কোষ প্রতিস্থাপনে সাফল্য : আবার হাঁটতে পারছেন প্যারালাইজড ব্যক্তি
পোল্যান্ডে চিকিৎসা গ্রহণের পর এক বুলগেরীয় নাগরিক আবার হাঁটতে পারছেন। কোষ প্রতিস্থাপনের এই বিস্ময়ী সাফল্যকে এক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ‘চাঁদের বুকে মানুষ হাঁটার চেয়েও চিত্তাকর্ষক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মঙ্গলবার সেল ট্রান্সপ্লানটেশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১০ সালে এক ছুরিকাতের ঘটনায় ডারেক ফিদিকা নামে ওই বুলগেরীয় নাগরিকের বুক থেকে নিচের অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। এক বৈপ্লবিক চিকিৎসায় সাফল্যের পর তিনি একটি স্ক্রেসে ভর করে এখন আবার হাঁটতে পারছেন। তার নাক থেকে নার্ভ সেল নিয়ে তার ছিঁড়ে যাওয়া মেরুদন্ডে প্রতিস্থাপন করা হয়। রোক’র অ্যাকরন নিউরো-বিহ্যাব্লিটেশন সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণরত এই রোগী বিবিসি’র প্যানোরামা অনুষ্ঠানে বলেন, শরীরের প্রায় অর্ধেক অংশের অনুভূতি হারিয়ে আমি একেবারেই নিরাশ হয়ে পড়েছিলাম। যখন এই অনুভূতি ফিরে পেতে শুরু করলাম, তখন মনে হচ্ছে আমি আবার নতুন করে জীবন শুরু করছি। রোক’ ইউনিভার্সিটির নিউরো সার্জন পাওয়েল তাবাকো এই কোষ প্রতিস্থাপন চিকিৎসায় একটি টিমের নেতৃত্ব দেন। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ওপরে ও নিচে সেল প্রতিস্থাপন বিচ্ছিন্ন তন্তুর জোড়া লাগাতে সহায়ক হয়েছে। এই যৌথ প্রকল্পের ব্রিটিশ গবেষক দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজির নিউরাল রিজেনারেশনের চেয়ার পার্সন জিওফ রেইসম্যান বলেন, ‘আমার কাছে এটি চাঁদের বুকে মানুষ হাঁটার চেয়েও আকর্ষণীয়। আমি মনে করি, এটি প্যারালাইসিস সরানোর মুহূর্ত। তাবাকো বলেন, দীর্ঘকাল ধরে অসম্ভব বলে মনে করা হলেও স্পাইনাল কর্ড রিজেনারেশন দেখতে পাওয়া আশ্চর্যজনক। এক সময়ের অসম্ভব বলে ভাবা বিষয়টি বাস্তব হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ব্রিটেন ও পোল্যান্ডে ১০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এটি প্রয়োগ করার কথা ভাবছেন।
No comments