একটি বিতর্কিত উক্তি : সত্য কোনটি? by এ এম কায়েস চৌধুরী
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ কে খন্দকার রচিত ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইটির কিছু উক্তি ও তথ্য নিয়ে বিতর্ক চলছে। এসব কিছুর মধ্যে একটি উক্তি নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। সেটি হলো, ৭ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণ সমাপনান্তে ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছিলেন।
সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের কোনো পরিচিতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তার রচিত ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইয়ে এ বিষয়ে তার ভাষ্য তুলে ধরা হলো। “স্বাধীনতা ঘোষণার দাবিদার তরুণদের খুশি করিবার জন্য শেখ মুজিব আরো দু’ইটা কাজ করিলেন। প্রথমত, উপসংহারে তিনি বলিলেন : আজিকার সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। দ্বিতীয়ত, কিছু দিন ধরিয়া তিনি সব বক্তৃতার শেষ করিতেন এক সঙ্গে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলিয়া। এই দিনকার সভায় প্রথম ব্যতিক্রম করিলেন। শুধু ‘জয় বাংলা’ বলিয়া বক্তৃতা শেষ করিলেন। যাঁরা নিজেরা উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বলিয়া দাবি করেন, তাঁদের কেউ কেউ আমার এই কথার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, শেখ মুজিব ৭ মার্চের সভাতেও ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলিয়া বক্তৃতা শেষ করিয়াছিলেন। আমি যখন বলি যে পরদিন আমি রেডিও টেলিভিশনে নিজ কানে তাঁর বক্তৃতা শুনিয়াছি এবং তাতে ‘জয় পাকিস্তান’ ছিল না, তার জবাবে তাঁরা বলেন, পরদিন রেকর্ড ব্রডকাস্ট করিবার সময় ঐ কথাটা বাদ দেওয়া হইয়াছিল। যাক আমি নিজ কানে যা শুনিয়াছিলাম, তাই লিখিয়েছি। বক্তৃতা শেষ করিয়াই মুজিব সভামঞ্চ ত্যাগ করিলেন। ... এটা নিঃসন্দেহে বোঝা গেল যে, তথাকথিত ছাত্রনেতা ও তরুণদের জবরদস্তি ও হুমকি ধমকেও সেদিন শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার ইচ্ছা ছিল না। আমার বিবেচনায় এটা শেখ মুজিবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতারই প্রমাণ।’ (চতুর্থ সংযুক্ত ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ পৃ: ৫৪২) ‘এ বইটি আবুল মনসুর আহমদের আত্মজীবনীর রাজনৈতিক ভাষ্য। এক দিকে যেমন একটি জাতির অতীত রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের বেসিক ডকুমেন্ট, অপর দিকে তেমনি জাতিকে ভবিষ্যতের জন্য পথনির্দেশনা।”
বইটির প্রথম সংস্করণ নিশ্চয়ই আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। সেদিন যারা ৭ মার্চের সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করে তাঁর কথার প্রতিবাদ করেছিলেন তারা নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা হবেন। আবুল মনসুর আহমদ আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতা ছিলেন। তারা না শুনলে তাঁর কথার প্রতিবাদ করলেন কেন? তখন তো আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জন্ম হয়নি। বিএনপির জন্ম হয় ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। আবুল মনসুর আহমদ যা শুনতে পেরেছিলেন তাই লিখেছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের আরো কিছু দিন ধরে যে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলে সব বক্তৃতা শেষ করতেন সে কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। আবার কোনো পণ্ডিত এমনও বলতে পারেন যে, প্রথম সংস্করণে তথ্যটি ছিল না। এটি চতুর্থ সংস্করণে সংযোজিত হয়েছে। চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ সালে। তখন তিনি জীবিত ছিলেন না। কাজেই চতুর্থ সংস্করণে সংযোজন করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারাপতি মো: হাবিবুর রহমান তার রচিত ‘বাংলাদেশের তারিখ’ নামে বইয়ের প্রথম সংস্করণে বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী (আগাচৌ) সাক্ষী দিয়েছেন যে, বিচারপতি হাবিবুর রহমান তাকে বলেছেন তিনি ৩ জানুয়ারি ও ৭ মার্চের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছিলেন বয়সের ভারে স্মৃতিভ্রমের কারণে (বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৪-৯-২০১৪)। বিচারপতি হাবিবুর রহমান এখন আর নেই। আগাচৌয়ের কথায় প্রতীয়মান হয়, বিচারপতি হাবিবুর রহমান আর কাউকে না পেয়ে শুধু আগাচৌকে অগ্রিম জানিয়ে দিলেন যে, তিনি বয়সের কারণে স্মৃতিভ্রমের শিকার ছিলেন বলে ৩ জানুয়ারি আর ৭ মার্চের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।
