেয়া এবং তাদের পরিবর্তে সম্পূর্ণ বেসামরিক ফোর্স দিয়ে বাহিনীটি পুনর্গঠন করা। সংস্থাটির এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, র্যাবের সংস্কার করে লাভ হবে না, এটা মৃত্যু স্কোয়াডে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, র্যাব মতার অপব্যবহার করলে তিনি জিরো টলারেন্স দেখাবেন। কিন্তু তিনি র্যাব ভেঙে দিতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ না নিলে তা অন্তঃসারশূণ্য কথায় পরিণত হবে।
No comments