ওই পত্রিকায় একই দিনে জনৈক অধ্যাপক লিখেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় পাকিস্তান’ শুনেছেন তারা হলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও শাজাহান সিরাজ। এ দু’জন ছাড়া ১০ লাখের শ্রোতার কেউই এমন শব্দগুচ্ছ শোনেনি; তারা শুধু ‘জয় বাংলা’ শুনেছেন। শাজাহান সিরাজ রেসকোর্সে উপস্থিত হয়ে শুনলেন যে, বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলে তার ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেন। তার এমন উচ্চারণের প্রয়োজন ছিল। কেননা সেটা তার মন্ত্রী হওয়ার কাজে লেগেছে। “তার বক্তব্যে বোঝা যায়, এ ধরনের শব্দগুচ্ছ শোনার কথা বলায় শাজাহান সিরাজ মন্ত্রী হয়েছেন। শাজাহান সিরাজ মন্ত্রী হয়েছেন ৩০ বছর পরে ২০০১ সালে। এটা কি যুুক্তির কথা কিংবা বিশ্বাসযোগ্য যে, এ শব্দগুচ্ছ শোনার কথা বললে তিনি মন্ত্রী হবেন। ওই অধ্যাপকের মতে, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও শাজাহান সিরাজ ছাড়া ‘১০ লাখের শ্রোতার কেউই এমন শব্দগুচ্ছ না শুনলে’ কারা সেদিন আবুল মনসুর আহমদের কাছে তার কথার প্রতিবাদ করেছিলেন।”
স্মতর্ব্য, বিচারপতি হাবিবুর রহমান বর্তমান সরকারের সুশাসন দেখে মন্তব্য করেছিলেন, ‘দেশ এখন বাজিকরদের হাতে’। এ কারণে আওয়ামী লীগের কাছে তিনি আর গ্রহণযোগ্য নন, যদিও অতীতে ছিলেন তাদের একান্ত শ্রদ্ধাভাজন।
এম আর চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বললেন, সে সঙ্গে ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে বক্তব্য শেষ করলেন।’’ (বাংলা বাজার পত্রিকা ১৮-৩-২০০৬) এ বিষয়ে আরো অনেক উদ্ধৃতি দেয়া যায়। যা হোক, সত্য কখনো চিরদিন ঢাকা যায় না। পলাশীর যুদ্ধের এক শত বছর পরে আমরা জানতে পারি যে, অন্ধকূপ হত্যার ঘটনাটি বানোয়াট ছিল। যা সত্য, আজ না হোক কাল তা প্রকাশ হবেই। আপাতত কিছু বিতর্ক ও বিতণ্ডা চলবে মাত্র।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
পশ্চিম মাসদাইর, নারায়ণগঞ্জ
সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের কোনো পরিচিতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তার রচিত ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইয়ে এ বিষয়ে তার ভাষ্য তুলে ধরা হলো। “স্বাধীনতা ঘোষণার দাবিদার তরুণদের খুশি করিবার জন্য শেখ মুজিব আরো দু’ইটা কাজ করিলেন। প্রথমত, উপসংহারে তিনি বলিলেন : আজিকার সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। দ্বিতীয়ত, কিছু দিন ধরিয়া তিনি সব বক্তৃতার শেষ করিতেন এক সঙ্গে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলিয়া। এই দিনকার সভায় প্রথম ব্যতিক্রম করিলেন। শুধু ‘জয় বাংলা’ বলিয়া বক্তৃতা শেষ করিলেন। যাঁরা নিজেরা উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বলিয়া দাবি করেন, তাঁদের কেউ কেউ আমার এই কথার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, শেখ মুজিব ৭ মার্চের সভাতেও ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলিয়া বক্তৃতা শেষ করিয়াছিলেন। আমি যখন বলি যে পরদিন আমি রেডিও টেলিভিশনে নিজ কানে তাঁর বক্তৃতা শুনিয়াছি এবং তাতে ‘জয় পাকিস্তান’ ছিল না, তার জবাবে তাঁরা বলেন, পরদিন রেকর্ড ব্রডকাস্ট করিবার সময় ঐ কথাটা বাদ দেওয়া হইয়াছিল। যাক আমি নিজ কানে যা শুনিয়াছিলাম, তাই লিখিয়েছি। বক্তৃতা শেষ করিয়াই মুজিব সভামঞ্চ ত্যাগ করিলেন। ... এটা নিঃসন্দেহে বোঝা গেল যে, তথাকথিত ছাত্রনেতা ও তরুণদের জবরদস্তি ও হুমকি ধমকেও সেদিন শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার ইচ্ছা ছিল না। আমার বিবেচনায় এটা শেখ মুজিবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতারই প্রমাণ।’ (চতুর্থ সংযুক্ত ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ পৃ: ৫৪২) ‘এ বইটি আবুল মনসুর আহমদের আত্মজীবনীর রাজনৈতিক ভাষ্য। এক দিকে যেমন একটি জাতির অতীত রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের বেসিক ডকুমেন্ট, অপর দিকে তেমনি জাতিকে ভবিষ্যতের জন্য পথনির্দেশনা।”
বইটির প্রথম সংস্করণ নিশ্চয়ই আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। সেদিন যারা ৭ মার্চের সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করে তাঁর কথার প্রতিবাদ করেছিলেন তারা নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা হবেন। আবুল মনসুর আহমদ আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতা ছিলেন। তারা না শুনলে তাঁর কথার প্রতিবাদ করলেন কেন? তখন তো আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জন্ম হয়নি। বিএনপির জন্ম হয় ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। আবুল মনসুর আহমদ যা শুনতে পেরেছিলেন তাই লিখেছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের আরো কিছু দিন ধরে যে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলে সব বক্তৃতা শেষ করতেন সে কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। আবার কোনো পণ্ডিত এমনও বলতে পারেন যে, প্রথম সংস্করণে তথ্যটি ছিল না। এটি চতুর্থ সংস্করণে সংযোজিত হয়েছে। চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ সালে। তখন তিনি জীবিত ছিলেন না। কাজেই চতুর্থ সংস্করণে সংযোজন করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারাপতি মো: হাবিবুর রহমান তার রচিত ‘বাংলাদেশের তারিখ’ নামে বইয়ের প্রথম সংস্করণে বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী (আগাচৌ) সাক্ষী দিয়েছেন যে, বিচারপতি হাবিবুর রহমান তাকে বলেছেন তিনি ৩ জানুয়ারি ও ৭ মার্চের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছিলেন বয়সের ভারে স্মৃতিভ্রমের কারণে (বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৪-৯-২০১৪)। বিচারপতি হাবিবুর রহমান এখন আর নেই। আগাচৌয়ের কথায় প্রতীয়মান হয়, বিচারপতি হাবিবুর রহমান আর কাউকে না পেয়ে শুধু আগাচৌকে অগ্রিম জানিয়ে দিলেন যে, তিনি বয়সের কারণে স্মৃতিভ্রমের শিকার ছিলেন বলে ৩ জানুয়ারি আর ৭ মার্চের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।
ওই পত্রিকায় একই দিনে জনৈক অধ্যাপক লিখেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় পাকিস্তান’ শুনেছেন তারা হলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও শাজাহান সিরাজ। এ দু’জন ছাড়া ১০ লাখের শ্রোতার কেউই এমন শব্দগুচ্ছ শোনেনি; তারা শুধু ‘জয় বাংলা’ শুনেছেন। শাজাহান সিরাজ রেসকোর্সে উপস্থিত হয়ে শুনলেন যে, বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’, ‘জয় পাকিস্তান’ বলে তার ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেন। তার এমন উচ্চারণের প্রয়োজন ছিল। কেননা সেটা তার মন্ত্রী হওয়ার কাজে লেগেছে। “তার বক্তব্যে বোঝা যায়, এ ধরনের শব্দগুচ্ছ শোনার কথা বলায় শাজাহান সিরাজ মন্ত্রী হয়েছেন। শাজাহান সিরাজ মন্ত্রী হয়েছেন ৩০ বছর পরে ২০০১ সালে। এটা কি যুুক্তির কথা কিংবা বিশ্বাসযোগ্য যে, এ শব্দগুচ্ছ শোনার কথা বললে তিনি মন্ত্রী হবেন। ওই অধ্যাপকের মতে, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও শাজাহান সিরাজ ছাড়া ‘১০ লাখের শ্রোতার কেউই এমন শব্দগুচ্ছ না শুনলে’ কারা সেদিন আবুল মনসুর আহমদের কাছে তার কথার প্রতিবাদ করেছিলেন।”
স্মতর্ব্য, বিচারপতি হাবিবুর রহমান বর্তমান সরকারের সুশাসন দেখে মন্তব্য করেছিলেন, ‘দেশ এখন বাজিকরদের হাতে’। এ কারণে আওয়ামী লীগের কাছে তিনি আর গ্রহণযোগ্য নন, যদিও অতীতে ছিলেন তাদের একান্ত শ্রদ্ধাভাজন।
এম আর চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বললেন, সে সঙ্গে ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে বক্তব্য শেষ করলেন।’’ (বাংলা বাজার পত্রিকা ১৮-৩-২০০৬) এ বিষয়ে আরো অনেক উদ্ধৃতি দেয়া যায়। যা হোক, সত্য কখনো চিরদিন ঢাকা যায় না। পলাশীর যুদ্ধের এক শত বছর পরে আমরা জানতে পারি যে, অন্ধকূপ হত্যার ঘটনাটি বানোয়াট ছিল। যা সত্য, আজ না হোক কাল তা প্রকাশ হবেই। আপাতত কিছু বিতর্ক ও বিতণ্ডা চলবে মাত্র।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
পশ্চিম মাসদাইর, নারায়ণগঞ্জ
No comments